বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন হাইটেনশনের তবে সংলাপ সম্ভব -এনডিআইয়ের রিপোর্ট
ন্যাশনাল
ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) হতাশার মধ্যেও একটি আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
তারা বলেছে, নির্বাচনটি হবে হাইটেনশনের, তবে যদি সরকার ও বিরোধী দল একটি
সত্যিকারের সংলাপে বসে তাহলে একটি অধিকতর গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও
সবার জন্য মাঠ সমতলকারী অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা সম্ভব। এর মধ্য দিয়ে
একটি নতুন জাতীয় সমঝোতা ধারার সূচনা এবং জাতির সামাজিক ও অর্থনৈতিক
উন্নয়নে যে চমৎকার অগ্রগতি ঘটেছে তা চলমান থাকতে পারে।
এনডিআই’র নতুন রিপোর্ট বলেছে, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে এগিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত বিভিন্ন মৌলিক উপাদান রয়েছে। বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারা তার ইতিহাসে আছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক বহুত্ববাদ, গতিশীল মিডিয়া, দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যে লালিত সক্রিয় নাগরিক সমাজ, ক্রমবর্ধমানহারে তরুণদের সক্রিয়তা, এবং সহিংসতার প্রতি জনসাধারণের কম সহনশীলতার দিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ।
তবে এনডিআই উদ্বেগজনক পূর্বাভাস দিয়েছে যে, এসব সত্ত্বেও আগামী নির্বাচনটি উচ্চ মাত্রার রাজনৈতিক মেরূকরণ, উচ্চতর উত্তেজনা এবং একটি সঙ্কুচিত রাজনৈতিক পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিনিধি দল বৈদ্যুতিক ভোটিং মেশিন ইভিএম স্থাপন বিষয়ে পর্যবেক্ষক, গণমাধ্যম ও বিরোধীদলীয় নেতাদের তরফে নির্বাচন কমিশনের উদ্বেগজনক পরিকল্পনা সম্পর্কে শুনেছেন। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পূর্ণ অংশগ্রহণের বিষয়ে নারী ও যুবকরা উল্লেখযোগ্যভাবে বাধার মুখোমুখি হচ্ছে।
উপরন্তু, মিডিয়া প্রতিনিধি এবং নাগরিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক সহ সুশীল সমাজের তরফে তারা জেনেছেন যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
রাজনৈতিক কর্মী ও সরকারের সমালোচকদের তারা গ্রেপ্তার করছে। এর পাশাপাশি বিতর্কিত ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আরো ভয়ানকভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলোর বিপরীতে থাকা গুরুতর উদ্বেগকে আরো বেশি উসকে দিচ্ছে। বাকস্বাধীনতার পথ সংকীর্ণ হয়েছে।
এনডিআই প্রতিনিধি দল সংলাপ ছাড়া নিচের মুখ্য সুপারিশগুলো বিবেচনার জন্য পেশ করেছে।
? নির্বাচন কমিশনের কাজে কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না, এই মর্মে সরকার প্রকাশ্যে জনসাধারণের সামনে অঙ্গীকার করা উচিত;
? দলীয় কর্মী, নাগরিক সমাজ এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের ভয় দেখানো থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের তরফ থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে একটি পরিষ্কার বার্তা পাঠানো উচিত;
? রাজনৈতিক দলগুলির উচিত হবে নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণের পথে বিভিন্ন বাধা মোকাবিলা করার উপায় খুঁজে বের করা। নারীদের এমনভাবে সামনে আনতে হবে যাতে তারা ভোটে জিতে আসতে পারে।
? রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ এবং নির্বাচন কমিশনকে এমনসব পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে যুব সমাজ আরো বেশি সংখ্যায় নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে।
নির্বাচনী অংশগ্রহণের আনুষ্ঠানিক চ্যানেলগুলোতে তাদের সক্রিয় উপস্থিতি জোরালোভাবে ব্যবহার করার ফলাফল উত্তম হতে বাধ্য। এনডিআই প্রতিনিধি দল তাদের ১০ পৃষ্ঠার রিপোর্টে জোর দিয়ে বলেছে, এনডিআই বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে চায় না এবং এটি তারা স্বীকার করে যে বাংলাদেশের মানুষই তাদের নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা, বৈধতা এবং তাদের দেশের গণতান্ত্রিক উন্নয়নের ভাগ্য নির্ধারণে শেষ পর্যন্ত ভূমিকা রাখবে। কি উপায়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে সমর্থন ও শক্তিশালী করা যাবে, বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন কেন অবাধে হওয়া দরকার, সেটাও তাদের বিষয়।
