পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা প্রত্যাহার যৌক্তিক সিদ্ধান্ত
বিবিসির বাংলাদেশ সংলাপে বক্তারা বলেছেন, শান্তিচুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে এক বিগ্রেড সেনা প্রত্যাহার যৌক্তিক সিদ্ধান্ত। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরও আগেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ ছিল। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল শনিবার এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের পর্বে অতিথি আলোচক ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বিএনপির নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল মঈন খান, কবি আসাদ চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সায়রা খান।
সংলাপের শুরুতেই পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা প্রত্যাহারের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন করেন এক দর্শক। জবাবে সায়রা খান বলেন, কোনো সংঘাতপূর্ণ স্থানে দীর্ঘদিন সেনা থাকা কোনো সমাধান নয়। শান্তিচুক্তি হয়েছে ১৯৯৭ সালে। আরও আগেই সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা উচিৎ ছিল। অর্থমন্ত্রী বলেন, শান্তিচুক্তি অনুযায়ী সেনা সরানো হয়েছে। যারা বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করে তারা বাদে সবার এতে সমর্থন আছে। সেনা প্রত্যাহারে সেখানকার নিরাপত্তায় কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করেন তিনি।
আসাদ চৌধুরী বলেন, পাহাড়ি-বাঙালি বা সংখ্যালঘু বলে কোনো শব্দ থাকা উচিৎ নয়। এ দেশের সবাই বাংলাদেশি। তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তি হয়েছিল। বিএনপি ক্ষমতায় এসে আর চুক্তি বাস্তবায়ন করেনি। আগের সরকার ভালো কাজ করলেও পরের সরকার সেটার বিরোধিতা করবে, এই সংস্কৃতি বাদ দেওয়া উচিৎ। মঈন খান বলেন, সেনাবাহিনী কোথায় থাকবে, কোথায় থাকবে না; সেটা সময়ের নিরিখে ঠিক করা উচিৎ।
সংলাপের দ্বিতীয় প্রশ্নে এক দর্শক আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে নেতা নির্বাচন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হয়েছে কি না, জানতে চান। এ ব্যাপারে আসাদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র এখনো পুরোপুরি চর্চা হয় না। তবে কাউন্সিল হয়েছে এতেই তিনি খুশি। সায়রা খান বলেন, তাঁর কাছে মনে হয়নি পুরোপুরি গণতান্ত্রিকভাবে নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। দলের ভেতরেও বিতর্ক আলোচনা থাকতে হবে। কিন্তু নেতা নির্বাচনে সেটি ছিল না। মইন খান বলেন, অতীতে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রী ঠিক হতো। এবার সেটি হয়নি। অর্থাৎ দলটি গণতন্ত্র থেকে আরও পিছিয়েছে।
তবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সব কাউন্সিলর নেতা নির্বাচনের দায়িত্ব নেত্রীকে দিয়েছিলেন। নেত্রী সবার সঙ্গে কথা বলে সবার মতামত নিয়ে কমিটি করেছেন। এক দর্শক টিপাইমুখে বিশেষজ্ঞদের না পাঠিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের পাঠানো ঠিক হয়েছে কি না, জানতে চান। মঈন খান বলেন, টিপাইমুখে বাঁধ হলে পরিবেশ বিপর্যয় হবে। কাজেই এই দলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ থাকা উচিৎ ছিল।
সায়রা খান বলেন, বর্তমান বিশ্বে কোনো দেশ চাইলেই যা খুশি করতে পারে না। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বাংলাদেশের সেখানে যাওয়া উচিৎ ছিল। আসাদ চৌধুরী বলেন, কেবল বিশেষজ্ঞ নয় সব দল মিলে সেখানে যাওয়া উচিৎ ছিল। এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ভারতে যারা গেছে তাদের মধ্যে বিশেষজ্ঞ আছে। টিপাইমুখ নিয়ে যখন দেশে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তখন বিএনপি-জামায়াত চুপ ছিল। আজ তারা বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে।
