গাজায় খাদ্য সংকট তীব্র
১৯শে জানুয়ারি শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি শুরুর পর থেকে গাজায় প্রতি সপ্তাহে হাজার হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। শনিবার চুক্তির প্রথম ধাপের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এদিকে হামাসের বিরুদ্ধে সাহায্য সামগ্রী চুরি করে তা দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ আনা হয়েছে নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের তরফ থেকে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে হামাস। খান ইউনিসের বাসিন্দা আবু কায়েস আরিয়ান বলেন, রোববার রাত থেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য দ্বিগুণ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই পণ্যের মূল্য দুই থেকে তিন দিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বাসিন্দারা জানান, রাতারাতি এক কেজি টমেটোর মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে ১০ শেকেলে পৌঁছেছে। শসার মূল্য পৌঁছেছে ১৭ শেকেলে।
ইসসাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, ক্ষুধা নিবারণের জন্য আমাদের এক কেজি টমেটো ক্রয় করার সামর্থ্যও নেই। তিনি আরো বলেন, মানুষ খাদ্য ক্রয় করতে পারছে না। কারণ তাদের কাছে নগদ অর্থ নেই। জাবালিয়ার ধ্বংসস্তূপের মাঝে খাদ্য বিক্রয় করছেন ফিলিস্তিনিরা। ইসা মেইত নামে গাজা শহরের এক বাসিন্দা বলেন, এমনিতেই দীর্ঘদিন যাবত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঘাটতি ছিলো। আমরা এটা ভেবে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলাম যে, সবকিছুর দাম পুনরায় বৃদ্ধি পাবে। আর ঠিক সেটিই হলো। তিনি আরো বলেন, ত্রাণ আটকে দেয়া একটি ভুল সিদ্ধান্ত। এই দুর্মূল্যের বাজারে আমরা কিভাবে বাচ্চাদের লালন পালন করবো - প্রশ্ন করেন তিনি। কেউ কেউ অবশ্য দাম বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীদেরকে দায়ী করছেন। তারা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পরিস্থিতিকে কাজে লাগানোর অভিযোগ এনেছেন। ব্যবসায়ী মাহমুদ আবু মোহসেন জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে পাইকারী ব্যবসায়ীর পণ্যের দাম বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, আগে আমি তিন, চার অথবা পাঁচ শেকেলে চিনি ক্রয় করতাম। তবে, বর্তমানে আমাকে তা ছয় শেকেলে ক্রয় করতে হচ্ছে। এতে আমার সামান্য লাভ হয়।
No comments