সবুজ ট্রেনে চড়ে রাশিয়ায় উন
রাশিয়ার
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রথম দফা বৈঠকে অংশ নিতে রাশিয়ায়
পৌঁছেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। ওয়াশিংটনের সঙ্গে বিরোধ
নিষ্পত্তিতে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইতে আজ বুধবার দেশটিতে পৌঁছান তিনি।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক অচলাবস্থা বিবেচনায় দেশ দুটির মধ্যে মিল রয়েছে। পিয়ংইয়ং তাই তার দীর্ঘদিনের মিত্র মস্কোর সঙ্গে পুরোনো সম্পর্ক ঝালাই করতে চাইছে। বৃহস্পতিবার ভ্লাদিভস্তোকের প্রশান্ত মহাসাগরীয় শহরে মুখোমুখি হবেন রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার দুই নেতা। গত ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর এই প্রথম কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন কিম।
এর আগে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানায়, ট্রেনে করে রাশিয়ার পথে রওনা হয়েছেন কিম। ভিয়েতনাম বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো সাংবাদিকদের জানান, যাহোক না কেন, দেশটির আগের অবস্থান ‘কখনোই পাল্টাবে না’।
কিমের ব্যক্তিগত সাঁজোয়া ট্রেন আজ বুধবার রাশিয়ার সীমান্তবর্তী শহর খাসানে পৌঁছায়। রাশিয়ার বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, রাশিয়ার ঐতিহ্য অনুযায়ী রুটি ও লবণ দিয়ে কিমকে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। ভ্লাদিভস্তোকের রাস্কি আইল্যান্ডে এরই মধ্যে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার পতাকা পাশাপাশি উড়ছে। এখানকার এক বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনটি।
গত বছর কিমের কূটনৈতিক প্রস্তাবের পর থেকে বারবার তাঁকে দেশে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছিলেন পুতিন। ফলে শুরু হতে যাচ্ছে এই বৈঠক। ২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ এই নেতা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে চারটি, দক্ষিণ কোরিয়ার নেতা মুন জে-ইনের সঙ্গে তিনটি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দুটি ও ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একটি আলোচনায় অংশ নেন কিম।
বিশ্লেষকদের মতে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তিতে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইছেন কিম। একই সঙ্গে পশ্চিমা কূটনীতিকদের দাবি, একসময় মস্কোর যে প্রতাপ ছিল, বর্তমান বিশ্বে তাদের নানা ভূমিকায় তারই প্রতিফলন খুঁজে পাওয়া যায়।
হ্যানয়ের সম্মেলনে নগদ অর্থের সংকটে থাকা উত্তর কোরিয়া তাৎক্ষণিকভাবে অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেওয়ার দাবি জানায়। পারমাণবিক অস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর অবরোধ দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে অবরোধ তুলে নেওয়ার বিনিময়ে পিয়ংইয়ং তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধ রাখতে অস্বীকৃতি জানালে কোনো সর্বসম্মত চুক্তি ছাড়াই ভেস্তে যায় সেই বৈঠক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি এই অবরোধ শিথিল করার আহ্বান জানিয়েছে মস্কোও। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি পারমাণবিক কর্মসূচিতে পিয়ংইয়ংকে নানাভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করছে রাশিয়া। অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন।
ক্রেমলিনের বৈদেশিক নীতি সহায়ক ইউরি উশাকোভ গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছেন যে আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু হবে কোরীয় উপদ্বীপে পারমাণবিক সমস্যার রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক সমাধান। তিনি আরও জানান, কোনো যৌথ চুক্তি বা বিবৃতিতে স্বাক্ষর করার পরিকল্পনা তাঁদের নেই।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক অচলাবস্থা বিবেচনায় দেশ দুটির মধ্যে মিল রয়েছে। পিয়ংইয়ং তাই তার দীর্ঘদিনের মিত্র মস্কোর সঙ্গে পুরোনো সম্পর্ক ঝালাই করতে চাইছে। বৃহস্পতিবার ভ্লাদিভস্তোকের প্রশান্ত মহাসাগরীয় শহরে মুখোমুখি হবেন রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার দুই নেতা। গত ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর এই প্রথম কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন কিম।
এর আগে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানায়, ট্রেনে করে রাশিয়ার পথে রওনা হয়েছেন কিম। ভিয়েতনাম বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো সাংবাদিকদের জানান, যাহোক না কেন, দেশটির আগের অবস্থান ‘কখনোই পাল্টাবে না’।
কিমের ব্যক্তিগত সাঁজোয়া ট্রেন আজ বুধবার রাশিয়ার সীমান্তবর্তী শহর খাসানে পৌঁছায়। রাশিয়ার বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, রাশিয়ার ঐতিহ্য অনুযায়ী রুটি ও লবণ দিয়ে কিমকে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। ভ্লাদিভস্তোকের রাস্কি আইল্যান্ডে এরই মধ্যে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার পতাকা পাশাপাশি উড়ছে। এখানকার এক বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনটি।
গত বছর কিমের কূটনৈতিক প্রস্তাবের পর থেকে বারবার তাঁকে দেশে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছিলেন পুতিন। ফলে শুরু হতে যাচ্ছে এই বৈঠক। ২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ এই নেতা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে চারটি, দক্ষিণ কোরিয়ার নেতা মুন জে-ইনের সঙ্গে তিনটি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দুটি ও ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একটি আলোচনায় অংশ নেন কিম।
বিশ্লেষকদের মতে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তিতে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইছেন কিম। একই সঙ্গে পশ্চিমা কূটনীতিকদের দাবি, একসময় মস্কোর যে প্রতাপ ছিল, বর্তমান বিশ্বে তাদের নানা ভূমিকায় তারই প্রতিফলন খুঁজে পাওয়া যায়।
হ্যানয়ের সম্মেলনে নগদ অর্থের সংকটে থাকা উত্তর কোরিয়া তাৎক্ষণিকভাবে অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেওয়ার দাবি জানায়। পারমাণবিক অস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর অবরোধ দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে অবরোধ তুলে নেওয়ার বিনিময়ে পিয়ংইয়ং তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধ রাখতে অস্বীকৃতি জানালে কোনো সর্বসম্মত চুক্তি ছাড়াই ভেস্তে যায় সেই বৈঠক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি এই অবরোধ শিথিল করার আহ্বান জানিয়েছে মস্কোও। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি পারমাণবিক কর্মসূচিতে পিয়ংইয়ংকে নানাভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করছে রাশিয়া। অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন।
ক্রেমলিনের বৈদেশিক নীতি সহায়ক ইউরি উশাকোভ গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছেন যে আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু হবে কোরীয় উপদ্বীপে পারমাণবিক সমস্যার রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক সমাধান। তিনি আরও জানান, কোনো যৌথ চুক্তি বা বিবৃতিতে স্বাক্ষর করার পরিকল্পনা তাঁদের নেই।
No comments