তবে এনডিঅআই প্রতিনিধি দল আসন্ন নির্বাচন অবাধে হওয়ার পথে সম্ভাবনা ও বাধাগুলো চিহ্নিত করেছে। ১২ই অক্টোবরে প্রকাশিত বিবৃতিটি ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) এর আন্তর্জাতিক প্রাক নির্বাচন প্রতিনিধি দলের দেয়া। এই প্রতিনিধি দলের উদ্দেশ্য ছিল: বাংলাদেশের আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগাম নির্বাচনী প্রস্তুতি সঠিক এবং নিরপেক্ষভাবে পর্যালোচনা করা।
নির্বাচনী প্রক্রিয়ার শুদ্ধতা প্রভাবিত করতে পারে যেসব কারণ তা পরীক্ষা করা; এবং একটি
শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, যার ওপর জনসাধারণের আস্থা অর্জনের সম্ভাবনাকে আরো উন্নত করতে পারে, সেই লক্ষে সুপারিশ রাখা।
প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, বর্তমান এনডিআই বোর্ডের সদস্য এবং দক্ষিণ এশীয় বিষয়ক সাবেক মার্কিন সহকারী সেক্রেটারি রাষ্ট্রদূত কার্ল ইন্ডারফার্থ। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত বিষয়ক তিনি একজন বিশেষজ্ঞ। পাকিস্তানি লেখক ও সাবেক সংসদ সদস্য ফারাহ নাজ ইস্পাহানী এবং সিনিয়র সহযোগী ও এনডিআইয়ের এশিয়া প্রোগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালক পিটার ম্যানিকাস। প্রতিনিধি দলে এনডিআই নির্বাচন উপদেষ্টা মাইকেল ম্যাকনুলি এবং এনডিআই এর এশীয় বিষয়ক সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অ্যাডাম নেলসনও ছিলেন।
২০১৮ সালের ৫ থকে ১১ই অক্টোবর ওই দলটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতা, নির্বাচন কমিশন; সুশীল সমাজ প্রতিনিধি দল, নাগরিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক গ্রুপের সঙ্গে কথা বলেন। তারা নারী সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক কর্মী; মিডিয়া প্রতিনিধি, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা; ব্যবসায়ী নেতা এবং আন্তর্জাতিক ও কূটনৈতিক সমপ্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী থিংক ট্যাংক ন্যাশনাল এন্ডাউমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি বাংলাদেশের প্রাক নির্বাচনী অভিজ্ঞতা অর্জনে এনডিআইকে সহায়তা করছে।
এনডিআই’র নতুন রিপোর্ট বলেছে, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে এগিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত বিভিন্ন মৌলিক উপাদান রয়েছে। বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারা তার ইতিহাসে আছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক বহুত্ববাদ, গতিশীল মিডিয়া, দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যে লালিত সক্রিয় নাগরিক সমাজ, ক্রমবর্ধমানহারে তরুণদের সক্রিয়তা, এবং সহিংসতার প্রতি জনসাধারণের কম সহনশীলতার দিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ।
তবে এনডিআই উদ্বেগজনক পূর্বাভাস দিয়েছে যে, এসব সত্ত্বেও আগামী নির্বাচনটি উচ্চ মাত্রার রাজনৈতিক মেরূকরণ, উচ্চতর উত্তেজনা এবং একটি সঙ্কুচিত রাজনৈতিক পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিনিধি দল বৈদ্যুতিক ভোটিং মেশিন ইভিএম স্থাপন বিষয়ে পর্যবেক্ষক, গণমাধ্যম ও বিরোধীদলীয় নেতাদের তরফে নির্বাচন কমিশনের উদ্বেগজনক পরিকল্পনা সম্পর্কে শুনেছেন। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পূর্ণ অংশগ্রহণের বিষয়ে নারী ও যুবকরা উল্লেখযোগ্যভাবে বাধার মুখোমুখি হচ্ছে।
উপরন্তু, মিডিয়া প্রতিনিধি এবং নাগরিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক সহ সুশীল সমাজের তরফে তারা জেনেছেন যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
রাজনৈতিক কর্মী ও সরকারের সমালোচকদের তারা গ্রেপ্তার করছে। এর পাশাপাশি বিতর্কিত ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আরো ভয়ানকভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলোর বিপরীতে থাকা গুরুতর উদ্বেগকে আরো বেশি উসকে দিচ্ছে। বাকস্বাধীনতার পথ সংকীর্ণ হয়েছে।
