রোহিঙ্গা সংকটের রাজনৈতিক সমাধান জরুরি
শুধু
মানবিক সহায়তা বা প্রতিক্রিয়াই নয়, রোহিঙ্গা সংকটের রাজনৈতিক সমাধান জরুরি
বলে মনে করে জাতিসংঘ। কক্সবাজারস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দু’দিন কাটিয়ে ঢাকায়
ফিরে জাতিসংঘ মহাসচিবের মানবিক দূত (হিউম্যানিটারিয়ান এনভয়) আহমেদ আল
মেরাইক ও ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোরের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ
অভিমত ব্যক্ত করা হয়। গত ২৫ ও ২৬শে ফেব্রুয়ারি ওই দুই কর্মকর্তা
কক্সবাজারে কাটিয়েছেন। একাধিক রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং ইউনিসেফ পরিচালিত
লার্নিং সেন্টার পরিদর্শন করে তারা বাস্তুচ্যুত শিশু-কিশোরদের কাছ থেকে
তাদের ওপর বয়ে যাওয়া বর্বরতার মর্মস্পর্শী বর্ণনা শুনেন। সংবাদ সম্মেলনে এক
প্রশ্নের জবাবে মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের বিশেষ দূত ড. আহমেদ বলেন,
আমরা মনে করি রোহিঙ্গা সংকটের একটি সমাধান খুঁজে পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ
জন্য আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করছি।
আমরা মনে করি মানবিক সহায়তা বা পদক্ষেপ বাস্তুচ্যুত ওই জনগোষ্ঠীর কেবল সাময়িক দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করতে। অপর প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ দূতের সঙ্গে সহমত পোষণ করে ইউনিসেফের প্রধান নির্বাহী হেনরিয়েটা ফোর বলেন, বাস্তুচ্যুতদের রাখাইনে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের অধীন সব সংস্থা প্রকাশ্যে এবং আড়ালে উভয় প্রক্রিয়ায় কাজ করছে। এখনো রাখাইনে কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় খানিক হতাশা প্রকাশ করেন গত জানুয়ারিতে মিয়ানমার সফরকারী জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা।
গত ৩০ বছরে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা (ইউনিসেফ)-এর কোনো নির্বাহী পরিচালকের এটাই ছিল প্রথম বার্মা সফর। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রোহিঙ্গা সংকট সামলে ওঠার চেষ্টায় জরুরি তহবিল প্রয়োজন। আশ্রিত রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয় দেয়া স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তায় চলতি বছরের জন্য ১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার সহায়তা চেয়েছে ইউনিসেফ বাংলাদেশ।
ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদনের ২৯ শতাংশ পেয়েছে সংস্থাটি। এ প্রসঙ্গে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা বলেন, বাস্তুচ্যুত শিশুদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে বৈশ্বিক সমাজ হিসেবে আমাদেরও বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যেসব শিশু ও তরুণ জনগোষ্ঠীকে বিশ্ব ‘রাষ্ট্রহীন’ বলে আখ্যা দিয়েছে তাদের সুন্দর জীবন গঠনে শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জন প্রয়োজন। ইউনিসেফ প্রধানের কাছে প্রশ্ন ছিল- বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জনে সংস্থাটি যতটা সক্রিয়, তাদের জন্মস্থান রাখাইনে কেন ইউনিসেফ এতবছর ততটা ফোকাস বা গুরুত্ব দেয়নি? জবাবে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক মিজ ফোর বলেন, আমরা বাংলাদেশ, মিয়ানমারসহ সব জায়গাই সমান ফোকাস বা গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু সর্বত্র সমান সুযোগ পাওয়া যায় না। অনেক এলাকায় প্রবেশেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
