কূটনীতিকদের যা বললেন ড. কামাল হোসেন
এই নির্বাচনে আমরা পুলিশি সন্ত্রাসের
শিকার। আমি জীবনে কোনদিন এমন অবস্থা দেখিনি। পুলিশ কোন কারণ ছাড়াই মানুষকে
ধরছে। এটা এক জায়গায় না। এই অবস্থা সারা বাংলাদেশে। এটা কেন্দ্রীয়ভাবে
সরকারের কোন একটা কৌশলের অংশ। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগের লোক
ছিলাম। ১৪ দলে ছিলাম।
কিন্তু আজকে আমরা আওয়ামী লীগ বা বিএনপি না, এদেশের নাগরিক হিসেবে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। আজ দুপুরে গুলশানে কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন। তিনি নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
দেশের মানুষ খুব আকাঙ্খার সঙ্গে নির্বাচন চাচ্ছিল। কারণ তারা পরিবর্তন চায়। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, গত দুই সপ্তাহ ধরে পুলিশ অসাধারণভাবে তৎপর সব জায়গায়। এর আগে আমি কখনো এতো পুলিশ রাস্তায় টহল দিতে দেখিনি। কাউকে দেখলে তারা ধরে বসে। এই নির্বাচনে আমরা পুলিশি সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছি। কেউ গেলেই তাকে ধরে ফেলে। কেন ধরছে সেটার কিছু বলে না। থানায় নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। পুলিশের কেউ কেউ বলেছেন এদের দুই তারিখের পর ছাড়া হবে। এটা থেকে আর বোঝার কিছু বাকি থাকেনা। তার মানে ৩০ তারিখ নির্বাচন। এর দুইদিন পরে ছাড়া হবে। যেন তারা কেউ নির্বাচনে কোন ধরণের ভূমিকা রাখতে না পারে। তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের এভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তিনি বলেন, আমি জীবনে কোনদিন এমন অবস্থা দেখিনি। পুলিশ কোন কারণ ছাড়া মানুষকে ধরছে। এটা এক জায়গায় না। এই অবস্থা সারা বাংলাদেশে। এটা কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারের কোন একটা কৌশলের অংশ। তারা বিরোধী নেতাকর্মীদের ধরার জন্য সারাদেশে পুলিশকে নামিয়ে দিয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাত করে বলেছি আপনি আইজিকে এ বিষয়টি জানান। তিনি পরদিনই আইজিকে চিঠি দিয়েছেন। আমি এজন্য সিইসিকে ধন্যবাদ দিচ্ছি কারণ তিনি আমার কথা অন্তত শুনেছেন।
কূটনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে ড. কামাল বলেন, আমরা যে বিষয়গুলো বলব সেগুলো উনারাও অবজার্ভ করছেন। যে কারণে আমাদের তেমন কিছু বলতে হয়নি। আমরা যে রিপোর্ট তৈরি করেছি তারাও তাদের অ্যাম্বাসিতে সিমিলার রিপোর্ট নিজেরা সংগ্রহ করেছেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা তো দেশের মানুষ। আমাদের সবারই এই বিষয়গুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা। কারণ এই নির্বাচনে আমরা বাঙালি হিসেবে সবাই আস্থা রেখেছি। জনগণকে একটি সুযোগ দেয়া হোক। আমরা সবাই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারের পরিবর্তন করি।
আমরা ২০০১ সালে পরিবর্তন করেছি। এরপর ২০০৮ সালে করেছি। তখন আমি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিলাম। ভোটার লিস্ট থেকে ১ কোটির বেশি ভূয়া ভোটার বাদ দিয়েছিলাম। পরে নির্বাচন কমিশনকে পুনঃর্গঠন করা হয়েছিল। এরপরই তো ২০০৮ সালে আমরা অসাধারণ একটা বিজয় অর্জন করেছিলাম। আমি তখন আওয়ামী লীগের লোক ছিলাম। ১৪ দলে ছিলাম। কিন্তু আজকে আমরা আওয়ামী লীগ বিএনপি না, এদেশের নাগরিক হিসেবে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।
এসময় তিনি বলেন, এখানে কি কেউ আছেন যিনি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিপক্ষে? শতভাগ আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে। আমি একথাই বলেছি কূটনীতিকদের। তিনি বলেন, ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখবেন, ৭০ এর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে আমাদের জন্ম। তখন আমি বঙ্গবন্ধুর নির্বাচনে এজেন্ট ছিলাম। পশ্চিম পাকিস্তানিরা এসে বলল তারা কোটি কোটি টাকা নিয়ে এসেছে। আমি বঙ্গবন্ধুকে ফোন করে বললাম কোটি কোটি টাকা তো দিতে পারবেন না। আমার দুই এক লাখ টাকা বাজেট আছে। আমার সঙ্গে প্রায় ২০০ ছেলে-মেয়ে ছিল। আমরা ঘরে ঘরে গিয়েছি। পায়ে হেঁটে গিয়েছি। বুঝিয়েছি আমাদের দাবি বৈষম্য নিরসন। কৃষক উৎপাদন করে, রপ্তানি করে বৈদেশিক মূদ্রা আয় করে। পশ্চিম পাকিস্তানিরা সেগুলো নিয়ে গিয়ে সেখানে সবকিছু গড়ে তুলছে। সেখানে ৫ টা বিশ্ববিদ্যালয় আছে। আমাদের এখানে কয়টা। আয় করছি আমরা। আর উন্নয়ন হচ্ছে পশ্চিম পাকিস্তানে। এই জিনিসগুলো জনগণকে বুঝিয়ে বলার কারণে ৭০ এর নির্বাচনে আমাদের জয় হয়েছে।
