ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ড. ফজলে রাব্বী চৌধুরী আর নেই
গাইবান্ধা-৩
(পলাশবাড়ী সাদুল্যাপুর) আসনের ৬ বারের এমপি একাদশ জাতীয় সংসদের ঐক্যফ্রন্ট
মনোনীত প্রার্থী ও জাতীয় পার্টি (জাফর) এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাবেক
মন্ত্রী ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় আজ ভোরে মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহির রাজিউন)
ফুসফুসে সংক্রমণসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। আজকে থেকেই নির্বাচনী এলাকায়
প্রচার প্রচারণায় নামা কথা ছিলো।
ড. টিআইএম রাব্বী চৌধুরী ১৯৩৪ সালে ১লা অক্টোবর গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার তালুকজামিরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ৬ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তার বাবা মরহুম আহসান উদ্দিন চৌধুরী ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক। তিনি ৩ ছেলে ও ২ কন্যা সন্তানের জনক। মৃত্যকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুণাগ্রাহী রেখেগেছেন।
ড. রাব্বী ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ্যানিম্যাল হ্যাজব্যনট্রিতে ২য় স্থান অধিকার করে বিএসসি (অনার্স) ডিগ্রী লাভ করেন ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সরকারি চাকুরি যোগদান করেন।
১৯৬০ সালে আমেরিকা সরকারের বৃত্তি নিয়ে ১৯৬৩ সালে টেকসাস এন্ড এস হতে এমএসসি এবং ১৯৬৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহে এ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে চাকুরিতে যোগদান করেন। তিনি ১৯৬৭ সালে এসোসিয়েট প্রফেসর হিসেবে এবং ১৯৬৯ সালে প্রফেসর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীকালে ১৯৭১ সালে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এছাড়াও ডীন, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ সালে ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি উলফসন কলেজের ফেলো নির্বাচিত হন।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে পর্যায়ক্রমে ৬ (ছয়) বার তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশে তিনিই একমাত্র সাংসদ যিনি কেবলমাত্র বিরতিহীনভাবে গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ি) আসন হতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এই আসন থেকে ১৯৮৩, ১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
ড. রাব্বী একজন সদালাপী ও স্বাধীনচেতা মানুষ। ১৯৮৪ সালে তিনি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এইচএম এরশাদের জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপাতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। পরবর্তী সময় তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রী, ত্রাণ ও পূনর্বাসন মন্ত্রী ও সংস্থাপন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ড. ফজলে রাব্বী ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ এর দায়িত্ব পালন করেন।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের থাকাকালীন তিনি হাঁস-মুরগীর সংক্রামক মরণব্যাধি ‘রাণীক্ষেত’ রোগ নিরসনে নতুন ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেন। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে রাণীক্ষেত রোগের প্রকোপ কমে গেছে। তিনি পীরগঞ্জ উপজেলায় তার পিতার নামে আহসান উদ্দিন চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। গাইবান্ধা আদর্শ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। হরিণাথপুরে ড. ফজলে রাব্বি দাখিলী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাসহ তিনি সাদুল্লাহপুর ও পলাশবাড়ি উপজেলায় বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ করার চেষ্টা করছেন। জনসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘জাতীয় ব্যক্তিত্ব স্মৃতি পরিষদ’ কর্তৃক ২০০৫ সালে সাবেক মূখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার স্মৃতিপদক লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের মুখপাত্র হিসেবে বিভিন্ন সময়ে ইরাক, ইরান, সিরিয়া, জর্ডান, মিশর, ওমান, সৌদি আরাবিয়া, জার্মানি, অস্ট্রোলিয়া, কানাডা, আলজেরিয়া এবং আমেরিকাতে পার্লামেন্টে ডেলিগেট হিসেবে গমন করেন।
পরবর্তীতে তিনি এইচএম এরশাদের জাতীয় পার্টি ছেড়ে কাজী জাফরের জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাজী জাফর মারা যাওয়ার পর থেকে ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
ড. টিআইএম রাব্বী চৌধুরী ১৯৩৪ সালে ১লা অক্টোবর গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার তালুকজামিরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ৬ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তার বাবা মরহুম আহসান উদ্দিন চৌধুরী ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক। তিনি ৩ ছেলে ও ২ কন্যা সন্তানের জনক। মৃত্যকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুণাগ্রাহী রেখেগেছেন।
ড. রাব্বী ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ্যানিম্যাল হ্যাজব্যনট্রিতে ২য় স্থান অধিকার করে বিএসসি (অনার্স) ডিগ্রী লাভ করেন ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সরকারি চাকুরি যোগদান করেন।
১৯৬০ সালে আমেরিকা সরকারের বৃত্তি নিয়ে ১৯৬৩ সালে টেকসাস এন্ড এস হতে এমএসসি এবং ১৯৬৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহে এ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে চাকুরিতে যোগদান করেন। তিনি ১৯৬৭ সালে এসোসিয়েট প্রফেসর হিসেবে এবং ১৯৬৯ সালে প্রফেসর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীকালে ১৯৭১ সালে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এছাড়াও ডীন, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ সালে ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি উলফসন কলেজের ফেলো নির্বাচিত হন।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে পর্যায়ক্রমে ৬ (ছয়) বার তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশে তিনিই একমাত্র সাংসদ যিনি কেবলমাত্র বিরতিহীনভাবে গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ি) আসন হতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এই আসন থেকে ১৯৮৩, ১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
ড. রাব্বী একজন সদালাপী ও স্বাধীনচেতা মানুষ। ১৯৮৪ সালে তিনি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এইচএম এরশাদের জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপাতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। পরবর্তী সময় তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রী, ত্রাণ ও পূনর্বাসন মন্ত্রী ও সংস্থাপন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ড. ফজলে রাব্বী ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ এর দায়িত্ব পালন করেন।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের থাকাকালীন তিনি হাঁস-মুরগীর সংক্রামক মরণব্যাধি ‘রাণীক্ষেত’ রোগ নিরসনে নতুন ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেন। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে রাণীক্ষেত রোগের প্রকোপ কমে গেছে। তিনি পীরগঞ্জ উপজেলায় তার পিতার নামে আহসান উদ্দিন চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। গাইবান্ধা আদর্শ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। হরিণাথপুরে ড. ফজলে রাব্বি দাখিলী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাসহ তিনি সাদুল্লাহপুর ও পলাশবাড়ি উপজেলায় বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ করার চেষ্টা করছেন। জনসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘জাতীয় ব্যক্তিত্ব স্মৃতি পরিষদ’ কর্তৃক ২০০৫ সালে সাবেক মূখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার স্মৃতিপদক লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের মুখপাত্র হিসেবে বিভিন্ন সময়ে ইরাক, ইরান, সিরিয়া, জর্ডান, মিশর, ওমান, সৌদি আরাবিয়া, জার্মানি, অস্ট্রোলিয়া, কানাডা, আলজেরিয়া এবং আমেরিকাতে পার্লামেন্টে ডেলিগেট হিসেবে গমন করেন।
পরবর্তীতে তিনি এইচএম এরশাদের জাতীয় পার্টি ছেড়ে কাজী জাফরের জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাজী জাফর মারা যাওয়ার পর থেকে ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
No comments