৫ লাখ রোহিঙ্গা শিশু হতাশা ও নৈরাশ্যের ঝুঁকিতে আছে: এদিকে সংবাদ সম্মেলনে ইউনিসেফের তরফে বলা হয়, কক্সবাজারে অবস্থানরত ৫ লাখ রোহিঙ্গা শিশু রাষ্ট্রহীন শরণার্থী অবস্থায় রয়েছে।
তারা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন এবং হতাশ ও নৈরাশ্যের ঝুঁকিতে আছে। আন্তর্জাতিক সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে ব্যাপক মানবিক প্রচেষ্টা অগণিত শিশুর জীবন রক্ষা করেছে। তবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে জনবহুল শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাসরত এই রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য এখনো টেকসই কোনো সমাধান দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। ২০১৭ সালে বর্মী বর্বরতার মুখে বিপুল সংখ্যক মানুষ মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়, যার মধ্যে ওই শিশুরাও রয়েছে। মিয়ানমারে তাদের কোনো আইনি পরিচয় বা নাগরিকত্ব নেই। বাংলাদেশেও ওই সব শিশুর জন্মনিবন্ধনের সুযোগ নেই। তাদের বৈধ পরিচয় নেই। তারা শরণার্থীর মর্যাদাও পাচ্ছে না। প্রত্যাবাসন যোগ্য ওই বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর তাদের জন্মস্থান রাখাইনে ফেরানোর নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাঠ্যসূচির বাইরে থাকছে। তাদের বিপণযোগ্য দক্ষতাও অর্জিত হচ্ছে না।
ইউনিসেফের মাঠ পর্যায়ের জরিপ ও সরবরাহ করা তথ্যমতে, কক্সবাজার এলাকাজুড়ে “শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতে” ভর্তি হওয়া ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর ওপর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে করা এক জরিপে শিক্ষার প্রয়োজনের ব্যাপকতা উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, ৯০ শতাংশেরও বেশি শিশু প্রাক-প্রাথমিক থেকে গ্রেড ১-২ পর্যায়ে পড়াশোনা করার যোগ্য। মাত্র ৪ শতাংশ গ্রেড ৩-৫ পর্যায়ে এবং ৩ শতাংশ গ্রেড ৬-৮ পর্যায়ে পড়ার যোগ্য ছিল। ২০১৮ সালের শেষে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী রোহিঙ্গাদের মাত্র ৩ শতাংশ কোনো ধরনের শিক্ষা বা কারিগরি দক্ষতা অর্জন করে। সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত ড. আহমেদ আল মেরাইক বলেন, এই প্রজন্মের রোহিঙ্গাদের পেছনে বিনিয়োগের জন্য আমাদের এ মুহূর্তে এবং সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যাতে তারা আজ তাদের জীবনকে আরো ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারে এবং তারা যখন মিয়ানমারে ফিরে যেতে সক্ষম হবে তখন যেন তারা সেখানকার সামাজিক পুনঃনির্মাণে গঠনমূলক অংশ হতে পারে। বর্তমানে তারা আইনি পরিচয় ব্যতীত পাচারকারী এবং মাদক ব্যবসায়ীদের অনুকম্পায় রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- ইউনিসেফ শিক্ষামূলক প্রকল্প নিয়ে ৪-১৪ বছর বয়সী ১ লাখ ৫৫ হাজার শিশুর কাছে পৌঁছেছে। প্রকল্পটিতে ক্রমান্বয়ে উন্নত মান, কাঠামোগত শিক্ষা ও দক্ষতা যুক্ত হচ্ছে। ২০১৯ সালের জন্য অগ্রাধিকার হচ্ছে, বেশি বয়সী কিশোর-কিশোরীদের সাক্ষরতা ও সংখ্যা গণনার প্রাথমিক দক্ষতা এবং সংশ্লিষ্ট কারিগরি দক্ষতা শেখানো। বাংলাদেশের অন্যতম দরিদ্র জেলা কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদানের বিষয়েও বেশ জোরালো প্রচেষ্টা থাকবে বলেও জানানো হয়।