এনডিআই প্রতিনিধি দল সংলাপ ছাড়া নিচের মুখ্য সুপারিশগুলো বিবেচনার জন্য পেশ করেছে।
? নির্বাচন কমিশনের কাজে কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না, এই মর্মে সরকার প্রকাশ্যে জনসাধারণের সামনে অঙ্গীকার করা উচিত;
? দলীয় কর্মী, নাগরিক সমাজ এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের ভয় দেখানো থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের তরফ থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে একটি পরিষ্কার বার্তা পাঠানো উচিত;
? রাজনৈতিক দলগুলির উচিত হবে নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণের পথে বিভিন্ন বাধা মোকাবিলা করার উপায় খুঁজে বের করা। নারীদের এমনভাবে সামনে আনতে হবে যাতে তারা ভোটে জিতে আসতে পারে।
? রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ এবং নির্বাচন কমিশনকে এমনসব পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে যুব সমাজ আরো বেশি সংখ্যায় নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে।
নির্বাচনী অংশগ্রহণের আনুষ্ঠানিক চ্যানেলগুলোতে তাদের সক্রিয় উপস্থিতি জোরালোভাবে ব্যবহার করার ফলাফল উত্তম হতে বাধ্য। এনডিআই প্রতিনিধি দল তাদের ১০ পৃষ্ঠার রিপোর্টে জোর দিয়ে বলেছে, এনডিআই বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে চায় না এবং এটি তারা স্বীকার করে যে বাংলাদেশের মানুষই তাদের নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা, বৈধতা এবং তাদের দেশের গণতান্ত্রিক উন্নয়নের ভাগ্য নির্ধারণে শেষ পর্যন্ত ভূমিকা রাখবে। কি উপায়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে সমর্থন ও শক্তিশালী করা যাবে, বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন কেন অবাধে হওয়া দরকার, সেটাও তাদের বিষয়।
তবে এনডিঅআই প্রতিনিধি দল আসন্ন নির্বাচন অবাধে হওয়ার পথে সম্ভাবনা ও বাধাগুলো চিহ্নিত করেছে। ১২ই অক্টোবরে প্রকাশিত বিবৃতিটি ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) এর আন্তর্জাতিক প্রাক নির্বাচন প্রতিনিধি দলের দেয়া। এই প্রতিনিধি দলের উদ্দেশ্য ছিল: বাংলাদেশের আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগাম নির্বাচনী প্রস্তুতি সঠিক এবং নিরপেক্ষভাবে পর্যালোচনা করা।
নির্বাচনী প্রক্রিয়ার শুদ্ধতা প্রভাবিত করতে পারে যেসব কারণ তা পরীক্ষা করা; এবং একটি
শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, যার ওপর জনসাধারণের আস্থা অর্জনের সম্ভাবনাকে আরো উন্নত করতে পারে, সেই লক্ষে সুপারিশ রাখা।
প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, বর্তমান এনডিআই বোর্ডের সদস্য এবং দক্ষিণ এশীয় বিষয়ক সাবেক মার্কিন সহকারী সেক্রেটারি রাষ্ট্রদূত কার্ল ইন্ডারফার্থ। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত বিষয়ক তিনি একজন বিশেষজ্ঞ। পাকিস্তানি লেখক ও সাবেক সংসদ সদস্য ফারাহ নাজ ইস্পাহানী এবং সিনিয়র সহযোগী ও এনডিআইয়ের এশিয়া প্রোগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালক পিটার ম্যানিকাস। প্রতিনিধি দলে এনডিআই নির্বাচন উপদেষ্টা মাইকেল ম্যাকনুলি এবং এনডিআই এর এশীয় বিষয়ক সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অ্যাডাম নেলসনও ছিলেন।
২০১৮ সালের ৫ থকে ১১ই অক্টোবর ওই দলটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতা, নির্বাচন কমিশন; সুশীল সমাজ প্রতিনিধি দল, নাগরিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক গ্রুপের সঙ্গে কথা বলেন। তারা নারী সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক কর্মী; মিডিয়া প্রতিনিধি, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা; ব্যবসায়ী নেতা এবং আন্তর্জাতিক ও কূটনৈতিক সমপ্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী থিংক ট্যাংক ন্যাশনাল এন্ডাউমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি বাংলাদেশের প্রাক নির্বাচনী অভিজ্ঞতা অর্জনে এনডিআইকে সহায়তা করছে।
No comments