ক্ষেপণাস্ত্রের বাড়ি, রকেটের ছাদ
ক্ষেপণাস্ত্র
দিয়ে তৈরি বাড়ি। গ্রামের যেখানে-সেখানে রকেট। কোনো বাড়ির ছাদের বিম তৈরি
রকেট দিয়ে। কোনো বাড়িতে আবার দরজা বন্ধ করা হয় রকেট দিয়ে। এমনকি গ্রামের
সেতুও রকেট দিয়ে বানানো। একটি বাড়ির ভাঁড়ার ঘর তৈরি সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র
দিয়ে।
এ ধরনের ঘরবাড়িতেই লোকজন দিব্যি বাসও করছে। চলছে সংসারের কাজকর্ম। আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের কয়জেলাবাদ গ্রামে এমন ঘরবাড়ি দেখা গেছে।
বিবিসি অনলাইনের এক ভিডিওতে ইজাতুল্লাহ নামে এক ব্যক্তির বাড়ি দেখা যায়। ইজাতুল্লাহ জানান, বাড়ির ছাদের বিমের জন্য রকেটগুলো আনার সময় তিনি নিতান্তই কিশোর। রকেটগুলো গত শতকের আশির দশকের। রাশিয়ার তৈরি। রাশিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার পর আফগানিস্তানের বাসিন্দাদের হাতে টাকাপয়সা ছিল না। ঘরবাড়ি তৈরির মতো জিনিসপত্র কেনাও কঠিন ছিল। পরে রুশ বাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্র দিয়েই চলে বাড়ি তৈরির কাজ।
রকেট আর ক্ষেপণাস্ত্রের ঘরে এভাবে থাকা কতটা নিরাপদ? জানতে চাইলে কোনো উত্তর দিতে পারেননি ইজাতুল্লাহ। গ্রামে আসা এক পর্যবেক্ষক বিষয়টি খেয়াল করেন। তিনি গ্রামবাসীকে এ ব্যাপারে সচেতন করেন। গ্রামে বিস্ফোরক ধ্বংসের যন্ত্রও পাঠান। এই পর্যবেক্ষক জানান, এক দিনে গ্রামটিতে তাঁরা ৪০০ রকেট দেখেছেন। এগুলো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। একটি বাড়িতে তাঁরা ২৬টি রকেট খুঁজে পেয়েছেন। এগুলো ছিল ১ হাজার ২০০ কেজির টিএনটি বিস্ফোরক।
ওই পর্যবেক্ষক এই বিপদের কথা জানান স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে। গ্রামের অনেকেই জানতেন না রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরিত হলে পুরো গ্রামটিই উড়ে যাওয়ার কথা। বিশেষ করে নারীদের অনেকেই জানতেন না। তাঁদের এ নিয়ে সচেতন করা হয়। এ সময় এক নারী বলেন, রকেটগুলো তাঁর রান্নাঘরের চিমনির কাছেই। রকেট সরিয়ে ফেলা হবে কি না, জানতে চাইলে সানন্দে রাজি হয়ে যান ওই নারী।
পর্যবেক্ষক দলের উদ্যোগে ঘরবাড়ি থেকে রকেটগুলো সরানো হয়। সরানোর পর রকেটগুলো সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সব ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিপদমুক্ত হয়ে খুশি হন ইজাতুল্লাহ ও অন্যরা।
এ ধরনের ঘরবাড়িতেই লোকজন দিব্যি বাসও করছে। চলছে সংসারের কাজকর্ম। আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের কয়জেলাবাদ গ্রামে এমন ঘরবাড়ি দেখা গেছে।
বিবিসি অনলাইনের এক ভিডিওতে ইজাতুল্লাহ নামে এক ব্যক্তির বাড়ি দেখা যায়। ইজাতুল্লাহ জানান, বাড়ির ছাদের বিমের জন্য রকেটগুলো আনার সময় তিনি নিতান্তই কিশোর। রকেটগুলো গত শতকের আশির দশকের। রাশিয়ার তৈরি। রাশিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার পর আফগানিস্তানের বাসিন্দাদের হাতে টাকাপয়সা ছিল না। ঘরবাড়ি তৈরির মতো জিনিসপত্র কেনাও কঠিন ছিল। পরে রুশ বাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্র দিয়েই চলে বাড়ি তৈরির কাজ।
রকেট আর ক্ষেপণাস্ত্রের ঘরে এভাবে থাকা কতটা নিরাপদ? জানতে চাইলে কোনো উত্তর দিতে পারেননি ইজাতুল্লাহ। গ্রামে আসা এক পর্যবেক্ষক বিষয়টি খেয়াল করেন। তিনি গ্রামবাসীকে এ ব্যাপারে সচেতন করেন। গ্রামে বিস্ফোরক ধ্বংসের যন্ত্রও পাঠান। এই পর্যবেক্ষক জানান, এক দিনে গ্রামটিতে তাঁরা ৪০০ রকেট দেখেছেন। এগুলো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। একটি বাড়িতে তাঁরা ২৬টি রকেট খুঁজে পেয়েছেন। এগুলো ছিল ১ হাজার ২০০ কেজির টিএনটি বিস্ফোরক।
ওই পর্যবেক্ষক এই বিপদের কথা জানান স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে। গ্রামের অনেকেই জানতেন না রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরিত হলে পুরো গ্রামটিই উড়ে যাওয়ার কথা। বিশেষ করে নারীদের অনেকেই জানতেন না। তাঁদের এ নিয়ে সচেতন করা হয়। এ সময় এক নারী বলেন, রকেটগুলো তাঁর রান্নাঘরের চিমনির কাছেই। রকেট সরিয়ে ফেলা হবে কি না, জানতে চাইলে সানন্দে রাজি হয়ে যান ওই নারী।
পর্যবেক্ষক দলের উদ্যোগে ঘরবাড়ি থেকে রকেটগুলো সরানো হয়। সরানোর পর রকেটগুলো সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সব ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিপদমুক্ত হয়ে খুশি হন ইজাতুল্লাহ ও অন্যরা।
No comments