উচ্চমূল্যে মালয়েশিয়াকে ফ্ল্যাট বানানোর কাজ, প্রতি বর্গফুটে খরচ লাগবে ৩৪৩৫ টাকা by দীন ইসলাম
উচ্চমূল্যে
মালয়েশিয়া সরকারকে ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ দিতে যাচ্ছে সরকার। সরকার টু
সরকার পর্যায়ে এ কাজ দেয়া হবে। উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পে ১০৪টি ভবন
বানাবে মালয়েশিয়ান সরকার নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান রেডটেন ইনফ্রাস্ট্রাকচার
লি.। ফ্ল্যাট বানাতে প্রতি বর্গফুটে তারা খরচ নেবে তিন হাজার চারশ’ ৩৫
টাকা। সব মিলিয়ে এক কোটি ৪৮ লাখ ৪১ হাজার ২৭৩ বর্গফুট বানাতে পাঁচ হাজার ৯৭
কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা দেয়া হবে। শতভাগ কাজ শেষ হওয়ার পর
মালয়েশিয়ান কোম্পানিকে চার কিস্তিতে এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। মালয়েশিয়াকে
কাজ দেয়ার এমন প্রক্রিয়া এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং মালয়েশিয়ান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বিভাগের স্পেশাল এনভয় অফিস সবকিছু দেখভাল করছেন।
রাজউক সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রস্তাবটি অনুমোদন মিললে কাজ পেয়ে যাবে মালয়েশিয়া সরকার নির্ধারিত কোম্পানি। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রস্তাবটি উত্থাপন করতে রাজউকের ১৪/২০১৮তম বোর্ড সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়ান কোম্পানিটি গতানুগতিক বীম ও কলামবিশিষ্ট স্ট্রাকচারের পরিবর্তে আধুনিক প্রযুক্তির ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড বিল্ডিং সিস্টেম (আইবিএস) ব্যবহার করবে। ফলে দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
মালয়েশিয়ান প্রতিষ্ঠান আশা করছে, ৩০ মাসের মধ্যে তারা ভবনগুলোর নির্মাণকাজ করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পে ভবন বানাতে ২০১১ সালের ১৮ই অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার ও মালয়েশিয়া সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। এমওইউ’র আলোকে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করে মালয়েশিয়া সরকার। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটি জানায়, তারা ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড বিল্ডিং সিস্টেম (আইবিএস) প্রযুক্তি ব্যবহার করে উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের ‘বি’ ও ‘সি’ ব্লকের ভবনগুলো বানাবে। অনেক আগে মালয়েশিয়ান কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হলেও কাজ বাস্তবায়নে অর্থায়নের বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকায় পরে কোনো অগ্রগতি হয়নি। এরপর নতুন করে ২০১৪ সালের ২৯শে এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার এবং মালয়েশিয়া সরকারের মধ্যে আগের সমঝোতা স্মারকের ধারাবাহিকতায় সংশোধিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর ভিত্তিতে মালয়েশিয়ান সরকারের প্রস্তাবটি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ঘুরে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের জনসাধারণের আবাসনের জন্য ২০১১ সালে উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের কাজে হাত দেয়া হয়।
এজন্য ওই বছরের ৪ঠা অক্টোবর একনেকে নয় হাজার ৩০ কোটি টাকার অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প অনুমোদন পায়। মূল প্রকল্পে উত্তরা ১৮ নং সেক্টরের ২১৪ দশমিক ৪৪ একর জমিতে তিনটি ব্লকে ১৬ তলাবিশিষ্ট ২৪০টি ভবন নির্মাণের কথা রয়েছে। এসব ভবনগুলোতে ২০ হাজার ১৬০টি ফ্ল্যাট নির্মাণের সংস্থান রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ‘এ’ টাইপের ৭৯টি ভবনে ১২৫০ বর্গফুট আয়তনের ৬৬৩৬টি, ‘বি’ টাইপের ৮৬টি ভবনে ১০৫০ বর্গফুট আয়তনের ৭২২৪টি এবং ‘সি’ টাইপের ৭৫টি ভবনে ৮৫০ বর্গফুট আয়তনের ৬৩০০টি ফ্ল্যাট নির্মাণের বিষয়টি সংস্থান ছিল। পরে স্থান সংকুলান ও নকশা পরিবর্তনজনিত কারণে অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের সংখ্যা কমিয়ে ১৭৯-তে নির্ধারিত করা হয়েছে। এর আগে একনেকে প্রকল্প অনুমোদনের পর ২০১২ সালে ৭৯টি ১৬ তলা ভবনের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। ওই সময় ঠিকাদারদের ব্যর্থতার কারণে প্রায় দুই বছর ফ্ল্যাট প্রকল্পের দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। এ কারণে ২০১৩ সালে ঠিকাদারদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়। পরে ২০১৪ সালে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে ৭৯টি ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকি ভবনগুলো নির্মাণের জন্য প্রস্তাব ঘুরাফেরা করছে। আগামী ১১ই নভেম্বর প্রথম পর্যায়ের ভবনগুলোর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং মালয়েশিয়ান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বিভাগের স্পেশাল এনভয় অফিস সবকিছু দেখভাল করছেন।
