চট্টগ্রাম পোর্ট এক্সেস রোড টোলপ্লাজার কোটি টাকা লুটপাটে সওজ
চট্টগ্রাম
পোর্ট এক্সেস রোডের টোলপ্লাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ
(সওজ)। অভিনব কৌশলে মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় ফেলে শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন
দিয়ে সওজ প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। গত ৫ বছরে এ টোলপ্লাজা
থেকে অন্তত ৪০ কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে
সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাবরে একাধিক লিখিত অভিযোগ
দায়ের করা হলেও কোনো রকম প্রতিকার মেলেনি বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা।
অভিযোগের বিবরণ মতে, চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগ টোলপ্লাজার টোল আদায় কার্যক্রম সমপাদন ও মনিটরিং করার জন্য সম্পূর্ণ অবৈধভাবে শ্রমিক ইউনিয়নের একটি পক্ষকে নিয়োজিত করে টোল আদায় করছে। আর টোলের সিংহভাগ টাকা রাজস্ব খাতে জমা না দিয়ে নানা কৌশলে পকেটে ভরছে।
শ্রমিক সংগঠনের নেতা জমির উদ্দিন জানান, চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের অধীন পোর্ট এক্সেস রোডের টোলপ্লাজায় টোল আদায়ের কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৮-২০০৯ অর্থ সালে। অপারেশন অ্যান্ড মেন্টেইনেন্স পদ্ধতিতে টোল আদায় করার জন্য ১৬ই অক্টোবর ২০০৮ সালে মনিকো-এটিটি কনসর্টিয়ামকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। যার মেয়াদ শেষ হয় ১৫ই অক্টোবর ২০১৩ সালে।
এরপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের একটি পক্ষের লোকজন দিয়ে টোল আদায় বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট করায়। ওই রিটে টোল আদায় স্থগিতাদেশ দেয়া হয়। আর এ সুবাধে রিটকারী শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন দিয়ে টোল আদায় কার্যক্রম অব্যাহত রাখে সওজ।
তিনি জানান, ২০১৩ সালের ১৫ই অক্টোবরের পর টোল আদায় কাজ পরিচালনায় লোকবল নিয়োগের কোনোরকম সরকারি আদেশ জারি করা হয়নি। আবার টোল আদায় কার্যক্রমে সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিভাগীয় কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীও নিয়োগ করা হয়নি। কিন্তু শ্রমিক লীগ সমর্থিত শ্রমিক ইউনিয়নের লোক নিয়োগ করে টোল আদায় কার্যক্রম চালাচ্ছে।
এতে টোল আদায়ে জড়িত লোকবলের কোনো প্রকার বেতন-ভাতাও সওজ বিভাগ থেকে প্রদান করা হচ্ছে না। অথচ টোল আদায় থেকে মোটা অঙ্কের বেতন-ভাতা প্রদানের হিসাব বহি সংরক্ষণ করা হয় টোলপ্লাজায়। শ্রমিক-কর্মচারীদের মাস্টার রোলে বেতন প্রদান করা হয় বলে দেখানো হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
এ ব্যাপারে জানার জন্য বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এর সভাপতি মো. সালাউদ্দিন এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন আরেকাংশের সভাপতি মানিক হোসেন এ বিষয়ে তেমন কিছু জানেন না বলে জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সড়কে প্রতিদিন ন্যূনতম গড়ে ৬৫০০-৭৫০০ পর্যন্ত গাড়ি পোর্ট এক্সেস রোড দিয়ে চলাচল করে। যার বেশিরভাগই চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্যবাহী ট্যাঙ্কার, লরি, কাভারভ্যান, ট্রাক ও পিকআপ। প্রতিটি গাড়ি থেকে ১০০ টাকা করে টোল আদায় করা হয়। সেই হিসেবে এই সড়ক হতে দৈনিক আদায়কৃত মাশুলের পরিমাণ ১৩ থেকে ১৫ লাখ টাকার বেশি।
কিন্তু সরকারি কোষাগারে রাজস্ব হিসেবে জমা দেয়া হয় গড়ে মাত্র এক লাখ দশ হাজার টাকা। বাকী বিপুল অংকের টোল আদায়ের টাকা লুটপাট করছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা এবং শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন।
সওজ বিভাগের হিসেব অনুযায়ী ২০১৩-২০১৪ সালে ২৭৫ দিন এ আদায়কৃত মাশুল এর পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৩,০৭,৬৪,৫৮৯/- টাকা। কিন্তু হিসেবে অনুযায়ী বাস্তবে মাশুল আদায় হয়েছে ১২-১৩ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে ১০ কোটি টাকারও বেশি লুটপাট করা হয়েছে।
২০১৪-২০১৫ সালে আদায়কৃত মাশুল এর পরিমাণ দেখিয়েছেন ৪,১৮,৯৯.০০০/- এবং ২০১৬-২০১৭ সালে আদায়কৃত মাশুল এর পরিমাণ দেখিয়েছেন ৪,২১,৮১,০০০ টাকা। ২০১৪-২০১৫ ও ২০১৬-২০১৭ সালে সরকার কম করে হলেও ৩০ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হয়েছে এমন অভিযোগ আছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমদ বলেন, প্রতিদিন টোল আদায়ের পরিমাণ এক লাখ ১০ হাজার টাকা, যা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয় এবং টোল আদায়কারীদের মাস্টার রোলে বেতন ভাতাও প্রদান করা হয়। এর বাইরে কি পরিমাণ টাকা টোলে আদায় হয় তা আমার জানা নেই।
