আবার ক্ষমতায় গেলে দারিদ্র্য বলে কিছু থাকবে না -সিলেটে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন- ‘বিএনপি একেকটা সিট অকশনে দিয়েছে। আসন অকশনে দিতে গিয়ে
তাদের এই ছানাবড়া অবস্থা। টাকা ছাড়া তারা মনোনয়ন দেয় না। প্রথমে ৩-৪ জন
করে মনোনয়ন দিয়েছে। এরপর দাম তুলে মনোনয়ন দিয়েছে। যে যার চেয়ে বেশি টাকা
দিয়েছে তাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।’ তারা ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা করে নিয়েছে বলে
অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল বিকেলে সিলেটের আলীয়া মাদ্রাসা ময়দানে
নির্বাচনী সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দান কালে এ কথা বলেন তিনি। সমাবেশে
প্রধানমন্ত্রী বলেন- আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়।
মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। আর বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও লুটপাট বেড়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়।
এজন্য প্রধানমন্ত্রী আগামী ৩০শে তারিখের নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য সিলেট অঞ্চলের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১১ টায় বিমানযোগে সিলেটে আসেন। এরপর তিনি সিলেটে ওলিকুল শিরোমনি হযরত শাহ্জালাল, হযরত শাহ্পরাণ ও আদি মুসলমান হযরত বুরহান উদ্দিন (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন। বিকালে সিলেটের ঐতিহাসিক আলীয়া মাদ্রাসা ময়দানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের ১৯ আসনের মহাজোটের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে নৌকা মার্কার ভোট চান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন- ‘চলতি বছরের ৩০শে জানুয়ারি সিলেটে এসে নৌকা মার্কার পক্ষে প্রচারণা শুরু করেছিলাম। এখন এসেছি দোয়া নিতে। এজন্য আপনাদের দোয়া ও সমর্থন প্রয়োজন।’ তিনি বলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাড়ে ৩ বছরে দেশকে স্বল্প উন্নত দেশ হিসেবে উপহার দিয়ে যান। কিন্তু ৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়। দেশের মানুষের গণতন্ত্র হরণ করা হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ শুরু করে। বিদ্যুৎসহ সবক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নতি হয়।
সম্ভাবনাময় দেশে রূপান্তর শুরু হয় বাংলাদেশ। কিন্তু ২০০১ সালে সেই সম্ভাবনার শেষ হয়ে গেল। দেশে মানুষ খুন, বোমাবাজি শুরু হলো। কত মানুষকে হত্যা করা হয়। দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের দেশ হিসেবে পরিচিত হয় বাংলাদেশ। এ কারণে বিশ্বের দরবারে অপমানিত হয় দেশ। তারা আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলো। ওই সময় আইভি রহমান সহ ২২ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। সেই মামলায় এখন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে লন্ডনে আছে। ২০১৪ সালে বিএনপি ও জামায়াত আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে। মানুষ খুন, অর্থ আত্মসাৎ ও আর লুটপাট ছাড়া তারা কিছুই বুঝে না। তারা এতিমের টাকা মেরে খায়। তাদের নিয়োজিত কেয়ারটেকার সরকার এতিমের টাকা মেরে দেয়ায় মামলা দিয়েছে।
২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন- আওয়ামী লীগ সরকার দেশে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশে উন্নয়ন হয়, মাথাপিছু আয় বাড়ে। আমরা সিলেট অঞ্চলে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে দিয়েছি। ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি। হাওরে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে করে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন হচ্ছে। সিলেটে গড়ে তোলা অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রবাসীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন- আওয়ামী লীগ সিলেটে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। চা নিলাম কেন্দ্র করা হয়েছে। চা শ্রমিকদের ভাগ্য উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে তোলা হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়েছে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছি। সিলেট মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে চার লেনে রূপান্তরের কাজ শুরু হবে। হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করা হবে। সিলেটে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপন করা হয়েছে। সরকার ৬ খানা বিমান কিনেছে। আরো ৫ খানা বিমান আসছে।