পুলিশের দিকে প্রার্থীদের অভিযোগের তীর by জিয়া চৌধুরী
নির্বাচনী
প্রচারণায় বাধা, অসহযোগিতাসহ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের
হামলার ঘটনায় অভিযোগ জানানোর পরও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ
করেছেন ঢাকা মহানগরের ১৫টি আসনের বেশিরভাগ প্রার্থী। গতকাল শনিবার রাজধানীর
শিল্পকলা একাডেমিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা মহানগরের প্রার্থীদের
সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এমন অভিযোগ করেন প্রার্থীরা। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর এমন আচরণে নির্বাচনের সমতল পরিবেশ তৈরি হয়নি বলেও মন্তব্য করেছেন
প্রার্থীরা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসন থেকে ঢাকা-১৫ আসনের প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর রিটার্নিং অফিস। সভায়, সরকারদলীয় মহাজোট, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির বেশিরভাগ প্রার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। তবে সভায় অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রার্থীই পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে একপাক্ষিক আচরণের অভিযোগ করেন। ঢাকা-১৩ আসনের ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির প্রার্থী আব্দুস সালাম অভিযোগ করেন, ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা বিএনপির পোস্টার সাঁটাতে দিচ্ছেন না। এ ছাড়া, নির্বাচনী প্রচারণায়ও বাধা দেয়া হচ্ছে।
আব্দুস সালাম বলেন, সংশ্লিষ্ট থানা ও নির্বাচন কমিশনে এসব অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা ও গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে।
নির্বাচনের আগের অন্তত বাকি কয়েকদিন প্রচারণার সুযোগ করে দিতে প্রয়োজনে একমঞ্চে সব প্রার্থীদের প্রচারণার সুযোগ করে দিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ করেন এই প্রার্থী। ঢাকা-৬ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুব্রত চৌধুরী সভায় জানান, তার নির্বাচনী এলাকায় ভয়াবহ ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ডিবি নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। যাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে না, তাদেরও ৩০শে ডিসেম্বর পর্যন্ত এলাকা ছাড়তে হুমকি দিচ্ছে। পুলিশ ও মহাজোটের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা প্রচারণা করতে গেলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ১৪, ১৫ ও ১৮ই ডিসেম্বর সুব্রত চৌধুরী ও তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর অনেকটা পুলিশি প্রহরায় হামলা হয়েছে বলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন এই প্রার্থী। বলেন, গ্রেপ্তার আতঙ্কে কেউ প্রচারণায় নামতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে জনগণের কাছে ভোট চাওয়া দূরে থাক নিজের নিরাপত্তা নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী। অন্যদিকে, যেকোনো প্রয়োজন ও জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, রিটার্নিং অফিসের সহযোগিতা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ জানান ঢাকা-৯ আসনের ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সরদার মো. মানিক মিয়া।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বিটিভিকে সব দলের প্রার্থীর প্রচারণার খবর সমানভাবে প্রচারেরও আহ্বান জানান এই প্রার্থী। ঢাকা-১২ আসনের বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থী জোনায়েদ সাকি অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কথা বলে নৌকা মার্কার কর্মীরা কোদাল মার্কার পোস্টার সাঁটাতে দিচ্ছে না। পোস্টার লাগাতে গেলে বাম জোটের কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। এ ছাড়া, হুমকি ও ভয়ভীতির কারণে কোথাও নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন করতে পারছেন না বলেও জানান জোনায়েদ সাকি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফেসবুক আইডি ও পেজ হ্যাক করা হয়েছে বলেও মন্তব্য এই প্রার্থীর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব ঘটনায় নিশ্চুপ থাকছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। ঢাকা-১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কর্মী-সমর্থকরাও এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
জোনায়েদ সাকির বক্তব্যের পরপরই তার অভিযোগ অস্বীকার করে আসাদুজ্জামান খানের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট বলেন, ঢাকা-১২ আসনে প্রথম কোদাল মার্কার লেমিনেটেড পোস্টার লাগানো হয়। এই আসনে নৌকার প্রার্থী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতি সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রেখে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারণার কাজে কাফরুল থানা পুলিশ অসহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ করেন ঢাকা-১৫ আসনে বাম জোটের প্রার্থী শামছুল আলম চৌধুরী। পুলিশি সহযোগিতার পাশাপাশি নির্বাচনের প্রচারণার সময় বাড়ানোরও দাবি জানান বাঘ মার্কার এই প্রার্থী। ঢাকা-৬ আসনে বাম জোটের প্রার্থী আবু তালেব মহাজোট প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে অফিস স্থাপন, দেয়ালে পোস্টার লাগানো ও মোটরসাইকেলে মহড়া দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ করেন। ঢাকা-৪ আসনে এনডিএফ-এনপিপির প্রার্থী সুমন কুমার রায় প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ করেন।