রাজউক সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রস্তাবটি অনুমোদন মিললে কাজ পেয়ে যাবে মালয়েশিয়া সরকার নির্ধারিত কোম্পানি। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রস্তাবটি উত্থাপন করতে রাজউকের ১৪/২০১৮তম বোর্ড সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়ান কোম্পানিটি গতানুগতিক বীম ও কলামবিশিষ্ট স্ট্রাকচারের পরিবর্তে আধুনিক প্রযুক্তির ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড বিল্ডিং সিস্টেম (আইবিএস) ব্যবহার করবে। ফলে দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
মালয়েশিয়ান প্রতিষ্ঠান আশা করছে, ৩০ মাসের মধ্যে তারা ভবনগুলোর নির্মাণকাজ করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পে ভবন বানাতে ২০১১ সালের ১৮ই অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার ও মালয়েশিয়া সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। এমওইউ’র আলোকে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করে মালয়েশিয়া সরকার। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটি জানায়, তারা ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড বিল্ডিং সিস্টেম (আইবিএস) প্রযুক্তি ব্যবহার করে উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের ‘বি’ ও ‘সি’ ব্লকের ভবনগুলো বানাবে। অনেক আগে মালয়েশিয়ান কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হলেও কাজ বাস্তবায়নে অর্থায়নের বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকায় পরে কোনো অগ্রগতি হয়নি। এরপর নতুন করে ২০১৪ সালের ২৯শে এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার এবং মালয়েশিয়া সরকারের মধ্যে আগের সমঝোতা স্মারকের ধারাবাহিকতায় সংশোধিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর ভিত্তিতে মালয়েশিয়ান সরকারের প্রস্তাবটি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ঘুরে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের জনসাধারণের আবাসনের জন্য ২০১১ সালে উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের কাজে হাত দেয়া হয়।
এজন্য ওই বছরের ৪ঠা অক্টোবর একনেকে নয় হাজার ৩০ কোটি টাকার অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প অনুমোদন পায়। মূল প্রকল্পে উত্তরা ১৮ নং সেক্টরের ২১৪ দশমিক ৪৪ একর জমিতে তিনটি ব্লকে ১৬ তলাবিশিষ্ট ২৪০টি ভবন নির্মাণের কথা রয়েছে। এসব ভবনগুলোতে ২০ হাজার ১৬০টি ফ্ল্যাট নির্মাণের সংস্থান রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ‘এ’ টাইপের ৭৯টি ভবনে ১২৫০ বর্গফুট আয়তনের ৬৬৩৬টি, ‘বি’ টাইপের ৮৬টি ভবনে ১০৫০ বর্গফুট আয়তনের ৭২২৪টি এবং ‘সি’ টাইপের ৭৫টি ভবনে ৮৫০ বর্গফুট আয়তনের ৬৩০০টি ফ্ল্যাট নির্মাণের বিষয়টি সংস্থান ছিল। পরে স্থান সংকুলান ও নকশা পরিবর্তনজনিত কারণে অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের সংখ্যা কমিয়ে ১৭৯-তে নির্ধারিত করা হয়েছে। এর আগে একনেকে প্রকল্প অনুমোদনের পর ২০১২ সালে ৭৯টি ১৬ তলা ভবনের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। ওই সময় ঠিকাদারদের ব্যর্থতার কারণে প্রায় দুই বছর ফ্ল্যাট প্রকল্পের দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। এ কারণে ২০১৩ সালে ঠিকাদারদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়। পরে ২০১৪ সালে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে ৭৯টি ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকি ভবনগুলো নির্মাণের জন্য প্রস্তাব ঘুরাফেরা করছে। আগামী ১১ই নভেম্বর প্রথম পর্যায়ের ভবনগুলোর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
No comments