বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা কমলেও আধুনিকায়ন বেড়েছে
আরো ভয়ঙ্কর হচ্ছে বিশ্বের পরমাণু অস্ত্র |
গোটা
বিশ্বের মোট পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা কমলেও বেশির ভাগ দেশই তাদের হাতে মজুদ
পরমাণু অস্ত্রগুলোর আধুনিকায়ন করেছে; কিন্তু এশিয়ার তিন দেশের পারমাণবিক
অস্ত্রের সংখ্যা বেড়েছে। দেশ তিনটি হলো ভারত, পাকিস্তান ও চীন।
সুইডেন-ভিত্তিক অস্ত্রবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) প্রকাশিত সর্বশেষ একটি রিপোর্ট থেকে এমন তথ্যই জানা গেছে। এতে বর্তমান অস্ত্রশস্ত্র, নিরস্ত্রীকরণ এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা পরিমাপ করা হয়েছে।
এসআইপিআরআই রিপোর্ট জানিয়েছে, ২০১৯ সালের শুরুর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, ইসরাইল এবং উত্তর কোরিয়ার কাছে মোট ১৩ হাজার ৮৬৫টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। ২০১৮ সালে বিশ্বের মোট পারমাণবিক অস্ত্রের চেয়ে এবার ৬০০টি অস্ত্র কমেছে দেশগুলোর; কিন্তু একই সময়ে প্রত্যেকটি দেশ তাদের পারমাণবিক অস্ত্রগুলো আরো আধুনিকায়ন করার কাজ করেছে। এ ছাড়া ভারত, চীন এবং পাকিস্তানের অস্ত্রভাণ্ডারে নতুন করে পারমাণবিক অস্ত্র যুক্ত হয়েছে তথা পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডার আরো সমৃদ্ধ করছে।
এসআইপিআরআইর ‘নিউক্লিয়ার আর্মস কন্ট্রোল প্রোগ্রাম’ তথা পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিচালক এবং তাদের প্রকাশিত রিপোর্টটির একজন লেখক শ্যানন কিলে বলেছেন, ‘গোটা বিশ্বের পারমাণবিক অস্ত্র হয়তো কমেছে; কিন্তু নতুন অস্ত্রও যুক্ত হয়েছে। বিশ্বে এখন পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা কম; কিন্তু সেগুলো আধুনিক। তবে সীমান্তের দুই পারে দুই দেশ, ভারত ও পাকিস্তান যেভাবে পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার বাড়াচ্ছে, তা চিন্তার বিষয়। দু’দেশের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব চলছে, পরমাণু অস্ত্র তার বিপদকে আরো কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা কমার পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া। তথাপি বিশ্বের মোট পারমাণবিক অস্ত্রের ৯০ শতাংশের বেশি নিজেদের দখলে রেখেছে এই দুই দেশ। স্নায়ু যুদ্ধের সময়ের যুদ্ধাস্ত্র সরিয়ে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে আসার এবং পরমাণু অস্ত্রের সংগ্রহ নিয়ন্ত্রিত করার লক্ষ্যে ২০১৮ সালে বিশ্বের ক্ষমতাধর এই দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত নিউ স্টার্ট চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কারণেই এটা হয়েছে।
এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২১ সালে; কিন্তু পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিচালক শ্যানন কিলে বলছেন, ‘চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে এই দুই দেশের কেউই আলোচনা করছে না, যা গোটা বিশ্বের জন্য একটি শঙ্কার বিষয়। আমেরিকার মিলিটারি অপারেশন এবং নিরাপত্তাসংক্রান্ত কথাবার্তায় যেভাবে পরমাণু অস্ত্রকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে, তা যথেষ্ট চিন্তার।
সূত্র : এএফপি ও ডন
সুইডেন-ভিত্তিক অস্ত্রবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) প্রকাশিত সর্বশেষ একটি রিপোর্ট থেকে এমন তথ্যই জানা গেছে। এতে বর্তমান অস্ত্রশস্ত্র, নিরস্ত্রীকরণ এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা পরিমাপ করা হয়েছে।
এসআইপিআরআই রিপোর্ট জানিয়েছে, ২০১৯ সালের শুরুর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, ইসরাইল এবং উত্তর কোরিয়ার কাছে মোট ১৩ হাজার ৮৬৫টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। ২০১৮ সালে বিশ্বের মোট পারমাণবিক অস্ত্রের চেয়ে এবার ৬০০টি অস্ত্র কমেছে দেশগুলোর; কিন্তু একই সময়ে প্রত্যেকটি দেশ তাদের পারমাণবিক অস্ত্রগুলো আরো আধুনিকায়ন করার কাজ করেছে। এ ছাড়া ভারত, চীন এবং পাকিস্তানের অস্ত্রভাণ্ডারে নতুন করে পারমাণবিক অস্ত্র যুক্ত হয়েছে তথা পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডার আরো সমৃদ্ধ করছে।
এসআইপিআরআইর ‘নিউক্লিয়ার আর্মস কন্ট্রোল প্রোগ্রাম’ তথা পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিচালক এবং তাদের প্রকাশিত রিপোর্টটির একজন লেখক শ্যানন কিলে বলেছেন, ‘গোটা বিশ্বের পারমাণবিক অস্ত্র হয়তো কমেছে; কিন্তু নতুন অস্ত্রও যুক্ত হয়েছে। বিশ্বে এখন পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা কম; কিন্তু সেগুলো আধুনিক। তবে সীমান্তের দুই পারে দুই দেশ, ভারত ও পাকিস্তান যেভাবে পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার বাড়াচ্ছে, তা চিন্তার বিষয়। দু’দেশের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব চলছে, পরমাণু অস্ত্র তার বিপদকে আরো কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা কমার পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া। তথাপি বিশ্বের মোট পারমাণবিক অস্ত্রের ৯০ শতাংশের বেশি নিজেদের দখলে রেখেছে এই দুই দেশ। স্নায়ু যুদ্ধের সময়ের যুদ্ধাস্ত্র সরিয়ে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে আসার এবং পরমাণু অস্ত্রের সংগ্রহ নিয়ন্ত্রিত করার লক্ষ্যে ২০১৮ সালে বিশ্বের ক্ষমতাধর এই দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত নিউ স্টার্ট চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কারণেই এটা হয়েছে।
এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২১ সালে; কিন্তু পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিচালক শ্যানন কিলে বলছেন, ‘চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে এই দুই দেশের কেউই আলোচনা করছে না, যা গোটা বিশ্বের জন্য একটি শঙ্কার বিষয়। আমেরিকার মিলিটারি অপারেশন এবং নিরাপত্তাসংক্রান্ত কথাবার্তায় যেভাবে পরমাণু অস্ত্রকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে, তা যথেষ্ট চিন্তার।
সূত্র : এএফপি ও ডন
No comments