সেই সঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে তিনি জোর দাবি জানান। ঢাকা-১৭ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহিম নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। ঢাকা-৮ আসনে শুধু একটি দল প্রচারণা চালাচ্ছে বলে জানান জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। প্রতিটি কেন্দ্রে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ভোট পরিচালনারও আহ্বান জানান তিনি। তবে মতবিনিময় সভায় ভিন্নমত জানান সরকার দল ও মহাজোটের প্রার্থীরা। ঢাকা-৪ আসনে মহাজোটের প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা নির্বাচনে পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই পরিবেশ যেন ভোটের দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ঢাকা-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইলিয়াছ মোল্লার প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেন। অন্য প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বেরিয়ে এসে ভোটের মাঠে নামারও আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা-১৫ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হামলা ও নাশকতার ছক করছেন বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার। এর আগে, তার নির্বাচনী অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ করেন তিনি। ভোটের দিন পর্যন্ত তার আসনে বহিরাগতরা যেন ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান কামাল আহমেদ মজুমদার। ওই আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শফিকুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিলেরও দাবি তোলেন নৌকার প্রার্থী। সবশেষে প্রার্থীদের বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে উত্তর দেন সংশ্লিষ্টরা।
মহানগর রিটার্নিং কর্মকর্তা কে এম আলী আজম জানান, এখন পর্যন্ত ২৩টি অভিযোগের বিষয়ে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। তবে প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ না দিয়ে সরাসরি রিটার্নিং অফিসে জানালে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব বলেও জানান তিনি। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, প্রার্থীদের কথা শুনে মনে হচ্ছে সব অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধেই। নির্বাচনের সময় পুলিশ এক ধরনের চাপে থাকে। প্রার্থী ও সমর্থকরা পুলিশের সে চাপ আরো বাড়িয়ে দেন। তবে পুলিশ কোনো প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে না। সকলে সহযোগিতা করলে নির্বাচন ব্যর্থ হবে হবে না বলেও মত দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আগামী ৩০শে ডিসেম্বর ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশেই ভোট দিতে পারবেন বলে সভায় জানান বিজিবি’র প্রতিনিধি মেজর তারিক। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল জানান, প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় ও আচরণবিধি মানার বিষয়ে নজরদারি করছে কমিশন। কারো বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ পেলে কমিশন ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসন থেকে ঢাকা-১৫ আসনের প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর রিটার্নিং অফিস। সভায়, সরকারদলীয় মহাজোট, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির বেশিরভাগ প্রার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। তবে সভায় অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রার্থীই পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে একপাক্ষিক আচরণের অভিযোগ করেন। ঢাকা-১৩ আসনের ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির প্রার্থী আব্দুস সালাম অভিযোগ করেন, ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা বিএনপির পোস্টার সাঁটাতে দিচ্ছেন না। এ ছাড়া, নির্বাচনী প্রচারণায়ও বাধা দেয়া হচ্ছে।
আব্দুস সালাম বলেন, সংশ্লিষ্ট থানা ও নির্বাচন কমিশনে এসব অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা ও গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে।
নির্বাচনের আগের অন্তত বাকি কয়েকদিন প্রচারণার সুযোগ করে দিতে প্রয়োজনে একমঞ্চে সব প্রার্থীদের প্রচারণার সুযোগ করে দিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ করেন এই প্রার্থী। ঢাকা-৬ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুব্রত চৌধুরী সভায় জানান, তার নির্বাচনী এলাকায় ভয়াবহ ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ডিবি নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। যাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে না, তাদেরও ৩০শে ডিসেম্বর পর্যন্ত এলাকা ছাড়তে হুমকি দিচ্ছে। পুলিশ ও মহাজোটের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা প্রচারণা করতে গেলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ১৪, ১৫ ও ১৮ই ডিসেম্বর সুব্রত চৌধুরী ও তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর অনেকটা পুলিশি প্রহরায় হামলা হয়েছে বলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন এই প্রার্থী। বলেন, গ্রেপ্তার আতঙ্কে কেউ প্রচারণায় নামতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে জনগণের কাছে ভোট চাওয়া দূরে থাক নিজের নিরাপত্তা নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী। অন্যদিকে, যেকোনো প্রয়োজন ও জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, রিটার্নিং অফিসের সহযোগিতা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ জানান ঢাকা-৯ আসনের ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সরদার মো. মানিক মিয়া।