এত কঠোর সিদ্ধান্তই যদি নেবেন তাহলে ক্ষমার নাটক কেন
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী কমিটি থেকে পুরোনো ও অভিজ্ঞ নেতাদের বাদ দেওয়ার ঘটনায় দল ও দলের বাইরে নানারকম বিশ্লেষণ হচ্ছে। দলের একটি অংশের মত, ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পর নানা ঘটনায় কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা সাধারণ নেতা-কর্মীদের বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। তাই নতুনের আগমনে মাঠপর্যায়ে বিরূপ কোনো প্রভাব পড়েনি। নতুনেরা দলে কেমন করবেন, তা দেখতে চান তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
দলের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানা যায়, দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা পুরোনো ও মধ্যম সারির বড় একটা অংশকে দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিলেও এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাড়া অন্যদের তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। নতুন নেতৃত্ব ভালো করুক, সেটাই চাইছেন নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা।
জ্যেষ্ঠ নেতারা তাঁদের ভাগ্য সম্পর্কে আগাম কিছুটা আঁচ করতে পারলেও মধ্যম সারির নেতারা স্তম্ভিত ও বিস্মিত হয়েছেন। তাঁদের অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অনানুষ্ঠানিকভাবে তাঁরা নানা কথা বললেও প্রকাশ্যে কিছু বলতে রাজি হননি। বিশেষ করে জ্যেষ্ঠ নেতারা এ মুহূর্তে কোনো কথা বলতে চাননি। মধ্যম সারির নেতারা এখনো আশা করছেন, ২৬টি শূন্যপদে তাঁরা স্থান পাবেন।
সূত্র জানায়, অনেক নেতাই এখন হতাশ। তাঁদের সমর্থকেরা ভিড় করলেও কোনো সদুত্তর দিতে পারছেন না। একজন নেতা আক্ষেপ করেন এবং তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘শেষ জীবনে এটাই প্রাপ্য ছিল!’
অপর এক নেতা বললেন, সভানেত্রী যদি এ রকম সিদ্ধান্তই নেবেন, তাহলে ক্ষমার নাটক করলেন কেন? আর তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়েছেনই বা কে?
আরেকজন নেতা বলেন, ‘নেত্রী পরে বুঝবেন। বিএনপি তো ৩০টি আসন পেয়েছে, আমরা কয়টা পাই, সেটাই দেখার বিষয়।’
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রী কথিত সংস্কারপন্থীদের ওপর ক্ষুব্ধ থাকলেও এতটা কঠোর হতে চাননি। কিন্তু কাউন্সিলর ও মাঠপর্যায়ের মনোভাব তাঁকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। কাউন্সিল অধিবেশনে শত শত কাউন্সিলর সংস্কারপন্থীদের দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। কাউন্সিলররা এ দাবিতে স্লোগান দিতে দিতে একপর্যায়ে মঞ্চে ওঠে পড়েন। শেখ হাসিনা তাঁদের শান্ত করেন। কাউন্সিলরদের এ রকম প্রতিক্রিয়ায় শেখ হাসিনা কাউন্সিল অধিবেশনে তিনবার ক্ষমার কথা উচ্চারণ করেন। এরপর ২৯ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের কাউন্সিলররা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে একই দাবি করেন।
সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ২৬টি সদস্যপদ পূরণের জন্য যে খসড়া করা হয়েছে, তাতেও বেশির ভাগ নতুন মুখ। গঠনতন্ত্র অনুসারে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় সদস্য মনোনয়নের জন্য গত শুক্রবার সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে আলোচনা করেন। প্রাথমিকভাবে শেখ হাসিনা মধ্যম সারির কয়েকজন নেতাকে কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে নিয়োগের কথা বললেও সভাপতিমণ্ডলীর অনুমোদন পাননি। বরং তাঁদের বাদ দেওয়ার কথা ওঠে বৈঠকে। ফলে ওই দিনের বৈঠকে ২৬ সদস্যের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়নি।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী নানা দিক বিচার-বিশ্লেষণ করেই কমিটি গঠন করেছেন। প্রথমত, তিনি অবিশ্বস্ত নেতাদের সরিয়ে দিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন। তবে নতুনের আগমনকে শুভ কামনা করে তাঁরা দলকে এগিয়ে নেবেন সে প্রত্যাশাই করছেন সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