এ প্রসঙ্গে সংস্থাটি সর্বোচ্চ পদে থাকা মিজ ফোর বলেন, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কিন্তু এটি প্রয়োজনের বালতিতে পানির একটি ফোঁটা মাত্র। এটি একটি অগ্রহণযোগ্য পরিস্থিতি। রোহিঙ্গা শিশু ও তরুণ জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজেদের জীবন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও দক্ষতাবিহীন রাখা যায় না। তিনি আরো বলেন, ‘তারা (রোহিঙ্গা শিশু) যদি নিজেরা বেঁচে থাকার যোগ্য হয়ে উঠতে পারে, তাহলে তাদের কমিউনিটিগুলোও নিজে থেকে টিকে থাকতে এবং সমৃদ্ধি লাভ করতে পারবে। সঠিক বিনিয়োগের মাধ্যমে এই রোহিঙ্গারা তাদের কমিউনিটি এবং বিশ্বের কাছে সম্পদ হতে পারে।
আমরা মনে করি মানবিক সহায়তা বা পদক্ষেপ বাস্তুচ্যুত ওই জনগোষ্ঠীর কেবল সাময়িক দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করতে। অপর প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ দূতের সঙ্গে সহমত পোষণ করে ইউনিসেফের প্রধান নির্বাহী হেনরিয়েটা ফোর বলেন, বাস্তুচ্যুতদের রাখাইনে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের অধীন সব সংস্থা প্রকাশ্যে এবং আড়ালে উভয় প্রক্রিয়ায় কাজ করছে। এখনো রাখাইনে কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় খানিক হতাশা প্রকাশ করেন গত জানুয়ারিতে মিয়ানমার সফরকারী জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা।
গত ৩০ বছরে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা (ইউনিসেফ)-এর কোনো নির্বাহী পরিচালকের এটাই ছিল প্রথম বার্মা সফর। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রোহিঙ্গা সংকট সামলে ওঠার চেষ্টায় জরুরি তহবিল প্রয়োজন। আশ্রিত রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয় দেয়া স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তায় চলতি বছরের জন্য ১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার সহায়তা চেয়েছে ইউনিসেফ বাংলাদেশ।
ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদনের ২৯ শতাংশ পেয়েছে সংস্থাটি। এ প্রসঙ্গে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা বলেন, বাস্তুচ্যুত শিশুদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে বৈশ্বিক সমাজ হিসেবে আমাদেরও বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যেসব শিশু ও তরুণ জনগোষ্ঠীকে বিশ্ব ‘রাষ্ট্রহীন’ বলে আখ্যা দিয়েছে তাদের সুন্দর জীবন গঠনে শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জন প্রয়োজন। ইউনিসেফ প্রধানের কাছে প্রশ্ন ছিল- বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জনে সংস্থাটি যতটা সক্রিয়, তাদের জন্মস্থান রাখাইনে কেন ইউনিসেফ এতবছর ততটা ফোকাস বা গুরুত্ব দেয়নি? জবাবে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক মিজ ফোর বলেন, আমরা বাংলাদেশ, মিয়ানমারসহ সব জায়গাই সমান ফোকাস বা গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু সর্বত্র সমান সুযোগ পাওয়া যায় না। অনেক এলাকায় প্রবেশেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
৫ লাখ রোহিঙ্গা শিশু হতাশা ও নৈরাশ্যের ঝুঁকিতে আছে: এদিকে সংবাদ সম্মেলনে ইউনিসেফের তরফে বলা হয়, কক্সবাজারে অবস্থানরত ৫ লাখ রোহিঙ্গা শিশু রাষ্ট্রহীন শরণার্থী অবস্থায় রয়েছে।