দ্রব্যমূল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মঈন খান বলেন, সরকার দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সবজি আর ডাল বাদে বাকি সব জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে। মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে ডাল ও সবজির দাম কমানো যাচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার এসব জিনিসের দাম কমানোরও চেষ্টা করছে।
সংলাপের শুরুতেই পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা প্রত্যাহারের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন করেন এক দর্শক। জবাবে সায়রা খান বলেন, কোনো সংঘাতপূর্ণ স্থানে দীর্ঘদিন সেনা থাকা কোনো সমাধান নয়। শান্তিচুক্তি হয়েছে ১৯৯৭ সালে। আরও আগেই সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা উচিৎ ছিল। অর্থমন্ত্রী বলেন, শান্তিচুক্তি অনুযায়ী সেনা সরানো হয়েছে। যারা বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করে তারা বাদে সবার এতে সমর্থন আছে। সেনা প্রত্যাহারে সেখানকার নিরাপত্তায় কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করেন তিনি।
আসাদ চৌধুরী বলেন, পাহাড়ি-বাঙালি বা সংখ্যালঘু বলে কোনো শব্দ থাকা উচিৎ নয়। এ দেশের সবাই বাংলাদেশি। তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তি হয়েছিল। বিএনপি ক্ষমতায় এসে আর চুক্তি বাস্তবায়ন করেনি। আগের সরকার ভালো কাজ করলেও পরের সরকার সেটার বিরোধিতা করবে, এই সংস্কৃতি বাদ দেওয়া উচিৎ। মঈন খান বলেন, সেনাবাহিনী কোথায় থাকবে, কোথায় থাকবে না; সেটা সময়ের নিরিখে ঠিক করা উচিৎ।
সংলাপের দ্বিতীয় প্রশ্নে এক দর্শক আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে নেতা নির্বাচন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হয়েছে কি না, জানতে চান। এ ব্যাপারে আসাদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র এখনো পুরোপুরি চর্চা হয় না। তবে কাউন্সিল হয়েছে এতেই তিনি খুশি। সায়রা খান বলেন, তাঁর কাছে মনে হয়নি পুরোপুরি গণতান্ত্রিকভাবে নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। দলের ভেতরেও বিতর্ক আলোচনা থাকতে হবে। কিন্তু নেতা নির্বাচনে সেটি ছিল না। মইন খান বলেন, অতীতে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রী ঠিক হতো। এবার সেটি হয়নি। অর্থাৎ দলটি গণতন্ত্র থেকে আরও পিছিয়েছে।
তবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সব কাউন্সিলর নেতা নির্বাচনের দায়িত্ব নেত্রীকে দিয়েছিলেন। নেত্রী সবার সঙ্গে কথা বলে সবার মতামত নিয়ে কমিটি করেছেন। এক দর্শক টিপাইমুখে বিশেষজ্ঞদের না পাঠিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের পাঠানো ঠিক হয়েছে কি না, জানতে চান। মঈন খান বলেন, টিপাইমুখে বাঁধ হলে পরিবেশ বিপর্যয় হবে। কাজেই এই দলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ থাকা উচিৎ ছিল।
সায়রা খান বলেন, বর্তমান বিশ্বে কোনো দেশ চাইলেই যা খুশি করতে পারে না। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বাংলাদেশের সেখানে যাওয়া উচিৎ ছিল। আসাদ চৌধুরী বলেন, কেবল বিশেষজ্ঞ নয় সব দল মিলে সেখানে যাওয়া উচিৎ ছিল। এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ভারতে যারা গেছে তাদের মধ্যে বিশেষজ্ঞ আছে। টিপাইমুখ নিয়ে যখন দেশে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তখন বিএনপি-জামায়াত চুপ ছিল। আজ তারা বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে।
দ্রব্যমূল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মঈন খান বলেন, সরকার দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সবজি আর ডাল বাদে বাকি সব জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে। মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে ডাল ও সবজির দাম কমানো যাচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার এসব জিনিসের দাম কমানোরও চেষ্টা করছে।
No comments