ড. কামাল বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানিরা টাকা ঢেলেছে। কিন্তু ভোট পায়নি। আমি বিশ্বাস করি জনগণকে যদি সুযোগ দেয়া হয় তাহলে আজও আগের মতোই করবে। তারা নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ পেলে পরিবর্তন করবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এই সিইসির অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ার আশঙ্কা করে আসছি অনেক আগে থেকেই। তার সঙ্গে সাক্ষাতে আমরা বলেছি, আপনার নিষ্ক্রিয়তা আমাদের খুব উদ্বিগ্ন করছে। আপনি বলছেন সব ঠিক, সব ঠিক। কিন্তু কিছুই ঠিক না। আপনি একটু বেরিয়ে দেখেন। আর এটা আপনার গুরুদায়িত্ব।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার মানে হল জনগণ ক্ষমতার মালিক। জনগণ যদি সেই মালিকানা হারায়, তাহলে তো স্বাধীনতাই থাকেনা। সিইসিকে বলে এসেছি, এই স্বাধীনতা নির্ভর করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আপনার উপর। আপনার উপর বড় একটা দায়িত্ব। এটাকে আপনি হালকাভাবে দেখবেন না। পরদিন তিনি আইজিকে একটি চিঠি দিলেন।
তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আমাদের উপর হামলা হয়েছে। আ স ম আবদুর রবের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ওনার চালক আক্রান্ত হয়েছে। তিনি নিজে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। দেশের জন্য যারা যুদ্ধ করেছে তাদের উপরে আক্রমণ হয়েছে। এই পরিহাসগুলো আমাদের মনে রাখতে হয়। ড. কামাল বলেন, সরকার বলে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের। তারা যদি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হয় তাহলে কাদের উপর হামলা করছে।
কিন্তু আজকে আমরা আওয়ামী লীগ বা বিএনপি না, এদেশের নাগরিক হিসেবে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। আজ দুপুরে গুলশানে কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন। তিনি নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
দেশের মানুষ খুব আকাঙ্খার সঙ্গে নির্বাচন চাচ্ছিল। কারণ তারা পরিবর্তন চায়। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, গত দুই সপ্তাহ ধরে পুলিশ অসাধারণভাবে তৎপর সব জায়গায়। এর আগে আমি কখনো এতো পুলিশ রাস্তায় টহল দিতে দেখিনি। কাউকে দেখলে তারা ধরে বসে। এই নির্বাচনে আমরা পুলিশি সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছি। কেউ গেলেই তাকে ধরে ফেলে। কেন ধরছে সেটার কিছু বলে না। থানায় নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। পুলিশের কেউ কেউ বলেছেন এদের দুই তারিখের পর ছাড়া হবে। এটা থেকে আর বোঝার কিছু বাকি থাকেনা। তার মানে ৩০ তারিখ নির্বাচন। এর দুইদিন পরে ছাড়া হবে। যেন তারা কেউ নির্বাচনে কোন ধরণের ভূমিকা রাখতে না পারে। তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের এভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তিনি বলেন, আমি জীবনে কোনদিন এমন অবস্থা দেখিনি। পুলিশ কোন কারণ ছাড়া মানুষকে ধরছে। এটা এক জায়গায় না। এই অবস্থা সারা বাংলাদেশে। এটা কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারের কোন একটা কৌশলের অংশ। তারা বিরোধী নেতাকর্মীদের ধরার জন্য সারাদেশে পুলিশকে নামিয়ে দিয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাত করে বলেছি আপনি আইজিকে এ বিষয়টি জানান। তিনি পরদিনই আইজিকে চিঠি দিয়েছেন। আমি এজন্য সিইসিকে ধন্যবাদ দিচ্ছি কারণ তিনি আমার কথা অন্তত শুনেছেন।
কূটনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে ড. কামাল বলেন, আমরা যে বিষয়গুলো বলব সেগুলো উনারাও অবজার্ভ করছেন। যে কারণে আমাদের তেমন কিছু বলতে হয়নি। আমরা যে রিপোর্ট তৈরি করেছি তারাও তাদের অ্যাম্বাসিতে সিমিলার রিপোর্ট নিজেরা সংগ্রহ করেছেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা তো দেশের মানুষ। আমাদের সবারই এই বিষয়গুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা। কারণ এই নির্বাচনে আমরা বাঙালি হিসেবে সবাই আস্থা রেখেছি। জনগণকে একটি সুযোগ দেয়া হোক। আমরা সবাই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারের পরিবর্তন করি।
আমরা ২০০১ সালে পরিবর্তন করেছি। এরপর ২০০৮ সালে করেছি। তখন আমি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিলাম। ভোটার লিস্ট থেকে ১ কোটির বেশি ভূয়া ভোটার বাদ দিয়েছিলাম। পরে নির্বাচন কমিশনকে পুনঃর্গঠন করা হয়েছিল। এরপরই তো ২০০৮ সালে আমরা অসাধারণ একটা বিজয় অর্জন করেছিলাম। আমি তখন আওয়ামী লীগের লোক ছিলাম। ১৪ দলে ছিলাম। কিন্তু আজকে আমরা আওয়ামী লীগ বিএনপি না, এদেশের নাগরিক হিসেবে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।
এসময় তিনি বলেন, এখানে কি কেউ আছেন যিনি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিপক্ষে? শতভাগ আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে। আমি একথাই বলেছি কূটনীতিকদের। তিনি বলেন, ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখবেন, ৭০ এর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে আমাদের জন্ম। তখন আমি বঙ্গবন্ধুর নির্বাচনে এজেন্ট ছিলাম। পশ্চিম পাকিস্তানিরা এসে বলল তারা কোটি কোটি টাকা নিয়ে এসেছে। আমি বঙ্গবন্ধুকে ফোন করে বললাম কোটি কোটি টাকা তো দিতে পারবেন না। আমার দুই এক লাখ টাকা বাজেট আছে। আমার সঙ্গে প্রায় ২০০ ছেলে-মেয়ে ছিল। আমরা ঘরে ঘরে গিয়েছি। পায়ে হেঁটে গিয়েছি। বুঝিয়েছি আমাদের দাবি বৈষম্য নিরসন। কৃষক উৎপাদন করে, রপ্তানি করে বৈদেশিক মূদ্রা আয় করে। পশ্চিম পাকিস্তানিরা সেগুলো নিয়ে গিয়ে সেখানে সবকিছু গড়ে তুলছে। সেখানে ৫ টা বিশ্ববিদ্যালয় আছে। আমাদের এখানে কয়টা। আয় করছি আমরা। আর উন্নয়ন হচ্ছে পশ্চিম পাকিস্তানে। এই জিনিসগুলো জনগণকে বুঝিয়ে বলার কারণে ৭০ এর নির্বাচনে আমাদের জয় হয়েছে।
ড. কামাল বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানিরা টাকা ঢেলেছে। কিন্তু ভোট পায়নি। আমি বিশ্বাস করি জনগণকে যদি সুযোগ দেয়া হয় তাহলে আজও আগের মতোই করবে। তারা নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ পেলে পরিবর্তন করবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এই সিইসির অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ার আশঙ্কা করে আসছি অনেক আগে থেকেই। তার সঙ্গে সাক্ষাতে আমরা বলেছি, আপনার নিষ্ক্রিয়তা আমাদের খুব উদ্বিগ্ন করছে। আপনি বলছেন সব ঠিক, সব ঠিক। কিন্তু কিছুই ঠিক না। আপনি একটু বেরিয়ে দেখেন। আর এটা আপনার গুরুদায়িত্ব।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার মানে হল জনগণ ক্ষমতার মালিক। জনগণ যদি সেই মালিকানা হারায়, তাহলে তো স্বাধীনতাই থাকেনা। সিইসিকে বলে এসেছি, এই স্বাধীনতা নির্ভর করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আপনার উপর। আপনার উপর বড় একটা দায়িত্ব। এটাকে আপনি হালকাভাবে দেখবেন না। পরদিন তিনি আইজিকে একটি চিঠি দিলেন।
তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আমাদের উপর হামলা হয়েছে। আ স ম আবদুর রবের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ওনার চালক আক্রান্ত হয়েছে। তিনি নিজে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। দেশের জন্য যারা যুদ্ধ করেছে তাদের উপরে আক্রমণ হয়েছে। এই পরিহাসগুলো আমাদের মনে রাখতে হয়। ড. কামাল বলেন, সরকার বলে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের। তারা যদি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হয় তাহলে কাদের উপর হামলা করছে।
No comments