পোটকা মাছের বিষ ও প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা by মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ
আজ থেকে প্রায় সাত বছর আগে খুলনার দিঘলিয়ায় পোটকা মাছ খেয়ে মারা যাওয়ার খবরটি আজও আমার স্পষ্ট মনে পড়ছে। এর পরে নরসিংদী, কক্সবাজারসহ আরও কয়েক জায়গায় পোটকা মাছ খেয়ে মৃত্যুর খবর শোনা গেছে। একদিকে বাংলাদেশে এই মাছটি খাওয়ার প্রতি ভীতির সঞ্চার হয়েছে, অন্যদিকে জাপান ও কোরিয়ায় খাদ্য হিসেবে এর কদর যেন দিন দিনই বাড়ছে।
জাপানে ১৯১২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩০০ বছর এ মাছটি খাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। তবে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে, যেখানে শাসনব্যবস্থা ছিল কিছুটা দুর্বল, সেখানে মাছটির উপভোগ্য বাণিজ্য গড়ে ওঠে। বিষাক্ত অংশ আলাদা করার পর পোটকার শরীরে ছড়িয়ে থাকা সামান্য বিষ আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে যে বিক্রিয়া হয়, তা নাকি পরম আনন্দের (আমি কখনো এর স্বাদ নেওয়ার চেষ্টা করিনি, যদিও জাপানে গবেষণার কাজে বিভিন্ন সময় থেকেছি)।
পোটকা মাছের বিষক্রিয়া বা এই বিশেষ অনুভূতির কথা জানিয়েছেন বিশ্বপরিব্রাজক ক্যাপ্টেন জেমস কুক তাঁর লগ বইয়ে, দ্বিতীয়বারের মতো জাপান ভ্রমণের সময় ১৭৭৪ সালে। পোটকা মাছ খেয়ে তিনি প্রায় মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যান। কুকের দ্বিতীয়বারের ভ্রমণের সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন একদল বিজ্ঞানী। সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখ অস্ট্রেলিয়ার অদূরে একটি দ্বীপে (New Caledonia) পৌঁছালেন। একদল বিজ্ঞানী তীরে নেমে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করছিলেন, কেউবা খাবার কেনায় ব্যস্ত। এর মধ্যেই একজন তাহতি দ্বীপ থেকে এক টুকরো কাপড়ের বিনিময়ে সংগ্রহ করেন নতুন প্রজাতির বড় মাথাওয়ালা একটি মাছ। নতুন প্রজাতির মাছ বলে লগ বইয়ে লিপিবদ্ধ করলেন জেমস কুক এবং মাছটির স্কেচও এঁকে ফেললেন। কুক নির্দেশ দিলেন মাছটিকে ডিনারে পরিবেশন করার জন্য। কুক লিখেছেন, ‘অতি উত্সাহে মাছটির লিভার ও ডিম্বাশয় আমি ও বন্ধু মি. ফস্টার খাওয়ার একটু চেষ্টা করেছি মাত্র। ভোররাতে তিন-চারটার দিকে দেখি প্রচণ্ড দুর্বলতায় আমি নড়াচড়া করতে পারছি না। হাত ও পায়ের জোড়াগুলো একদম নির্জীব হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে হাত ও পাগুলো প্রচণ্ড ঠান্ডায় জমে গেছে এবং নিচ থেকে তাতে কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। শরীরের অনুভূতি এমনভাবেই হারিয়েছিলাম, যেন এক বালতি পানি ও পাখির পালকের ওজন একই মনে হয়। আমি প্রচণ্ড ঘামাতে থাকলাম এবং একপর্যায়ে বমি শুরু করলাম। বমির পরে কিছুটা সুস্থবোধ করলাম। পরদিন সকালে দেখলাম মাছটির নাড়ি-ভুঁড়ি যে শূকরটিকে খাইয়েছিলাম সেটি মরে গেছে।’
