মন্দা কাটিয়ে উঠতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও সময় লাগবে: ওবামা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, অর্থনৈতিক মন্দা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও অনেক বেশি সময় লাগবে। কারণ এখনো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মী ছাঁটাই চলছে। গত শনিবার বেতার ও ইন্টারনেটে সাপ্তাহিক ভাষণে ওবামা এ কথা বলেন। শুক্রবার মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাই যা ভাবছে, তার চেয়ে মন্দার প্রভাব আরও ব্যাপক। গত ফেব্রুয়ারিতে কংগ্রেস যে অর্থনৈতিক উদ্দীপনা প্যাকেজ পাস করেছে এবং যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাতে মন্দার প্রভাব কমানো সম্ভব হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের বলছে কর্মসংস্থান বাড়ানোর পূর্বশর্ত হচ্ছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।’ এর আগে গত সপ্তাহের গোড়ার দিকে ওবামা এই বলে আভাস দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত মন্দা কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে।
শুক্রবার প্রকাশিত মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছরের দ্বিতীয় তিন মাসের (এপ্রিল-জুন) হিসাব অনুযায়ী, মোট জাতীয় উত্পাদন (জিডিপি) ১ শতাংশ কমেছে। বছরের প্রথম তিন মাসে জিডিপি কমে যাওয়ার হার ছিল ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। এ ছাড়া ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৬৫ লাখ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। অর্থনীতিবিষয়ক পত্রিকা ব্লুমবার্গ পরিচালিত জরিপে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে ২০১০ সাল নাগাদ কর্মহীনের হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। মার্কিন শ্রম দপ্তরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানানো হয়েছে, গত জুন মাসে বেকারত্বের হার ছিল সাড়ে ৯ শতাংশ।
বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির আশাবাদ প্রকাশ করে ওবামা বলেন, ‘আমি মনে করি, চাকরি থেকে ছাঁটাই না থামা পর্যন্ত মন্দা কেটেছে—এ রকমটা ভাবা যাবে না। প্রতিটি বেকার আমেরিকানের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি না করা পর্যন্ত আমি থামব না।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি জানি, অসংখ্য পরিবার ও ব্যবসায়ী এই মন্দা কেটে যাওয়ার অপেক্ষায় অনেক কষ্ট সহ্য করছেন। কিন্তু আমি এও জানি, অবশ্যকর্তব্যগুলো ঠিকভাবে করতে পারলে এই মন্দা কেটে যাবে এবং ভবিষ্যতের সোনালী দিনের দেখা পাব আমরা।’
মার্কিন স্বাস্থ্যসেবা পরিকল্পনা: মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ) স্বাস্থ্যসেবা সংস্কারবিষয়ক এনার্জি অ্যান্ড কমার্স কমিটি প্রস্তাবিত স্বাস্থ্যসেবা পরিকল্পনা অনুমোদন করার ব্যাপারটিকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। স্বাস্থ্যসেবা পরিকল্পনার বাস্তবায়নে এই গতিশীলতা বজায় রাখার জন্য আইনসভার সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। গত শুক্রবার এনার্জি অ্যান্ড কমার্স কমিটিতে ৩১-২৮ ভোটে স্বাস্থ্যনীতি অনুমোদন করা হয়। পরের দিন শনিবার ওবামা এক বিবৃতিতে এই অনুমোদনকে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন। আড়াই লাখ কোটি ডলারের এই স্বাস্থ্যসেবা পরিকল্পনাকে এ বছর অভ্যন্তরীণ খাতগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন ওবামা। ব্লুমবার্গ, রয়টার্স অনলাইন।
শুক্রবার প্রকাশিত মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছরের দ্বিতীয় তিন মাসের (এপ্রিল-জুন) হিসাব অনুযায়ী, মোট জাতীয় উত্পাদন (জিডিপি) ১ শতাংশ কমেছে। বছরের প্রথম তিন মাসে জিডিপি কমে যাওয়ার হার ছিল ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। এ ছাড়া ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৬৫ লাখ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। অর্থনীতিবিষয়ক পত্রিকা ব্লুমবার্গ পরিচালিত জরিপে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে ২০১০ সাল নাগাদ কর্মহীনের হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। মার্কিন শ্রম দপ্তরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানানো হয়েছে, গত জুন মাসে বেকারত্বের হার ছিল সাড়ে ৯ শতাংশ।
বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির আশাবাদ প্রকাশ করে ওবামা বলেন, ‘আমি মনে করি, চাকরি থেকে ছাঁটাই না থামা পর্যন্ত মন্দা কেটেছে—এ রকমটা ভাবা যাবে না। প্রতিটি বেকার আমেরিকানের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি না করা পর্যন্ত আমি থামব না।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি জানি, অসংখ্য পরিবার ও ব্যবসায়ী এই মন্দা কেটে যাওয়ার অপেক্ষায় অনেক কষ্ট সহ্য করছেন। কিন্তু আমি এও জানি, অবশ্যকর্তব্যগুলো ঠিকভাবে করতে পারলে এই মন্দা কেটে যাবে এবং ভবিষ্যতের সোনালী দিনের দেখা পাব আমরা।’
মার্কিন স্বাস্থ্যসেবা পরিকল্পনা: মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ) স্বাস্থ্যসেবা সংস্কারবিষয়ক এনার্জি অ্যান্ড কমার্স কমিটি প্রস্তাবিত স্বাস্থ্যসেবা পরিকল্পনা অনুমোদন করার ব্যাপারটিকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। স্বাস্থ্যসেবা পরিকল্পনার বাস্তবায়নে এই গতিশীলতা বজায় রাখার জন্য আইনসভার সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। গত শুক্রবার এনার্জি অ্যান্ড কমার্স কমিটিতে ৩১-২৮ ভোটে স্বাস্থ্যনীতি অনুমোদন করা হয়। পরের দিন শনিবার ওবামা এক বিবৃতিতে এই অনুমোদনকে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন। আড়াই লাখ কোটি ডলারের এই স্বাস্থ্যসেবা পরিকল্পনাকে এ বছর অভ্যন্তরীণ খাতগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন ওবামা। ব্লুমবার্গ, রয়টার্স অনলাইন।
No comments