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় নৌকায় ভোট চেয়ে বলেন- আমরা মাথা উঁচু করে চলবো। কারো কাছে মাথা নত করবো না। নৌকায় ভোট দিলে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন গড়ে দেবো। নিজের ভাগ্যের দিকে কখনো নজর দেই না। সব সময় মানুষের কথাই ভাবি। বলেছিলাম ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের টাকা লাগবে না, নিজের টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু করবো। সেটি করতে যাচ্ছি। আর এই একটি কাজ বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে সম্মানিত করেছে। ইনাম আহমদ চৌধুরী আওয়ামী লীগে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন- এবার বিএনপি প্রতিটি আসনে ৩-৪ জন করে মনোনয়ন দিয়েছে। এরপর সিটকে অকশনে দিয়েছে। আর অকশনে দিতে গিয়ে তাদের এই ছানাবড়া অবস্থা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সমাবেশে ইনাম আহমদ চৌধুরীকে খুঁজেন। আগামীতে ক্ষমতায় গেলে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের দেশে এনে বিচার করবেন বলে সমাবেশে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন- নৌকায়ই উন্নয়ন। ধানের শীষ সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজ ও যুদ্ধপরাধীদের মনোনয়ন দিয়েছে। তারা ক্ষমতায় এলে দেশের সকল অর্জন নস্যাৎ করে দেবে।
মৌলভীবাজার-২ আসনের প্রার্থী এমএম শাহীনকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন- শাহীনকে নৌকায় তুলে এনেছি। এবার যারা মহাজোটের অন্যান্য প্রতীক নিয়ে আসেন তাদেরকেও ভবিষ্যতে নৌকায় তুলে নেবো। এ সময় হবিগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী মিলাদগাজীকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী রেজা কিবরিয়ার সমালোচনা করেন। বলেন- পিতার খুনিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রেজা কিবরিয়া ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে। এটা দুঃখজনক।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মহানগর সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, এডভোকেট আহমদ হোসেন, এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন, কেন্দ্রীয় নেত্রী নাজমা আক্তার, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওছার, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, মৌলভীবাজার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিসবাউর রহমান, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী প্রমুখ। এ সময় প্রার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিলেট-১ আসনের প্রার্থী ড. একে আবদুুল মোমেন, সিলেট-২ আসনের প্রার্থী ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী এহিয়া, সিলেট-৩ আসনের প্রার্থী মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস, সিলেট-৪ আসনের প্রার্থী ইমরান আহমদ, সিলেট-৫ আসনের প্রার্থী হাফিজ আহমদ মজুমদার ও সিলেট-৬ আসনের প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদ বক্তব্য রাখেন।
মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। আর বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও লুটপাট বেড়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়।
এজন্য প্রধানমন্ত্রী আগামী ৩০শে তারিখের নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য সিলেট অঞ্চলের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১১ টায় বিমানযোগে সিলেটে আসেন। এরপর তিনি সিলেটে ওলিকুল শিরোমনি হযরত শাহ্জালাল, হযরত শাহ্পরাণ ও আদি মুসলমান হযরত বুরহান উদ্দিন (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন। বিকালে সিলেটের ঐতিহাসিক আলীয়া মাদ্রাসা ময়দানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের ১৯ আসনের মহাজোটের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে নৌকা মার্কার ভোট চান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন- ‘চলতি বছরের ৩০শে জানুয়ারি সিলেটে এসে নৌকা মার্কার পক্ষে প্রচারণা শুরু করেছিলাম। এখন এসেছি দোয়া নিতে। এজন্য আপনাদের দোয়া ও সমর্থন প্রয়োজন।’ তিনি বলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাড়ে ৩ বছরে দেশকে স্বল্প উন্নত দেশ হিসেবে উপহার দিয়ে যান। কিন্তু ৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়। দেশের মানুষের গণতন্ত্র হরণ করা হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ শুরু করে। বিদ্যুৎসহ সবক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নতি হয়।
সম্ভাবনাময় দেশে রূপান্তর শুরু হয় বাংলাদেশ। কিন্তু ২০০১ সালে সেই সম্ভাবনার শেষ হয়ে গেল। দেশে মানুষ খুন, বোমাবাজি শুরু হলো। কত মানুষকে হত্যা করা হয়। দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের দেশ হিসেবে পরিচিত হয় বাংলাদেশ। এ কারণে বিশ্বের দরবারে অপমানিত হয় দেশ। তারা আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলো। ওই সময় আইভি রহমান সহ ২২ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। সেই মামলায় এখন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে লন্ডনে আছে। ২০১৪ সালে বিএনপি ও জামায়াত আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে। মানুষ খুন, অর্থ আত্মসাৎ ও আর লুটপাট ছাড়া তারা কিছুই বুঝে না। তারা এতিমের টাকা মেরে খায়। তাদের নিয়োজিত কেয়ারটেকার সরকার এতিমের টাকা মেরে দেয়ায় মামলা দিয়েছে।
