সুচির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সিদ্ধান্ত ভুল- শেখ হাসিনা
মিয়ানমারের
নেত্রী অং সান সুচির একটি ভুলের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তার
সারাজীবনের অর্জনকে কেড়ে নিতে চায়। এটা ঠিক নয় (দ্যাট ইজ নট কারেক্ট)।
সফররত ভারতীয় একদল সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা। আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ সময়ে বাংলাদেশ
সফরে থাকা সাংবাদিকদের কাছে সরকার গঠন, তার দলের অর্জন ও বিরোধীদের বিভিন্ন
বিষয়ে কথা বলেন শেখ হাসিনা। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেছেন, আমরা
মিয়ানমারের সঙ্গে ঝগড়া করতে চাই না। এ খবর দিয়েছে ভারতের অনলাইন টাইমস অব
ইন্ডিয়া। এতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথন সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হয়।
তাতে উঠে এসেছে বাংলাদেশে নির্বাচন, তিস্তা চুক্তি, সন্ত্রাস, রোহিঙ্গা সহ অনেক ইস্যু। অং সান সুচি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সর্বত্রই অং সান সুচির সমালোচনা করা হচ্ছে। নিন্দা জানানো হচ্ছে। এত আমি বেদনাবোধ করি। তবে হ্যাঁ, ভাল কিছু করতে পারতেন তিনি। আমাদেরকে অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে যে, তিনি কয়েক দশক একা একা সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তাদের গণতন্ত্র বিকশিত হচ্ছে। তাই সম্ভবত তার একার জন্য এটা (ভাল কিছু) করতে পারা কঠিন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের জনগণকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দিয়ে সহায়তা করেছিল ভারত। এ জন্য এখনও আমরা কৃতজ্ঞ। আর মানবিক দিক থেকে রোহিঙ্গাদের সহায়তা করেছি আমরা। মিয়ানমারের সঙ্গে কোনো বিবাদ চাই না। তবে আমরা তাদের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি। তাদেরকে (রোহিঙ্গা) ফেরত নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। কিন্তু আমরা উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে বলেছি তাদেরকে। রোহিঙ্গারা চিরদিন (বাংলাদেশের আশ্রয়শিবিরে) থাকতে পারে না। তাদেরকে অপব্যবহার করা হতে পারে। মিয়ানমারকে সমর্থন করছে ভারত ও চীন। এক্ষেত্রে আমরা আর একটু সাহায্য চাই ভারতের কাছে।
তিস্তা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের (ভারতে) অব্যাহত গণতন্ত্র আছে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শুধু এটাই আপনাদেরকে জনগণের জন্য কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। সম্ভবত তিস্তা চুক্তি করতে অসমর্থ হওয়ায় তাদের (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কিছু কারণ আছে। আমাদের ভূপ্রকৃতিই এমন। এখন আমাদের নদীগুলো আমরাই ড্রেজিং করার পরিকল্পনা নিয়েছি, যাতে বেশি পানি ধরে রাখা যায়। (ভারতের) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি পরামর্শ দিয়েছি যে, তাদেরও তাদের নদী খননে একই রকম কাজ করা উচিত। আমাদের যৌথ নদী কমিশন যেহেতু এরই মধ্যে কাজ করে যাচ্ছে, তাই আমাদের অভিন্ন নদীগুলো একসঙ্গে ড্রেজিং করা যেতে পারে।
এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের অর্জন বিষয়ে বলেন, আমি আশা করি আবার সরকার গঠন করতে পারবো। আমরা কিছু ভাল কাজ করেছি। বেশ কিছু বড় প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার পথে। আমি বিশ্বাস করি, আমি ক্ষমতায় ফিরলে তাতে বাংলাদেশের উত্থানে সুবিধা হবে। এখন আমাদের জাতীয় প্রবৃদ্ধি শতকরা ৭.৮৬ ভাগ। তবে আমরা মুদ্রাস্ফীতি শতকরা ৫ ভাগের সামান্য বেশিতে ধরে রাখতে সফল হয়েছি। এটা একটা অর্জন। তিনি বলেন, পদ্মাসেতুর মতো বড় বড় প্রকল্প আছে, যা আমরা সম্পন্ন করতে চাই। এ জন্য বিশ্বব্যাংক আমাদেরকে ঋণ বাতিল করে দেয়ার পর এ প্রকল্প নিজেরাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পদ্মাসেতুর কাজ শেষ হলে তা থেকে জাতীয় প্রবৃদ্ধি শমকরা ১.২ ভাগ যোগ হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী ও দেশের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করতে চাই আমরা ২০২১ সালে। আমরা ক্ষমতায় না ফিরলে আমি মনে করি, বাংলাদেশের সৌভাগ্যে ঘাটতি হবে।