কিন্তু টোল আদায়ে নিয়োজিত লোকজন সড়ক ও জনপথ বিভাগের কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে টোল আদায়ে লোকবল নিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না। সওজ বিভাগে লোকবল সংকটও রয়েছে। তাই শ্রমিক সংগঠন টোল আদায় করছে।
অভিযোগের বিবরণ মতে, চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগ টোলপ্লাজার টোল আদায় কার্যক্রম সমপাদন ও মনিটরিং করার জন্য সম্পূর্ণ অবৈধভাবে শ্রমিক ইউনিয়নের একটি পক্ষকে নিয়োজিত করে টোল আদায় করছে। আর টোলের সিংহভাগ টাকা রাজস্ব খাতে জমা না দিয়ে নানা কৌশলে পকেটে ভরছে।
শ্রমিক সংগঠনের নেতা জমির উদ্দিন জানান, চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের অধীন পোর্ট এক্সেস রোডের টোলপ্লাজায় টোল আদায়ের কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৮-২০০৯ অর্থ সালে। অপারেশন অ্যান্ড মেন্টেইনেন্স পদ্ধতিতে টোল আদায় করার জন্য ১৬ই অক্টোবর ২০০৮ সালে মনিকো-এটিটি কনসর্টিয়ামকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। যার মেয়াদ শেষ হয় ১৫ই অক্টোবর ২০১৩ সালে।
এরপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের একটি পক্ষের লোকজন দিয়ে টোল আদায় বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট করায়। ওই রিটে টোল আদায় স্থগিতাদেশ দেয়া হয়। আর এ সুবাধে রিটকারী শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন দিয়ে টোল আদায় কার্যক্রম অব্যাহত রাখে সওজ।
তিনি জানান, ২০১৩ সালের ১৫ই অক্টোবরের পর টোল আদায় কাজ পরিচালনায় লোকবল নিয়োগের কোনোরকম সরকারি আদেশ জারি করা হয়নি। আবার টোল আদায় কার্যক্রমে সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিভাগীয় কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীও নিয়োগ করা হয়নি। কিন্তু শ্রমিক লীগ সমর্থিত শ্রমিক ইউনিয়নের লোক নিয়োগ করে টোল আদায় কার্যক্রম চালাচ্ছে।
এতে টোল আদায়ে জড়িত লোকবলের কোনো প্রকার বেতন-ভাতাও সওজ বিভাগ থেকে প্রদান করা হচ্ছে না। অথচ টোল আদায় থেকে মোটা অঙ্কের বেতন-ভাতা প্রদানের হিসাব বহি সংরক্ষণ করা হয় টোলপ্লাজায়। শ্রমিক-কর্মচারীদের মাস্টার রোলে বেতন প্রদান করা হয় বলে দেখানো হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
এ ব্যাপারে জানার জন্য বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এর সভাপতি মো. সালাউদ্দিন এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন আরেকাংশের সভাপতি মানিক হোসেন এ বিষয়ে তেমন কিছু জানেন না বলে জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সড়কে প্রতিদিন ন্যূনতম গড়ে ৬৫০০-৭৫০০ পর্যন্ত গাড়ি পোর্ট এক্সেস রোড দিয়ে চলাচল করে। যার বেশিরভাগই চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্যবাহী ট্যাঙ্কার, লরি, কাভারভ্যান, ট্রাক ও পিকআপ। প্রতিটি গাড়ি থেকে ১০০ টাকা করে টোল আদায় করা হয়। সেই হিসেবে এই সড়ক হতে দৈনিক আদায়কৃত মাশুলের পরিমাণ ১৩ থেকে ১৫ লাখ টাকার বেশি।
কিন্তু সরকারি কোষাগারে রাজস্ব হিসেবে জমা দেয়া হয় গড়ে মাত্র এক লাখ দশ হাজার টাকা। বাকী বিপুল অংকের টোল আদায়ের টাকা লুটপাট করছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা এবং শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন।
সওজ বিভাগের হিসেব অনুযায়ী ২০১৩-২০১৪ সালে ২৭৫ দিন এ আদায়কৃত মাশুল এর পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৩,০৭,৬৪,৫৮৯/- টাকা। কিন্তু হিসেবে অনুযায়ী বাস্তবে মাশুল আদায় হয়েছে ১২-১৩ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে ১০ কোটি টাকারও বেশি লুটপাট করা হয়েছে।
২০১৪-২০১৫ সালে আদায়কৃত মাশুল এর পরিমাণ দেখিয়েছেন ৪,১৮,৯৯.০০০/- এবং ২০১৬-২০১৭ সালে আদায়কৃত মাশুল এর পরিমাণ দেখিয়েছেন ৪,২১,৮১,০০০ টাকা। ২০১৪-২০১৫ ও ২০১৬-২০১৭ সালে সরকার কম করে হলেও ৩০ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হয়েছে এমন অভিযোগ আছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমদ বলেন, প্রতিদিন টোল আদায়ের পরিমাণ এক লাখ ১০ হাজার টাকা, যা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয় এবং টোল আদায়কারীদের মাস্টার রোলে বেতন ভাতাও প্রদান করা হয়। এর বাইরে কি পরিমাণ টাকা টোলে আদায় হয় তা আমার জানা নেই।
কিন্তু টোল আদায়ে নিয়োজিত লোকজন সড়ক ও জনপথ বিভাগের কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে টোল আদায়ে লোকবল নিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না। সওজ বিভাগে লোকবল সংকটও রয়েছে। তাই শ্রমিক সংগঠন টোল আদায় করছে।
No comments