২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন- আওয়ামী লীগ সরকার দেশে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশে উন্নয়ন হয়, মাথাপিছু আয় বাড়ে। আমরা সিলেট অঞ্চলে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে দিয়েছি। ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি। হাওরে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে করে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন হচ্ছে। সিলেটে গড়ে তোলা অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রবাসীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন- আওয়ামী লীগ সিলেটে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। চা নিলাম কেন্দ্র করা হয়েছে। চা শ্রমিকদের ভাগ্য উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে তোলা হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়েছে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছি। সিলেট মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে চার লেনে রূপান্তরের কাজ শুরু হবে। হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করা হবে। সিলেটে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপন করা হয়েছে। সরকার ৬ খানা বিমান কিনেছে। আরো ৫ খানা বিমান আসছে।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় নৌকায় ভোট চেয়ে বলেন- আমরা মাথা উঁচু করে চলবো। কারো কাছে মাথা নত করবো না। নৌকায় ভোট দিলে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন গড়ে দেবো। নিজের ভাগ্যের দিকে কখনো নজর দেই না। সব সময় মানুষের কথাই ভাবি। বলেছিলাম ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের টাকা লাগবে না, নিজের টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু করবো। সেটি করতে যাচ্ছি। আর এই একটি কাজ বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে সম্মানিত করেছে। ইনাম আহমদ চৌধুরী আওয়ামী লীগে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন- এবার বিএনপি প্রতিটি আসনে ৩-৪ জন করে মনোনয়ন দিয়েছে। এরপর সিটকে অকশনে দিয়েছে। আর অকশনে দিতে গিয়ে তাদের এই ছানাবড়া অবস্থা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সমাবেশে ইনাম আহমদ চৌধুরীকে খুঁজেন। আগামীতে ক্ষমতায় গেলে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের দেশে এনে বিচার করবেন বলে সমাবেশে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন- নৌকায়ই উন্নয়ন। ধানের শীষ সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজ ও যুদ্ধপরাধীদের মনোনয়ন দিয়েছে। তারা ক্ষমতায় এলে দেশের সকল অর্জন নস্যাৎ করে দেবে।
মৌলভীবাজার-২ আসনের প্রার্থী এমএম শাহীনকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন- শাহীনকে নৌকায় তুলে এনেছি। এবার যারা মহাজোটের অন্যান্য প্রতীক নিয়ে আসেন তাদেরকেও ভবিষ্যতে নৌকায় তুলে নেবো। এ সময় হবিগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী মিলাদগাজীকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী রেজা কিবরিয়ার সমালোচনা করেন। বলেন- পিতার খুনিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রেজা কিবরিয়া ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে। এটা দুঃখজনক।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মহানগর সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, এডভোকেট আহমদ হোসেন, এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন, কেন্দ্রীয় নেত্রী নাজমা আক্তার, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওছার, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, মৌলভীবাজার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিসবাউর রহমান, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী প্রমুখ। এ সময় প্রার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিলেট-১ আসনের প্রার্থী ড. একে আবদুুল মোমেন, সিলেট-২ আসনের প্রার্থী ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী এহিয়া, সিলেট-৩ আসনের প্রার্থী মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস, সিলেট-৪ আসনের প্রার্থী ইমরান আহমদ, সিলেট-৫ আসনের প্রার্থী হাফিজ আহমদ মজুমদার ও সিলেট-৬ আসনের প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদ বক্তব্য রাখেন।
No comments