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বিটিভিকে সব দলের প্রার্থীর প্রচারণার খবর সমানভাবে প্রচারেরও আহ্বান জানান এই প্রার্থী। ঢাকা-১২ আসনের বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থী জোনায়েদ সাকি অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কথা বলে নৌকা মার্কার কর্মীরা কোদাল মার্কার পোস্টার সাঁটাতে দিচ্ছে না। পোস্টার লাগাতে গেলে বাম জোটের কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। এ ছাড়া, হুমকি ও ভয়ভীতির কারণে কোথাও নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন করতে পারছেন না বলেও জানান জোনায়েদ সাকি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফেসবুক আইডি ও পেজ হ্যাক করা হয়েছে বলেও মন্তব্য এই প্রার্থীর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব ঘটনায় নিশ্চুপ থাকছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। ঢাকা-১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কর্মী-সমর্থকরাও এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
জোনায়েদ সাকির বক্তব্যের পরপরই তার অভিযোগ অস্বীকার করে আসাদুজ্জামান খানের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট বলেন, ঢাকা-১২ আসনে প্রথম কোদাল মার্কার লেমিনেটেড পোস্টার লাগানো হয়। এই আসনে নৌকার প্রার্থী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতি সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রেখে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারণার কাজে কাফরুল থানা পুলিশ অসহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ করেন ঢাকা-১৫ আসনে বাম জোটের প্রার্থী শামছুল আলম চৌধুরী। পুলিশি সহযোগিতার পাশাপাশি নির্বাচনের প্রচারণার সময় বাড়ানোরও দাবি জানান বাঘ মার্কার এই প্রার্থী। ঢাকা-৬ আসনে বাম জোটের প্রার্থী আবু তালেব মহাজোট প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে অফিস স্থাপন, দেয়ালে পোস্টার লাগানো ও মোটরসাইকেলে মহড়া দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ করেন। ঢাকা-৪ আসনে এনডিএফ-এনপিপির প্রার্থী সুমন কুমার রায় প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ করেন।
সেই সঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে তিনি জোর দাবি জানান। ঢাকা-১৭ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহিম নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। ঢাকা-৮ আসনে শুধু একটি দল প্রচারণা চালাচ্ছে বলে জানান জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। প্রতিটি কেন্দ্রে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ভোট পরিচালনারও আহ্বান জানান তিনি। তবে মতবিনিময় সভায় ভিন্নমত জানান সরকার দল ও মহাজোটের প্রার্থীরা। ঢাকা-৪ আসনে মহাজোটের প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা নির্বাচনে পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই পরিবেশ যেন ভোটের দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ঢাকা-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইলিয়াছ মোল্লার প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেন। অন্য প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বেরিয়ে এসে ভোটের মাঠে নামারও আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা-১৫ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হামলা ও নাশকতার ছক করছেন বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার। এর আগে, তার নির্বাচনী অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ করেন তিনি। ভোটের দিন পর্যন্ত তার আসনে বহিরাগতরা যেন ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান কামাল আহমেদ মজুমদার। ওই আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শফিকুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিলেরও দাবি তোলেন নৌকার প্রার্থী। সবশেষে প্রার্থীদের বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে উত্তর দেন সংশ্লিষ্টরা।
মহানগর রিটার্নিং কর্মকর্তা কে এম আলী আজম জানান, এখন পর্যন্ত ২৩টি অভিযোগের বিষয়ে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। তবে প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ না দিয়ে সরাসরি রিটার্নিং অফিসে জানালে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব বলেও জানান তিনি। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, প্রার্থীদের কথা শুনে মনে হচ্ছে সব অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধেই। নির্বাচনের সময় পুলিশ এক ধরনের চাপে থাকে। প্রার্থী ও সমর্থকরা পুলিশের সে চাপ আরো বাড়িয়ে দেন। তবে পুলিশ কোনো প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে না। সকলে সহযোগিতা করলে নির্বাচন ব্যর্থ হবে হবে না বলেও মত দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আগামী ৩০শে ডিসেম্বর ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশেই ভোট দিতে পারবেন বলে সভায় জানান বিজিবি’র প্রতিনিধি মেজর তারিক। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল জানান, প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় ও আচরণবিধি মানার বিষয়ে নজরদারি করছে কমিশন। কারো বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ পেলে কমিশন ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।
No comments