হ্যাঁ, পোটকা মাছের বিষ ছড়িয়ে থাকে লিভার, ডিম্বাশয় ও চামড়ায়। জাপানে যারা মাছকে পরিবেশন করে, তাদের বেশ লম্বা ট্রেনিং দেওয়া হয় এর বিষ থলে আলাদা করার জন্য। তার পরও জাপানে এ মাছ খেয়ে অনেক লোকের মৃত্যু হয়। আর এ জন্যই একমাত্র এই সুস্বাদু খাবারটি জাপানের রাজপরিবারের জন্য এখনো নিষিদ্ধ রয়েছে। গবেষণায় জানা গেছে, এই মাছের প্রিয় খাবারের সঙ্গে একধরনের ব্যাকটেরিয়া পোটকা মাছের শরীরে ঢুকে পড়ে এবং এই বিষ তৈরি করে। তাই এই ব্যাকটেরিয়ামুক্ত ফ্রেশ পানিতে নির্বিষ পোটকা মাছ উত্পাদন করা সম্ভব। যেমনটি হচ্ছে জাপানের কেওসু দ্বীপের ওইটা শহরে। পোটকা মাছের বিষ শরীরে ঢুকলে কিছুক্ষণের মধ্যে সাধারণত ঠোঁট ও জিহবা নির্জীব হয়ে পড়ে। প্রচণ্ড দুর্বলতায় হাত-পায়ের নড়াচড়া সীমিত হয়ে পড়ে। রক্তচাপ নেমে যায়। বমি হতে পারে। মূলত মুখমণ্ডল ও ফুসফুসের নিচের অংশ (diaphrame) অবশ হয়ে যায়। ফলে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে রোগী কোমায় চলে যেতে পারে এবং পরে মৃত্যুও হতে পারে।
মজার ব্যাপার, পোটকা মাছের বিষ মানুষের মস্তিষ্কের আবরণ ভেদ করে ভেতরে ঢুকতে পারে না, তাই মস্তিষ্কের কর্মক্রিয়া ঠিকই থাকে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যারা সুস্থ হয়ে ওঠে, তারা সবকিছুই মনে করতে পারছে অবচেতন সময়ে চারপাশে কী ঘটেছে। অনেক সময় দেখা গেছে, মৃত্যু হয়েছে ভেবে শেষকৃত্য করার সময় রোগী নড়েচড়ে বসে।
পোটকা মাছের বিষক্রিয়ায় প্রান্তিক স্নায়ু (peripheral nerve), মোটর নিউরন ও মাংসপেশির কার্যকারিতা থেমে যায়। এখনো এই বিষের কোনো ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। তবে শ্বাসপ্রশ্বাসের সহায়তাসহ চারকোল দিয়ে পাকস্থলী পরিষ্কার করলে বেঁচে ওঠার সম্ভাবনা থাকে।
পোটকা মাছে যে বিষ থাকে তার নাম Tetrodotoxin সংক্ষেপে টিটিএক্স। এটি নিউরনের সঙ্গে নিউরনের বা মাংসকোষের যে যোগাযোগ হয় তা বন্ধ করে দেয়।
আমাদের নিউরন বা মাংসকোষের ঝিল্লিতে অসংখ্য ছিদ্রের মতো পথ রয়েছে, এদের বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় আয়ন চ্যানেল (ion channels) এবং এই চ্যানেলের মধ্য দিয়ে প্রধানত সোডিয়াম ও পটাশিয়াম আয়ন চলাচল করে। সোডিয়াম আয়নের ভেতরে প্রবেশ ও পটাশিয়াম আয়নের বাইরে নির্গমনের মাধ্যমে যে বৈদ্যুতিক সিগন্যাল তৈরি হয়, তাই মূলত আমাদের মস্তিষ্ক তথা নিউরন কোষের তথ্য প্রবাহের ভাষা। এই সোডিয়াম ও পটাশিয়াম আয়ন চলাচলের ছিদ্রগুলোর গঠন সম্পূর্ণই আলাদা (selective) অর্থাৎ সোডিয়াম আয়ন কখনো পটাশিয়াম চ্যানেল দিয়ে ঢুকবে না। প্রতিটি আয়ন চ্যানেলে একটি করে দরজা রয়েছে, যাতে আছে ভোল্টেজ সংবেদক (voltage sensor) এবং সামান্য বিদ্যুত্ (এক ভোল্টের একহাজার ভাগের কয়েক ভাগ) পেলেই এই দরজা খুলে যায়। প্রায় ১২০ প্রজাতির পোটকা মাছের মধ্যে বাংলাদেশে ১০-১২ প্রজাতির পোটকা মাছ পাওয়া যায়। এর সবই কিন্তু বিষাক্ত নয়।
শুধু পোটকা মাছই নয়, কয়েক প্রজাতির সামুদ্রিক কাঁকড়াসহ অন্য কয়েক প্রজাতির মাছের শরীরেও বিষ থাকে। বিদেশে এসব বিষ সংগ্রহ করে ব্যথানাশক ওষুধ তৈরি হচ্ছে এবং আমাদের দেশেও এর উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এই বর্ষাকালেই মাছটির সহজলভ্যতা বাড়ে, কিন্তু এই পোটকা মাছ খাওয়া থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিৎ। শহরের লোকজন সচেতন থাকলেও সমুদ্র-উপকূলের মানুষসহ জেলে সম্প্রদায় না জেনেই খেয়ে ফেলে। তাই প্রচারমাধ্যমগুলো এ কাজে অনেক ভূমিকা রাখতে পারে।
