বৃটেনে ‘টাইটানিক ব্যাটল’
‘টাইটানিক
ব্যাটলের’ মুখোমুখি হচ্ছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বৃটেনে আজ রাতে
বিদ্রোহী এমপিদের তোপের মুখে তার এক কঠিন পরীক্ষা। চুক্তিবিহিন ব্রেক্সিট
বন্ধ করতে পার্লামেন্টে ভোট দেবেন এমপিরা। এতে সরকার পরাজিত হলে আগামী ১৪ই
অক্টোবর আগাম নির্বাচন ঘোষণা করতে পারেন বরিস জনসন। ক্ষমতাসীন দল
কনজার্ভেটিভের কোনো এমপি পার্লামেন্টের ভোটে তার বিরুদ্ধে ভোট দিলে তিনি
তাকে বহিষ্কার করার হুমকি দিয়েছেন। তার এই হুমকিকে ‘আগ্রাসী’ বলে অভিহিত
করেছেন ফিলিপ হ্যামন্ড। অন্যদিকে এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করার হুমকি দিয়েছেন
জাস্টিন গ্রিনিং। এসব নিয়ে তীব্র এক উত্তেজনা বিরাজ করছে বৃটেনে।
অনলাইন ডেইলি মেইল লিখেছে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন চুক্তিবিহিন ব্রেক্সিট থামানোর বিষয়ে আজ রাতে হাউজ অব কমন্সে ভোট ডেকেছেন। এই ভোটকে তার ওপর আস্থা হিসেবেও দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে যেসব এমপি চুক্তিবিহিন ব্রেক্সিট বন্ধের চেষ্টা করবেন তাদেরকে বহিষ্কার না করতে আহ্বান জানিয়েছেন কর্ম ও পেনশন বিষয়কমন্ত্রী আম্বার রাড। ডেইলি মেইলই বরিস জনসনের এই লড়াইকে ‘টাইটানিক ব্যাটল’ বা টাইটানিক যুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এতে বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ভোটকে সামনে রেখে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বৃটেনকে রাখার পক্ষে যারা তাদেরকে আস্থায় নেয়ার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করছেন বরিস জনসন। কারণ, এই ভোট বৃটেনের ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে পারে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর হুমকি সত্ত্বেও বিদ্রোহীরা পিছু হটছেন না। এ অবস্থায় তিনি আগামী ১৪ই অক্টোবর আগাম নির্বাচন দেয়ার হুমকি দিতে পারেন।
আজ রাতে হাউজ অব কমন্সে ভোটের আগে ধারণা করা হচ্ছে কমপক্ষে এক ডজন এমপি সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। তাদের উদ্দেশ্য থাকবে এই ভোটে সরকারকে পরাজিত করে হাউজ অব কমন্সের নিয়ন্ত্রণ নেয়া। এমন অবস্থায় সোমবার রাতে এক প্রাইভেট মিটিংয়ে কনজার্ভেটিভ এসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্যরা রানিমেডে ও ওয়েইব্রিজে এমপি ফিলিপ হ্যামন্ডকে পুনঃনির্বাচিত করেছেন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য। এরপরই মঙ্গলবার তিনি সরকারের ‘আগ্রাসী’ কৌশলের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যদি তাকে বরখাস্ত করা হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে সারাজীবন লড়াই করতে হবে। ফিলিপ হ্যামন্ড প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, আমি পার্লামেন্টে বিল সমর্থন করবো। আমি মনে করি বিলটি পাস করানোর মতো সংখ্যা আমাদের আছে।
