হিরো আলম পর্যন্ত হাইকোর্ট দেখায়, বুঝেন অবস্থা: ইসি সচিব
আদালতের
নির্দেশে নির্বাচনী লড়াইয়ে নতুন প্রার্থী যুক্ত হওয়ায় বিপাকে পড়েছে
নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটের এক সপ্তাহ আগে আসনগুলোতে ব্যালটপেপার পৌঁছানোর
পরিকল্পনা ইসি’র। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রার্থিতার বিষয়টি চূড়ান্ত না হওয়ায়
বিপাকে পড়েছে কমিশন। গতকাল এক অনুষ্ঠানে এ জটিলতার কথা জানান ইসি সচিব
হেলালুদ্দীন আহমদ। প্রযুক্তির মাধ্যমে ফলাফল পাঠানোর বিষয়ে ইলেকশন
ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইএমএস), ক্যান্ডিডেট ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
(সিআইএমএস) ও রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আরএমএস) সফটওয়্যার নিয়ে
কারিগরি প্রশিক্ষণ অনু্ষ্ঠানের আয়োজন করে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট।
অনুষ্ঠানে সচিব বলেন, কমিশন এর মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। যেসব
আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে সেসব আসনের ব্যালট ছাপানোর কাজ চলছে।
আর যেসব আসনে এখনো বাকি আছে, ব্যালট পেপার একটু পরে ছাপবো। আমরা এক সপ্তাহ আগেই ব্যালট পেপার এলাকায় পৌঁছাতে চাই।
এখনো উচ্চ আদালত থেকে কিছু কিছু আসনের নির্দেশনা আসায় বিষয়টিতে নির্বাচন কমিশন উদ্বিগ্ন। আদালত থেকে নির্দেশনা আসার কারণে নির্বাচন কমিশনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমন্বয় করতে হচ্ছে। ৫০টির মতো আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়টি সমন্বয় করতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, উচ্চ আদালত বলছে, একজনকে দিলে আরেকজনকে দেবেন না কেন? আপনারা দেখেছেন হিরো আলম পর্যন্ত হাইকোর্ট দেখায়। হিরো আলম বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আমরা হাইকোর্ট দেখাইয়া ছাড়ছি।
বুঝেন অবস্থা! ইসি সচিব বলেন, ও (হিরো আলম) তো স্বতন্ত্র প্রার্থী। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে যখন গেল তার নমিনেশন বাতিল হলো। আপিল করলে সেখানেও কমিশন বাতিল করেছে। পরে হাইকোর্টে তার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০শে ডিসেম্বর ভোটের দিন ইন্টারনেটের গতি কমানোর পরিকল্পনা করছে বলে জানান ইসি সচিব। তবে, ভোটগ্রহণ শেষে গণনার সময়ে ফলাফল পাঠানো ও ব্যবস্থাপনার সুবিধায় বিকালের পর থেকে ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক রাখতে চায় কমিশন।
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে ইসি সচিব বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে আনতে আমাদের অনুরোধ জানিয়েছেন। ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে আনলে ভোটের ফল পাঠাতে খুব অসুবিধা হবে কি না এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি। এ সময় প্রশিক্ষণার্থীরা জানান, ইন্টারনেটের গতি সীমিত থাকলে ফলাফল পাঠাতে সমস্যা হবে। পরে নির্বাচন কমিশন সচিব প্রশিক্ষণার্থীদের আবার প্রশ্ন করেন, ভোট গণনার আগে বিকাল ৫টার আগ পর্যন্ত যদি গতি কম থাকে? এমন প্রশ্নে প্রশিক্ষণার্থীরা জানান, এতে সমস্যা হবে না। পরে সচিব বলেন, আচ্ছা আমরা বিষয়টি দেখবো।
তাহলে ৩০শে ডিসেম্বর বিকাল ৪টার পরে যদি ফুল স্পিডে ইন্টারনেটের লাইন থাকে, তবে কোনো সমস্যা হবে না। সচিব বলেন, ৩০০ আসনে নির্বাচন করা একটা বিশাল ব্যাপার। দেশে যদি রাজনৈতিক সুপরিবেশ থাকে তাহলে কমিশনের কাজ করতে সুবিধা হয়। আর যদি সুপরিবেশ না থাকে সব সময় কমিশনকে বিতর্কের মধ্যে পড়তে হয়। হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনাররা মাঠে যাচ্ছেন, সভা করছেন, কথা বলছেন।
এসবের উদ্দেশ্য নির্বাচন যাতে সুশৃঙ্খল হয়, সুন্দর, সুষ্ঠু হয়, সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের এতো ব্যাপক কর্মযজ্ঞ কিন্তু আর কখনো গ্রহণ করা হয়নি। আমি ৩১ বছর ধরে মাঠে আছি। আমি নিজে রিটার্নিং, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ছিলাম, ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এতো বিশাল কর্মযজ্ঞ এর আগে কখনো দেখিনি। আবার নতুন যোগ হয়েছে ইভিএম। ইভিএম নিয়েও আমরা নির্বাচন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দফায় দফায় প্রশিক্ষণ দিয়েছি। প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্য করে সচিব বলেন, ফলাফল গণনায় খুব সতর্ক হয়ে কাজ করতে হবে। একটা সংখ্যার এদিক-সেদিক হলে কিন্তু ওই এলাকায় মারামারি শুরু হয়ে যাবে। এগুলো আপনারা সাবধানে করবেন।