তারা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন এবং হতাশ ও নৈরাশ্যের ঝুঁকিতে আছে। আন্তর্জাতিক সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে ব্যাপক মানবিক প্রচেষ্টা অগণিত শিশুর জীবন রক্ষা করেছে। তবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে জনবহুল শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাসরত এই রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য এখনো টেকসই কোনো সমাধান দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। ২০১৭ সালে বর্মী বর্বরতার মুখে বিপুল সংখ্যক মানুষ মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়, যার মধ্যে ওই শিশুরাও রয়েছে। মিয়ানমারে তাদের কোনো আইনি পরিচয় বা নাগরিকত্ব নেই। বাংলাদেশেও ওই সব শিশুর জন্মনিবন্ধনের সুযোগ নেই। তাদের বৈধ পরিচয় নেই। তারা শরণার্থীর মর্যাদাও পাচ্ছে না। প্রত্যাবাসন যোগ্য ওই বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর তাদের জন্মস্থান রাখাইনে ফেরানোর নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাঠ্যসূচির বাইরে থাকছে। তাদের বিপণযোগ্য দক্ষতাও অর্জিত হচ্ছে না।
ইউনিসেফের মাঠ পর্যায়ের জরিপ ও সরবরাহ করা তথ্যমতে, কক্সবাজার এলাকাজুড়ে “শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতে” ভর্তি হওয়া ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর ওপর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে করা এক জরিপে শিক্ষার প্রয়োজনের ব্যাপকতা উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, ৯০ শতাংশেরও বেশি শিশু প্রাক-প্রাথমিক থেকে গ্রেড ১-২ পর্যায়ে পড়াশোনা করার যোগ্য। মাত্র ৪ শতাংশ গ্রেড ৩-৫ পর্যায়ে এবং ৩ শতাংশ গ্রেড ৬-৮ পর্যায়ে পড়ার যোগ্য ছিল। ২০১৮ সালের শেষে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী রোহিঙ্গাদের মাত্র ৩ শতাংশ কোনো ধরনের শিক্ষা বা কারিগরি দক্ষতা অর্জন করে। সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত ড. আহমেদ আল মেরাইক বলেন, এই প্রজন্মের রোহিঙ্গাদের পেছনে বিনিয়োগের জন্য আমাদের এ মুহূর্তে এবং সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যাতে তারা আজ তাদের জীবনকে আরো ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারে এবং তারা যখন মিয়ানমারে ফিরে যেতে সক্ষম হবে তখন যেন তারা সেখানকার সামাজিক পুনঃনির্মাণে গঠনমূলক অংশ হতে পারে। বর্তমানে তারা আইনি পরিচয় ব্যতীত পাচারকারী এবং মাদক ব্যবসায়ীদের অনুকম্পায় রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- ইউনিসেফ শিক্ষামূলক প্রকল্প নিয়ে ৪-১৪ বছর বয়সী ১ লাখ ৫৫ হাজার শিশুর কাছে পৌঁছেছে। প্রকল্পটিতে ক্রমান্বয়ে উন্নত মান, কাঠামোগত শিক্ষা ও দক্ষতা যুক্ত হচ্ছে। ২০১৯ সালের জন্য অগ্রাধিকার হচ্ছে, বেশি বয়সী কিশোর-কিশোরীদের সাক্ষরতা ও সংখ্যা গণনার প্রাথমিক দক্ষতা এবং সংশ্লিষ্ট কারিগরি দক্ষতা শেখানো। বাংলাদেশের অন্যতম দরিদ্র জেলা কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদানের বিষয়েও বেশ জোরালো প্রচেষ্টা থাকবে বলেও জানানো হয়।
এ প্রসঙ্গে সংস্থাটি সর্বোচ্চ পদে থাকা মিজ ফোর বলেন, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কিন্তু এটি প্রয়োজনের বালতিতে পানির একটি ফোঁটা মাত্র। এটি একটি অগ্রহণযোগ্য পরিস্থিতি। রোহিঙ্গা শিশু ও তরুণ জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজেদের জীবন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও দক্ষতাবিহীন রাখা যায় না। তিনি আরো বলেন, ‘তারা (রোহিঙ্গা শিশু) যদি নিজেরা বেঁচে থাকার যোগ্য হয়ে উঠতে পারে, তাহলে তাদের কমিউনিটিগুলোও নিজে থেকে টিকে থাকতে এবং সমৃদ্ধি লাভ করতে পারবে। সঠিক বিনিয়োগের মাধ্যমে এই রোহিঙ্গারা তাদের কমিউনিটি এবং বিশ্বের কাছে সম্পদ হতে পারে।
No comments