কাশ্মীর পরিস্থিতি ‘অগ্রহণযোগ্য’: যুক্তরাষ্ট্রকে কণ্ঠ জোরালো করার আহ্বান
দখলীকৃত
কাশ্মীরে ভারতের ‘অগ্রহণযোগ্য’ পদক্ষেপের বিষয়ে দৃষ্টি আহ্বান আকর্ষণ
করলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দল থেকে শক্তিধর
অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স ও পাকিস্তানের
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গত রোববার ৫৬তম কনভেনশন অব ইসলামিক সোসাইটি অব নর্থ
আমেরিকার (আইএসএনএ) সম্মেলনে আলাদা আলাদা বক্তব্যে তারা অবরুদ্ধ কাশ্মীরের
মানুষের পরিণতির কথা তুলে ধরেন। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ
প্রকাশ করেন বার্নি স্যান্ডার্স। সেখানকার সব রকম যোগাযোগ নিষেধাজ্ঞা
অবিলম্বে প্রত্যাহার দাবি করেন তিনি। কাশ্মীরি জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান
দেখিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক আইন ও জাতিসংঘ সমর্থিত শান্তিপূর্ণ
সমাধানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে জোরালো কণ্ঠে কথা বলারও আহ্বান জানান
বর্ষীয়ান এই নেতা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে বার্নি স্যান্ডার্স কাশ্মীরে দখলদারিত্ব সম্প্রসারণে ভারতীয় উদ্যোগকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ভারত সরকার কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করেছে।
ভিন্ন মতাবলম্বীদের দমন করা হয়েছে। যোগাযোগ ‘ব্লাকআউট’ করা হয়েছে। এতে সেখানে যে অবস্থা বিরাজ করছে তাতে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি আরো বলেন, নিরাপত্তার নামে যে দমনপীড়ন চালানো হচ্ছে তাতে কাশ্মীরের জনগণকে মেডিকেল সেবা নেয়ার অধিকারও প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। এমনকি ভারতীয় অনেক সম্মানিত চিকিৎসক স্বীকার করেছেন যে, ভ্রমণের ওপর ভারত সরকারের চাপিয়ে দেয়া বিধিনিষেধের কারণে রোগিদের প্রয়োজনীয় জীবন রক্ষার সেবা এখন হুমকিতে।
অন্যদিকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে এতে বক্তব্য তুলে ধরেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বিষয়ে সবার বোঝা উচিত বলে বক্তব্য রাখেন। এটি হলো ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপির অঙ্গ সংগঠন। ইমরান খান বলেন, আমি এক্ষেত্রে আমার মতো সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু আইএসএনএ’র প্লাটফর্ম থেকে আপনাদের উচিত এ বিষয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টা নেয়া এবং মানুষকে বিষয়টি বোঝানো, যে কি ঘটছে। আরএসএস সম্পর্কে পশ্চিমা সমাজের কাছে আপনাদেরকে পরিষ্কার করে জানানো উচিত। আরএসএস বিশ্বাস করে বর্ণবাদী হিন্দুত্ববাদী সভ্যতার আধিপত্য এবং ভারত থেকে মুসলিম জাতির নির্মূল। ইমরান খান এ বিষয়ে মানুষকে গবেষণা করতে এবং এর উৎস খুঁজে বের করার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি আবার বিজয় পাওয়ার পর তারা আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসছে। আমরা কথা বলছি এমন একটি দেশ (ভারত) সম্পর্কে, যেখানে একশ’ কোটিরও বেশি মানুষ আছে। দেশটিতে আছে পারমাণবিক অস্ত্র। আর এই দেশটি পরিচালিত হচ্ছে একটি উগ্রপন্থি আদর্শ দিয়ে। নাৎসীরা যা প্রমাণ করেছে তাহলো, একটি ক্ষুদ্র, সুসংগঠিত আদর্শিক গ্রুপ একটি দেশকে কব্জায় নিতে পারে। ভারতে ঠিক এই ঘটনাই ঘটেছে। ভারতে বিরাজ করছে একটি উগ্রবাদী আদর্শ।