টেলিভিশনের একটি বিজ্ঞাপনের উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, যুদ্ধের সময় সেনাপ্রধান বললো- সবাই জাগো। কিন্তু সবাই শুনলো ভাগো। ভাগো শুনে সবাই ভেগে গেছেন। কথার শব্দের হের ফেরে যেমন একটা টোটাল অ্যারেঞ্জমেন্ট নষ্ট হয়ে যায়, ঠিক তেমনি আমাদের একটা সংখ্যার কারণেও কিন্তু একটা এলাকায় অশান্তির সৃষ্টি হতে পারে। আপনারা খুব সতর্কতার সঙ্গে, সুন্দরভাবে, ঠাণ্ডামাথায় এ কাজটা করবেন।
আর যেসব আসনে এখনো বাকি আছে, ব্যালট পেপার একটু পরে ছাপবো। আমরা এক সপ্তাহ আগেই ব্যালট পেপার এলাকায় পৌঁছাতে চাই।
এখনো উচ্চ আদালত থেকে কিছু কিছু আসনের নির্দেশনা আসায় বিষয়টিতে নির্বাচন কমিশন উদ্বিগ্ন। আদালত থেকে নির্দেশনা আসার কারণে নির্বাচন কমিশনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমন্বয় করতে হচ্ছে। ৫০টির মতো আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়টি সমন্বয় করতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, উচ্চ আদালত বলছে, একজনকে দিলে আরেকজনকে দেবেন না কেন? আপনারা দেখেছেন হিরো আলম পর্যন্ত হাইকোর্ট দেখায়। হিরো আলম বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আমরা হাইকোর্ট দেখাইয়া ছাড়ছি।
বুঝেন অবস্থা! ইসি সচিব বলেন, ও (হিরো আলম) তো স্বতন্ত্র প্রার্থী। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে যখন গেল তার নমিনেশন বাতিল হলো। আপিল করলে সেখানেও কমিশন বাতিল করেছে। পরে হাইকোর্টে তার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০শে ডিসেম্বর ভোটের দিন ইন্টারনেটের গতি কমানোর পরিকল্পনা করছে বলে জানান ইসি সচিব। তবে, ভোটগ্রহণ শেষে গণনার সময়ে ফলাফল পাঠানো ও ব্যবস্থাপনার সুবিধায় বিকালের পর থেকে ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক রাখতে চায় কমিশন।
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে ইসি সচিব বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে আনতে আমাদের অনুরোধ জানিয়েছেন। ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে আনলে ভোটের ফল পাঠাতে খুব অসুবিধা হবে কি না এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি। এ সময় প্রশিক্ষণার্থীরা জানান, ইন্টারনেটের গতি সীমিত থাকলে ফলাফল পাঠাতে সমস্যা হবে। পরে নির্বাচন কমিশন সচিব প্রশিক্ষণার্থীদের আবার প্রশ্ন করেন, ভোট গণনার আগে বিকাল ৫টার আগ পর্যন্ত যদি গতি কম থাকে? এমন প্রশ্নে প্রশিক্ষণার্থীরা জানান, এতে সমস্যা হবে না। পরে সচিব বলেন, আচ্ছা আমরা বিষয়টি দেখবো।
তাহলে ৩০শে ডিসেম্বর বিকাল ৪টার পরে যদি ফুল স্পিডে ইন্টারনেটের লাইন থাকে, তবে কোনো সমস্যা হবে না। সচিব বলেন, ৩০০ আসনে নির্বাচন করা একটা বিশাল ব্যাপার। দেশে যদি রাজনৈতিক সুপরিবেশ থাকে তাহলে কমিশনের কাজ করতে সুবিধা হয়। আর যদি সুপরিবেশ না থাকে সব সময় কমিশনকে বিতর্কের মধ্যে পড়তে হয়। হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনাররা মাঠে যাচ্ছেন, সভা করছেন, কথা বলছেন।
এসবের উদ্দেশ্য নির্বাচন যাতে সুশৃঙ্খল হয়, সুন্দর, সুষ্ঠু হয়, সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের এতো ব্যাপক কর্মযজ্ঞ কিন্তু আর কখনো গ্রহণ করা হয়নি। আমি ৩১ বছর ধরে মাঠে আছি। আমি নিজে রিটার্নিং, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ছিলাম, ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এতো বিশাল কর্মযজ্ঞ এর আগে কখনো দেখিনি। আবার নতুন যোগ হয়েছে ইভিএম। ইভিএম নিয়েও আমরা নির্বাচন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দফায় দফায় প্রশিক্ষণ দিয়েছি। প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্য করে সচিব বলেন, ফলাফল গণনায় খুব সতর্ক হয়ে কাজ করতে হবে। একটা সংখ্যার এদিক-সেদিক হলে কিন্তু ওই এলাকায় মারামারি শুরু হয়ে যাবে। এগুলো আপনারা সাবধানে করবেন।
টেলিভিশনের একটি বিজ্ঞাপনের উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, যুদ্ধের সময় সেনাপ্রধান বললো- সবাই জাগো। কিন্তু সবাই শুনলো ভাগো। ভাগো শুনে সবাই ভেগে গেছেন। কথার শব্দের হের ফেরে যেমন একটা টোটাল অ্যারেঞ্জমেন্ট নষ্ট হয়ে যায়, ঠিক তেমনি আমাদের একটা সংখ্যার কারণেও কিন্তু একটা এলাকায় অশান্তির সৃষ্টি হতে পারে। আপনারা খুব সতর্কতার সঙ্গে, সুন্দরভাবে, ঠাণ্ডামাথায় এ কাজটা করবেন।
No comments