১০ ডাউনিং স্ট্রিটের ব্রেক্সিট বিষয়ক প্রধান ডমিনিক কামিংসেরও কড়া সমালোচনা করেছেন ফিলিপ হ্যামন্ড। তিনি বলেছেন, এই দল (কনজার্ভেটিভ) আমার। জনগণের বিরুদ্ধে এই দল অবস্থান নিতে যাচ্ছে। যে জনগণ হলো এই সরকারের হৃদপিন্ড। তাই আমি তাদের পক্ষ নিতে যাচ্ছি। এই সরকার কনজার্ভেটিভ পার্টির ভবিষ্যতের কোনো পরোয়া করে না। ওদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে থাকা রিমেইনার্সদের পক্ষ নিয়ে আগেভাগেই নিজের শাস্তি নিয়ে নিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী জাস্টিন গ্রিনিং। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন কনজার্ভেটিভ দলের হয়ে তিনি আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। মঙ্গলবার রাতে তিনি বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দেবেন। ওদিকে মঙ্গলবার সকালে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে প্রাইভেট আলোচনায় মিলিত হয়েছিলেন একদল সিনিয়র নেতা। তার মধ্যে ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ডেভিড গাউকে, গ্রেগ ক্লার্ক ও ক্যারোলাইন নোকস।
অনলাইন ডেইলি মেইল লিখেছে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন চুক্তিবিহিন ব্রেক্সিট থামানোর বিষয়ে আজ রাতে হাউজ অব কমন্সে ভোট ডেকেছেন। এই ভোটকে তার ওপর আস্থা হিসেবেও দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে যেসব এমপি চুক্তিবিহিন ব্রেক্সিট বন্ধের চেষ্টা করবেন তাদেরকে বহিষ্কার না করতে আহ্বান জানিয়েছেন কর্ম ও পেনশন বিষয়কমন্ত্রী আম্বার রাড। ডেইলি মেইলই বরিস জনসনের এই লড়াইকে ‘টাইটানিক ব্যাটল’ বা টাইটানিক যুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এতে বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ভোটকে সামনে রেখে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বৃটেনকে রাখার পক্ষে যারা তাদেরকে আস্থায় নেয়ার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করছেন বরিস জনসন। কারণ, এই ভোট বৃটেনের ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে পারে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর হুমকি সত্ত্বেও বিদ্রোহীরা পিছু হটছেন না। এ অবস্থায় তিনি আগামী ১৪ই অক্টোবর আগাম নির্বাচন দেয়ার হুমকি দিতে পারেন।
আজ রাতে হাউজ অব কমন্সে ভোটের আগে ধারণা করা হচ্ছে কমপক্ষে এক ডজন এমপি সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। তাদের উদ্দেশ্য থাকবে এই ভোটে সরকারকে পরাজিত করে হাউজ অব কমন্সের নিয়ন্ত্রণ নেয়া। এমন অবস্থায় সোমবার রাতে এক প্রাইভেট মিটিংয়ে কনজার্ভেটিভ এসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্যরা রানিমেডে ও ওয়েইব্রিজে এমপি ফিলিপ হ্যামন্ডকে পুনঃনির্বাচিত করেছেন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য। এরপরই মঙ্গলবার তিনি সরকারের ‘আগ্রাসী’ কৌশলের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যদি তাকে বরখাস্ত করা হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে সারাজীবন লড়াই করতে হবে। ফিলিপ হ্যামন্ড প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, আমি পার্লামেন্টে বিল সমর্থন করবো। আমি মনে করি বিলটি পাস করানোর মতো সংখ্যা আমাদের আছে।
১০ ডাউনিং স্ট্রিটের ব্রেক্সিট বিষয়ক প্রধান ডমিনিক কামিংসেরও কড়া সমালোচনা করেছেন ফিলিপ হ্যামন্ড। তিনি বলেছেন, এই দল (কনজার্ভেটিভ) আমার। জনগণের বিরুদ্ধে এই দল অবস্থান নিতে যাচ্ছে। যে জনগণ হলো এই সরকারের হৃদপিন্ড। তাই আমি তাদের পক্ষ নিতে যাচ্ছি। এই সরকার কনজার্ভেটিভ পার্টির ভবিষ্যতের কোনো পরোয়া করে না। ওদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে থাকা রিমেইনার্সদের পক্ষ নিয়ে আগেভাগেই নিজের শাস্তি নিয়ে নিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী জাস্টিন গ্রিনিং। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন কনজার্ভেটিভ দলের হয়ে তিনি আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। মঙ্গলবার রাতে তিনি বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দেবেন। ওদিকে মঙ্গলবার সকালে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে প্রাইভেট আলোচনায় মিলিত হয়েছিলেন একদল সিনিয়র নেতা। তার মধ্যে ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ডেভিড গাউকে, গ্রেগ ক্লার্ক ও ক্যারোলাইন নোকস।