ড. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ: ডিপার্টমেন্ট অব নিউরোসায়েন্স, ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়া, স্কুল অব মেডিসিন, যুক্তরাষ্ট্র।
জাপানে ১৯১২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩০০ বছর এ মাছটি খাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। তবে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে, যেখানে শাসনব্যবস্থা ছিল কিছুটা দুর্বল, সেখানে মাছটির উপভোগ্য বাণিজ্য গড়ে ওঠে। বিষাক্ত অংশ আলাদা করার পর পোটকার শরীরে ছড়িয়ে থাকা সামান্য বিষ আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে যে বিক্রিয়া হয়, তা নাকি পরম আনন্দের (আমি কখনো এর স্বাদ নেওয়ার চেষ্টা করিনি, যদিও জাপানে গবেষণার কাজে বিভিন্ন সময় থেকেছি)।
পোটকা মাছের বিষক্রিয়া বা এই বিশেষ অনুভূতির কথা জানিয়েছেন বিশ্বপরিব্রাজক ক্যাপ্টেন জেমস কুক তাঁর লগ বইয়ে, দ্বিতীয়বারের মতো জাপান ভ্রমণের সময় ১৭৭৪ সালে। পোটকা মাছ খেয়ে তিনি প্রায় মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যান। কুকের দ্বিতীয়বারের ভ্রমণের সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন একদল বিজ্ঞানী। সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখ অস্ট্রেলিয়ার অদূরে একটি দ্বীপে (New Caledonia) পৌঁছালেন। একদল বিজ্ঞানী তীরে নেমে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করছিলেন, কেউবা খাবার কেনায় ব্যস্ত। এর মধ্যেই একজন তাহতি দ্বীপ থেকে এক টুকরো কাপড়ের বিনিময়ে সংগ্রহ করেন নতুন প্রজাতির বড় মাথাওয়ালা একটি মাছ। নতুন প্রজাতির মাছ বলে লগ বইয়ে লিপিবদ্ধ করলেন জেমস কুক এবং মাছটির স্কেচও এঁকে ফেললেন। কুক নির্দেশ দিলেন মাছটিকে ডিনারে পরিবেশন করার জন্য। কুক লিখেছেন, ‘অতি উত্সাহে মাছটির লিভার ও ডিম্বাশয় আমি ও বন্ধু মি. ফস্টার খাওয়ার একটু চেষ্টা করেছি মাত্র। ভোররাতে তিন-চারটার দিকে দেখি প্রচণ্ড দুর্বলতায় আমি নড়াচড়া করতে পারছি না। হাত ও পায়ের জোড়াগুলো একদম নির্জীব হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে হাত ও পাগুলো প্রচণ্ড ঠান্ডায় জমে গেছে এবং নিচ থেকে তাতে কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। শরীরের অনুভূতি এমনভাবেই হারিয়েছিলাম, যেন এক বালতি পানি ও পাখির পালকের ওজন একই মনে হয়। আমি প্রচণ্ড ঘামাতে থাকলাম এবং একপর্যায়ে বমি শুরু করলাম। বমির পরে কিছুটা সুস্থবোধ করলাম। পরদিন সকালে দেখলাম মাছটির নাড়ি-ভুঁড়ি যে শূকরটিকে খাইয়েছিলাম সেটি মরে গেছে।’
হ্যাঁ, পোটকা মাছের বিষ ছড়িয়ে থাকে লিভার, ডিম্বাশয় ও চামড়ায়। জাপানে যারা মাছকে পরিবেশন করে, তাদের বেশ লম্বা ট্রেনিং দেওয়া হয় এর বিষ থলে আলাদা করার জন্য। তার পরও জাপানে এ মাছ খেয়ে অনেক লোকের মৃত্যু হয়। আর এ জন্যই একমাত্র এই সুস্বাদু খাবারটি জাপানের রাজপরিবারের জন্য এখনো নিষিদ্ধ রয়েছে। গবেষণায় জানা গেছে, এই মাছের প্রিয় খাবারের সঙ্গে একধরনের ব্যাকটেরিয়া পোটকা মাছের শরীরে ঢুকে পড়ে এবং এই বিষ তৈরি করে। তাই এই ব্যাকটেরিয়ামুক্ত ফ্রেশ পানিতে