দলের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানা যায়, দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা পুরোনো ও মধ্যম সারির বড় একটা অংশকে দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিলেও এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাড়া অন্যদের তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। নতুন নেতৃত্ব ভালো করুক, সেটাই চাইছেন নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা।
জ্যেষ্ঠ নেতারা তাঁদের ভাগ্য সম্পর্কে আগাম কিছুটা আঁচ করতে পারলেও মধ্যম সারির নেতারা স্তম্ভিত ও বিস্মিত হয়েছেন। তাঁদের অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অনানুষ্ঠানিকভাবে তাঁরা নানা কথা বললেও প্রকাশ্যে কিছু বলতে রাজি হননি। বিশেষ করে জ্যেষ্ঠ নেতারা এ মুহূর্তে কোনো কথা বলতে চাননি। মধ্যম সারির নেতারা এখনো আশা করছেন, ২৬টি শূন্যপদে তাঁরা স্থান পাবেন।
সূত্র জানায়, অনেক নেতাই এখন হতাশ। তাঁদের সমর্থকেরা ভিড় করলেও কোনো সদুত্তর দিতে পারছেন না। একজন নেতা আক্ষেপ করেন এবং তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘শেষ জীবনে এটাই প্রাপ্য ছিল!’
অপর এক নেতা বললেন, সভানেত্রী যদি এ রকম সিদ্ধান্তই নেবেন, তাহলে ক্ষমার নাটক করলেন কেন? আর তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়েছেনই বা কে?
আরেকজন নেতা বলেন, ‘নেত্রী পরে বুঝবেন। বিএনপি তো ৩০টি আসন পেয়েছে, আমরা কয়টা পাই, সেটাই দেখার বিষয়।’
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রী কথিত সংস্কারপন্থীদের ওপর ক্ষুব্ধ থাকলেও এতটা কঠোর হতে চাননি। কিন্তু কাউন্সিলর ও মাঠপর্যায়ের মনোভাব তাঁকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। কাউন্সিল অধিবেশনে শত শত কাউন্সিলর সংস্কারপন্থীদের দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। কাউন্সিলররা এ দাবিতে স্লোগান দিতে দিতে একপর্যায়ে মঞ্চে ওঠে পড়েন। শেখ হাসিনা তাঁদের শান্ত করেন। কাউন্সিলরদের এ রকম প্রতিক্রিয়ায় শেখ হাসিনা কাউন্সিল অধিবেশনে তিনবার ক্ষমার কথা উচ্চারণ করেন। এরপর ২৯ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের কাউন্সিলররা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে একই দাবি করেন।
সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ২৬টি সদস্যপদ পূরণের জন্য যে খসড়া করা হয়েছে, তাতেও বেশির ভাগ নতুন মুখ। গঠনতন্ত্র অনুসারে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় সদস্য মনোনয়নের জন্য গত শুক্রবার সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে আলোচনা করেন। প্রাথমিকভাবে শেখ হাসিনা মধ্যম সারির কয়েকজন নেতাকে কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে নিয়োগের কথা বললেও সভাপতিমণ্ডলীর অনুমোদন পাননি। বরং তাঁদের বাদ দেওয়ার কথা ওঠে বৈঠকে। ফলে ওই দিনের বৈঠকে ২৬ সদস্যের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়নি।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী নানা দিক বিচার-বিশ্লেষণ করেই কমিটি গঠন করেছেন। প্রথমত, তিনি অবিশ্বস্ত নেতাদের সরিয়ে দিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন। তবে নতুনের আগমনকে শুভ কামনা করে তাঁরা দলকে এগিয়ে নেবেন সে প্রত্যাশাই করছেন সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
No comments