নির্বাচন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনকে আমি রাজনৈতিক সফলতা হিসেবে দেখি। সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমি কথা বলেছি এবং তাদেরকে আস্থায় এনেছি। আগেও আমি বলেছি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকা উচিত। কিন্তু তারা আমার কথা শোনে নি। তারা ভেবেছিল, নির্বাচন থামিয়ে দিতে পারবে। গত নির্বাচনে তারা যা করেছে তা ছিল ভয়াবহ। তারা হাতবোমা ছুড়েছে। ৩৯০০ টি গাড়ি পুড়িয়েছে। মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু আমি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। হ্যাঁ, তারা ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছে। তারা আমাকে লিখেছিল যে, আমার সঙ্গে বসতে চায় না। তা মেনে নিয়েছি।
বিরোধীদের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জানেন মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় বিএনপির সঙ্গে যুক্ত আছে জামায়াতে ইসলামী। আমি বিশ্বাস করি না যে, মানুষ তাদের আদর্শকে গ্রহণ করবে। কিন্তু তাদের (বিরোধীদের) রয়েছে জোট। তারা মনোনয়নপত্র নিলামে দিয়েছে, যেন তারা জাতিকেই নিলামে তুলছে। এভাবেই তারা সব করতে চায়। আমাদের দিক থেকে বলব, নির্বাচনের একটি উপযুক্ত পেিবশ বজায় রাখার চেষ্টা করবো।
সার্ক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী ও আঞ্চলিক সহযোগিতাকে মূল্যায়ন করি আমরা। কিন্তু আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদের ক্ষমতার সময়ে তারা (পাকিস্তান) আমাদের বিরুদ্ধে কর্মকান্ড চালানোর চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসকে উস্কে দেয়ার মাধ্যমে। এখন পাকিস্তানের অবস্থা দেখেন আপনারা। আমরা চাই অন্য দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে আরেক দেশের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।
তাতে উঠে এসেছে বাংলাদেশে নির্বাচন, তিস্তা চুক্তি, সন্ত্রাস, রোহিঙ্গা সহ অনেক ইস্যু। অং সান সুচি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সর্বত্রই অং সান সুচির সমালোচনা করা হচ্ছে। নিন্দা জানানো হচ্ছে। এত আমি বেদনাবোধ করি। তবে হ্যাঁ, ভাল কিছু করতে পারতেন তিনি। আমাদেরকে অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে যে, তিনি কয়েক দশক একা একা সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তাদের গণতন্ত্র বিকশিত হচ্ছে। তাই সম্ভবত তার একার জন্য এটা (ভাল কিছু) করতে পারা কঠিন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের জনগণকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দিয়ে সহায়তা করেছিল ভারত। এ জন্য এখনও আমরা কৃতজ্ঞ। আর মানবিক দিক থেকে রোহিঙ্গাদের সহায়তা করেছি আমরা। মিয়ানমারের সঙ্গে কোনো বিবাদ চাই না। তবে আমরা তাদের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি। তাদেরকে (রোহিঙ্গা) ফেরত নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। কিন্তু আমরা উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে বলেছি তাদেরকে। রোহিঙ্গারা চিরদিন (বাংলাদেশের আশ্রয়শিবিরে) থাকতে পারে না। তাদেরকে অপব্যবহার করা হতে পারে। মিয়ানমারকে সমর্থন করছে ভারত ও চীন। এক্ষেত্রে আমরা আর একটু সাহায্য চাই ভারতের কাছে।