ইমরান খান আরো বলেন, ভারতে বিজেপি সরকার জনসংখ্যাতত্ত্বকে পাল্টে দিতে চায়। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি এলাকায় মুসলিমদেরকে সংখ্যালঘু বানাতে চায়। এ জন্য সেখানে তারা বহিরাগতদের নিতে চায়। আর এর মধ্য দিয়ে জনসংখ্যাতত্ত্ব পাল্টে দিতে চায়। এটা হলো চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের অনুচ্ছেদ ৪৯-এর লঙ্ঘন। একটি দখলীকৃত ভূখন্ডে আপনি জনসংখ্যাতত্ত্ব পাল্টে দিতে পারেন না। আমরা বিশ্বাস করি কাশ্মীরে যা ঘটছে তা হলো, জনগণের মধ্যে আরএসএসের দুর্বৃত্তদের মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। আমার ভয় হচ্ছে, এই আদর্শ সেখানে থামবে না। তারা একটি বোতলের ভিতর থেকে দৈত্যকে ছেড়ে দেবে, যা আর বোতলের ভিতরে ফিরে যাবে না। এটাই হলো হিন্দুত্ববাদী আধিপত্যের ঘৃণা। এই ঘৃণা মুসলিমরা ছড়িয়ে দিচ্ছে না।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে বার্নি স্যান্ডার্স কাশ্মীরে দখলদারিত্ব সম্প্রসারণে ভারতীয় উদ্যোগকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ভারত সরকার কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করেছে।
ভিন্ন মতাবলম্বীদের দমন করা হয়েছে। যোগাযোগ ‘ব্লাকআউট’ করা হয়েছে। এতে সেখানে যে অবস্থা বিরাজ করছে তাতে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি আরো বলেন, নিরাপত্তার নামে যে দমনপীড়ন চালানো হচ্ছে তাতে কাশ্মীরের জনগণকে মেডিকেল সেবা নেয়ার অধিকারও প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। এমনকি ভারতীয় অনেক সম্মানিত চিকিৎসক স্বীকার করেছেন যে, ভ্রমণের ওপর ভারত সরকারের চাপিয়ে দেয়া বিধিনিষেধের কারণে রোগিদের প্রয়োজনীয় জীবন রক্ষার সেবা এখন হুমকিতে।
অন্যদিকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে এতে বক্তব্য তুলে ধরেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বিষয়ে সবার বোঝা উচিত বলে বক্তব্য রাখেন। এটি হলো ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপির অঙ্গ সংগঠন। ইমরান খান বলেন, আমি এক্ষেত্রে আমার মতো সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু আইএসএনএ’র প্লাটফর্ম থেকে আপনাদের উচিত এ বিষয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টা নেয়া এবং মানুষকে বিষয়টি বোঝানো, যে কি ঘটছে। আরএসএস সম্পর্কে পশ্চিমা সমাজের কাছে আপনাদেরকে পরিষ্কার করে জানানো উচিত। আরএসএস বিশ্বাস করে বর্ণবাদী হিন্দুত্ববাদী সভ্যতার আধিপত্য এবং ভারত থেকে মুসলিম জাতির নির্মূল। ইমরান খান এ বিষয়ে মানুষকে গবেষণা করতে এবং এর উৎস খুঁজে বের করার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি আবার বিজয় পাওয়ার পর তারা আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসছে। আমরা কথা বলছি এমন একটি দেশ (ভারত) সম্পর্কে, যেখানে একশ’ কোটিরও বেশি মানুষ আছে। দেশটিতে আছে পারমাণবিক অস্ত্র। আর এই দেশটি পরিচালিত হচ্ছে একটি উগ্রপন্থি আদর্শ দিয়ে। নাৎসীরা যা প্রমাণ করেছে তাহলো, একটি ক্ষুদ্র, সুসংগঠিত আদর্শিক গ্রুপ একটি দেশকে কব্জায় নিতে পারে। ভারতে ঠিক এই ঘটনাই ঘটেছে। ভারতে বিরাজ করছে একটি উগ্রবাদী আদর্শ।
ইমরান খান আরো বলেন, ভারতে বিজেপি সরকার জনসংখ্যাতত্ত্বকে পাল্টে দিতে চায়। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি এলাকায় মুসলিমদেরকে সংখ্যালঘু বানাতে চায়। এ জন্য সেখানে তারা বহিরাগতদের নিতে চায়। আর এর মধ্য দিয়ে জনসংখ্যাতত্ত্ব পাল্টে দিতে চায়। এটা হলো চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের অনুচ্ছেদ ৪৯-এর লঙ্ঘন। একটি দখলীকৃত ভূখন্ডে আপনি জনসংখ্যাতত্ত্ব পাল্টে দিতে পারেন না। আমরা বিশ্বাস করি কাশ্মীরে যা ঘটছে তা হলো, জনগণের মধ্যে আরএসএসের দুর্বৃত্তদের মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। আমার ভয় হচ্ছে, এই আদর্শ সেখানে থামবে না। তারা একটি বোতলের ভিতর থেকে দৈত্যকে ছেড়ে দেবে, যা আর বোতলের ভিতরে ফিরে যাবে না। এটাই হলো হিন্দুত্ববাদী আধিপত্যের ঘৃণা। এই ঘৃণা মুসলিমরা ছড়িয়ে দিচ্ছে না।
No comments