নির্বিষ পোটকা মাছ উত্পাদন করা সম্ভব। যেমনটি হচ্ছে জাপানের কেওসু দ্বীপের ওইটা শহরে। পোটকা মাছের বিষ শরীরে ঢুকলে কিছুক্ষণের মধ্যে সাধারণত ঠোঁট ও জিহবা নির্জীব হয়ে পড়ে। প্রচণ্ড দুর্বলতায় হাত-পায়ের নড়াচড়া সীমিত হয়ে পড়ে। রক্তচাপ নেমে যায়। বমি হতে পারে। মূলত মুখমণ্ডল ও ফুসফুসের নিচের অংশ (diaphrame) অবশ হয়ে যায়। ফলে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে রোগী কোমায় চলে যেতে পারে এবং পরে মৃত্যুও হতে পারে।
মজার ব্যাপার, পোটকা মাছের বিষ মানুষের মস্তিষ্কের আবরণ ভেদ করে ভেতরে ঢুকতে পারে না, তাই মস্তিষ্কের কর্মক্রিয়া ঠিকই থাকে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যারা সুস্থ হয়ে ওঠে, তারা সবকিছুই মনে করতে পারছে অবচেতন সময়ে চারপাশে কী ঘটেছে। অনেক সময় দেখা গেছে, মৃত্যু হয়েছে ভেবে শেষকৃত্য করার সময় রোগী নড়েচড়ে বসে।
পোটকা মাছের বিষক্রিয়ায় প্রান্তিক স্নায়ু (peripheral nerve), মোটর নিউরন ও মাংসপেশির কার্যকারিতা থেমে যায়। এখনো এই বিষের কোনো ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। তবে শ্বাসপ্রশ্বাসের সহায়তাসহ চারকোল দিয়ে পাকস্থলী পরিষ্কার করলে বেঁচে ওঠার সম্ভাবনা থাকে।
পোটকা মাছে যে বিষ থাকে তার নাম Tetrodotoxin সংক্ষেপে টিটিএক্স। এটি নিউরনের সঙ্গে নিউরনের বা মাংসকোষের যে যোগাযোগ হয় তা বন্ধ করে দেয়।
আমাদের নিউরন বা মাংসকোষের ঝিল্লিতে অসংখ্য ছিদ্রের মতো পথ রয়েছে, এদের বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় আয়ন চ্যানেল (ion channels) এবং এই চ্যানেলের মধ্য দিয়ে প্রধানত সোডিয়াম ও পটাশিয়াম আয়ন চলাচল করে। সোডিয়াম আয়নের ভেতরে প্রবেশ ও পটাশিয়াম আয়নের বাইরে নির্গমনের মাধ্যমে যে বৈদ্যুতিক সিগন্যাল তৈরি হয়, তাই মূলত আমাদের মস্তিষ্ক তথা নিউরন কোষের তথ্য প্রবাহের ভাষা। এই সোডিয়াম ও পটাশিয়াম আয়ন চলাচলের ছিদ্রগুলোর গঠন সম্পূর্ণই আলাদা (selective) অর্থাৎ সোডিয়াম আয়ন কখনো পটাশিয়াম চ্যানেল দিয়ে ঢুকবে না। প্রতিটি আয়ন চ্যানেলে একটি করে দরজা রয়েছে, যাতে আছে ভোল্টেজ সংবেদক (voltage sensor) এবং সামান্য বিদ্যুত্ (এক ভোল্টের একহাজার ভাগের কয়েক ভাগ) পেলেই এই দরজা খুলে যায়। প্রায় ১২০ প্রজাতির পোটকা মাছের মধ্যে বাংলাদেশে ১০-১২ প্রজাতির পোটকা মাছ পাওয়া যায়। এর সবই কিন্তু বিষাক্ত নয়।
শুধু পোটকা মাছই নয়, কয়েক প্রজাতির সামুদ্রিক কাঁকড়াসহ অন্য কয়েক প্রজাতির মাছের শরীরেও বিষ থাকে। বিদেশে এসব বিষ সংগ্রহ করে ব্যথানাশক ওষুধ তৈরি হচ্ছে এবং আমাদের দেশেও এর উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এই বর্ষাকালেই মাছটির সহজলভ্যতা বাড়ে, কিন্তু এই পোটকা মাছ খাওয়া থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিৎ। শহরের লোকজন সচেতন থাকলেও সমুদ্র-উপকূলের মানুষসহ জেলে সম্প্রদায় না জেনেই খেয়ে ফেলে। তাই প্রচারমাধ্যমগুলো এ কাজে অনেক ভূমিকা রাখতে পারে।
ড. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ: ডিপার্টমেন্ট অব নিউরোসায়েন্স, ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়া, স্কুল অব মেডিসিন, যুক্তরাষ্ট্র।
No comments