তিস্তা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের (ভারতে) অব্যাহত গণতন্ত্র আছে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শুধু এটাই আপনাদেরকে জনগণের জন্য কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। সম্ভবত তিস্তা চুক্তি করতে অসমর্থ হওয়ায় তাদের (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কিছু কারণ আছে। আমাদের ভূপ্রকৃতিই এমন। এখন আমাদের নদীগুলো আমরাই ড্রেজিং করার পরিকল্পনা নিয়েছি, যাতে বেশি পানি ধরে রাখা যায়। (ভারতের) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি পরামর্শ দিয়েছি যে, তাদেরও তাদের নদী খননে একই রকম কাজ করা উচিত। আমাদের যৌথ নদী কমিশন যেহেতু এরই মধ্যে কাজ করে যাচ্ছে, তাই আমাদের অভিন্ন নদীগুলো একসঙ্গে ড্রেজিং করা যেতে পারে।
এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের অর্জন বিষয়ে বলেন, আমি আশা করি আবার সরকার গঠন করতে পারবো। আমরা কিছু ভাল কাজ করেছি। বেশ কিছু বড় প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার পথে। আমি বিশ্বাস করি, আমি ক্ষমতায় ফিরলে তাতে বাংলাদেশের উত্থানে সুবিধা হবে। এখন আমাদের জাতীয় প্রবৃদ্ধি শতকরা ৭.৮৬ ভাগ। তবে আমরা মুদ্রাস্ফীতি শতকরা ৫ ভাগের সামান্য বেশিতে ধরে রাখতে সফল হয়েছি। এটা একটা অর্জন। তিনি বলেন, পদ্মাসেতুর মতো বড় বড় প্রকল্প আছে, যা আমরা সম্পন্ন করতে চাই। এ জন্য বিশ্বব্যাংক আমাদেরকে ঋণ বাতিল করে দেয়ার পর এ প্রকল্প নিজেরাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পদ্মাসেতুর কাজ শেষ হলে তা থেকে জাতীয় প্রবৃদ্ধি শমকরা ১.২ ভাগ যোগ হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী ও দেশের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করতে চাই আমরা ২০২১ সালে। আমরা ক্ষমতায় না ফিরলে আমি মনে করি, বাংলাদেশের সৌভাগ্যে ঘাটতি হবে।
নির্বাচন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনকে আমি রাজনৈতিক সফলতা হিসেবে দেখি। সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমি কথা বলেছি এবং তাদেরকে আস্থায় এনেছি। আগেও আমি বলেছি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকা উচিত। কিন্তু তারা আমার কথা শোনে নি। তারা ভেবেছিল, নির্বাচন থামিয়ে দিতে পারবে। গত নির্বাচনে তারা যা করেছে তা ছিল ভয়াবহ। তারা হাতবোমা ছুড়েছে। ৩৯০০ টি গাড়ি পুড়িয়েছে। মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু আমি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। হ্যাঁ, তারা ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছে। তারা আমাকে লিখেছিল যে, আমার সঙ্গে বসতে চায় না। তা মেনে নিয়েছি।
বিরোধীদের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জানেন মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় বিএনপির সঙ্গে যুক্ত আছে জামায়াতে ইসলামী। আমি বিশ্বাস করি না যে, মানুষ তাদের আদর্শকে গ্রহণ করবে। কিন্তু তাদের (বিরোধীদের) রয়েছে জোট। তারা মনোনয়নপত্র নিলামে দিয়েছে, যেন তারা জাতিকেই নিলামে তুলছে। এভাবেই তারা সব করতে চায়। আমাদের দিক থেকে বলব, নির্বাচনের একটি উপযুক্ত পেিবশ বজায় রাখার চেষ্টা করবো।
সার্ক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী ও আঞ্চলিক সহযোগিতাকে মূল্যায়ন করি আমরা। কিন্তু আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদের ক্ষমতার সময়ে তারা (পাকিস্তান) আমাদের বিরুদ্ধে কর্মকান্ড চালানোর চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসকে উস্কে দেয়ার মাধ্যমে। এখন পাকিস্তানের অবস্থা দেখেন আপনারা। আমরা চাই অন্য দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে আরেক দেশের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।
No comments