এডিনবার্গের কোর্টে উঠছে পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত
বৃটিশ
পার্লামেন্ট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত আবার আদালতে উঠছে আজ। এডিনবার্গের
কোর্টে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা। আন্তঃদলীয় পার্লামেন্টারিয়ানদের একটি
গ্রুপ চাইছেন এই কোর্ট থেকে এমন একটি রায় দেয়া হোক যে, প্রধানমন্ত্রী বরিস
জনসন অবৈধ কাজ করছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
বিচারক লর্ড ডোহার্টি বলেছেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থে, জনস্বার্থে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই শুনানিটা করতে হবে। তবে এমন উদ্যোগের বিরোধিতা করছে সরকার। তারা যুক্তি দেখাচ্ছে যে, পার্লামেন্ট স্থগিত করার বিষয়ে সরকার তার বৈধ ক্ষমতা ব্যবহার করছে। মঙ্গলবারের এই শুনানিতে অংশ নিতে অনুমোদন চেয়েছেন দ্য লর্ড এডভোকট জেমস উলফি কিউসি।
তিনি আবেদন জমা দিয়েছেন আদালতের শুনানিতে অংশ নেয়ার জন্য। বিষয়টি বৃহস্পতিবার লন্ডনের হাইকোর্টেও উঠবে। সেখানেও অংশ নিতে চেয়েছেন তিনি। যদি তিনি অনুমোদন পেয়ে যান তাহলে এমন যুক্তি তুলে ধরবেন যে, পার্লামেন্ট স্থগিত করা হলে যাচাই প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় এবং তা হয়ে ওঠে নির্বাহী ক্ষমতার অপব্যবহার।
আগস্টের শুরুতে আদালতে প্রথম গিয়েছিলেন এসএনপি দলের এমপি জোয়ানা চেরি ও লিবারেল ডেমোক্রেট দলের নেতা জো সুইনসনের নেতৃত্বাধীন এমপিরা। তবে পার্লামেন্ট স্থগিতে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের অনুরোধ অনুমোদন করেছেন রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
বিচারক লর্ড ডোহার্টি বলেছেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থে, জনস্বার্থে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই শুনানিটা করতে হবে। তবে এমন উদ্যোগের বিরোধিতা করছে সরকার। তারা যুক্তি দেখাচ্ছে যে, পার্লামেন্ট স্থগিত করার বিষয়ে সরকার তার বৈধ ক্ষমতা ব্যবহার করছে। মঙ্গলবারের এই শুনানিতে অংশ নিতে অনুমোদন চেয়েছেন দ্য লর্ড এডভোকট জেমস উলফি কিউসি।
তিনি আবেদন জমা দিয়েছেন আদালতের শুনানিতে অংশ নেয়ার জন্য। বিষয়টি বৃহস্পতিবার লন্ডনের হাইকোর্টেও উঠবে। সেখানেও অংশ নিতে চেয়েছেন তিনি। যদি তিনি অনুমোদন পেয়ে যান তাহলে এমন যুক্তি তুলে ধরবেন যে, পার্লামেন্ট স্থগিত করা হলে যাচাই প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় এবং তা হয়ে ওঠে নির্বাহী ক্ষমতার অপব্যবহার।
আগস্টের শুরুতে আদালতে প্রথম গিয়েছিলেন এসএনপি দলের এমপি জোয়ানা চেরি ও লিবারেল ডেমোক্রেট দলের নেতা জো সুইনসনের নেতৃত্বাধীন এমপিরা। তবে পার্লামেন্ট স্থগিতে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের অনুরোধ অনুমোদন করেছেন রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
No comments