বিআরটিসি’র বাসও লক্কড়ঝক্কর by হাফিজ মুহাম্মদ
রাজধানীতে
চলা বিআরটিসি’র বেশির ভাগ বাস লক্কড়ঝক্কর, ভাঙাচোরা। এবড়ো-থেবড়ো হয়ে গেছে
কোনোটার অবকাঠামো। রং উঠে বিবর্ণ হয়ে গেছে। খোদ সরকারি সংস্থার এমন বাস
সড়কে রেখেই ঘোষণা দেয়া হয়েছে ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকার সব গণপরিবহনকে
দৃষ্টিনন্দন করতে। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি সংস্থার বাস
দৃষ্টিনন্দন রেখে একটি মডেল হিসেবে বেসরকারি খাতের সামনে উপস্থাপন করার
কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় উল্টো। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিআরটিসির
বেশিরভাগ বাস এখন বিভিন্ন বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ভাড়ায় চলে।
এসব বাসের অবস্থা তুলনামূলক ভালো। আর যেসব বাস গণপরিবহন হিসেবে চলছে
এগুলোর অবস্থা বেশি খারাপ। এসব লক্কড়ঝক্কর বাস সড়কে চলায় দুর্ঘটনাও ঘটছে।
সড়কের মাঝেই হঠাৎ বন্ধ হয়ে যেতেও দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে দ্বিতল বাসগুলোর কোনো কোনোটি ঝুঁকি নিয়েই চলছে। এতদিন বিআরটিসি লক্কড়ঝক্কর বাস দিয়ে সেবা চালিয়ে গেলেও শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পরেও অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। আন্দোলনের সময় ফিটনেস না থাকা, কাগজপত্র সঙ্গে না থাকায় বিভিন্ন সড়কে বিআরটিসির বাসও আটক করেছিল শিক্ষার্থীরা। নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের পরে গত মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সড়ক থেকে সকল লক্কড়ঝক্কর বাস বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। কোনো কোনো কোম্পানির লক্কড়ঝক্কর বাস এরইমধ্যে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে বিআরটিসি কর্মকর্তারা বলছেন, শনিবার থেকে তাদের সেবা সপ্তাহ চলবে।
চলতি মাসের বাকি সময়ের মধ্যে সব বাসকে দৃষ্টিনন্দন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া লক্কড়ঝক্কর বাসও মেরামত করা হবে। গত কয়েকদিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক, ডিপো ঘুরে বিআরটিসির ফিটনেসবিহীন বাস চলতে দেখা গেছে। এরমধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস, স্টাফ বাস, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে দেয়া বিআরটিসি বাসগুলো। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি তাদের যেসব বাস সড়কে চলমান রয়েছে তা সবই চলাচলের উপযোগী। দুই একটি বাসের কোনো অংশ ভাঙাচোরা থাকলেও সেগুলো লক্কড়ঝক্কর বলে মানতে রাজি নন ডিপো কর্মকর্তা।
তারা বলেন, আমাদের যেসব বাসে সমস্যা সেগুলো সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর যেগুলোর যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে সেগুলো ঠিক করে চালাই। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বিআরটিসির বাস চলতে দেখা গেছে। তবে তার সংখ্যা ছিল একেবারেই কম। মোহাম্মদপুর-নতুনবাজার রুটে চলাচলকরা বিআরটিসি বাসের কয়েকটি ভাঙাচোরা অবস্থায় দেখা গেছে। গাড়ির চালক এবং তার সহকারী এটাকে কোনো সমস্যাই মনে করছে না। একই চিত্র দেখা গেছে মতিঝিল-আবদুল্লাহপুর রুটে চলাচল করা কয়েকটি বাস। এগুলোর বেশিরভাগের পিছনের এবং সামনের অংশের বিভিন্ন পাত ভেঙে ঝুলে রয়েছে। আবার অনেক বাসের পাশ থেকে অনেকাংশ নেই। বাইরে থেকেই যাত্রীদের হাত পা দেখা যায়। কোনো কোনোটির দরজা বন্ধ করা যায় না। যাত্রীদের অভিযোগ, ফ্যান, লাইট, আসনে সমস্যা থাকায় স্বস্তিতে চলাচল করা যায় না।
রাজধানীর কল্যাণপুর এবং মুহাম্মদপুর বাস ডিপোতে গিয়ে দেখা গেছে যেসব বাস চলমান রয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগ ভাঙাচোরা। কল্যাণপুর ডিপোতে থাকা বিআরটিসির বাসগুলো অধিকাংশই বিভিন্ন অফিস-আদালতের কর্মকর্তা এবং কলেজ-ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চলাচল করে। সাধারণ যাত্রী পরিবহনে তাদের বাসের সংখ্যা কম। তবে এই বাসগুলোর মধ্যেও লক্কড়ঝক্কর বাস রয়েছে।
এছাড়া কল্যাণপুর ডিপোতে অনেক বাস নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। নিয়মিত চলাচল করা বাসের মধ্যে হঠাৎ করে কোনোটির ইঞ্জিন বিকল হলে পতিত অবস্থায় থাকা বাস থেকেই ঠিক করে আবার সড়কে দেয়া হয়। গতকাল এ ডিপোর বাস সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল তাই কোনো কর্মকর্তাও ছিলেন না। এ ডিপোর একজন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের বাস দোতলা হওয়ায় সড়কে চলতে গিয়ে কখনও কখনও পাত চাপ খেয়ে যায় বা ফেটে যায়। এ কারণে মনে হয় লক্কড়ঝক্কর। তবে এগুলো সম্পূর্ণ ফিট রয়েছে।
মুহাম্মদপুর ডিপোতে দেখা যায় মুহাম্মদপুর-নতুনবাজার রুটের বাস চলাচল করতে। তাদের চলমান বাসের মধ্যে কিছু লক্কড়ঝক্কর বাস দেখা যায়। ডিপো কর্মচারীরা বলেন, ওগুলো ফিট রয়েছে কোনো সমস্যা নেই। বিআরটিসি জোয়ার সাহারা ডিপোর ম্যানেজার নূর-ই-আলম বলেন, সড়কে চলাচলকারী বিআরটিসির লক্কড়ঝক্কর বাস এখন অনেক কম। ইতিমধ্যে ৫০ ভাগ বাস ঠিক করা হয়েছে। বাকিগুলো আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে ঠিক করা হবে। ৮-১৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেবা সপ্তাহ চলবে। এরমধ্যে শতভাগ লক্কড়ঝক্কর বাস ঠিক করা হবে। সামনে আর কোন বাস লক্কড়ঝক্কড় থাকবে না।
সড়কের মাঝেই হঠাৎ বন্ধ হয়ে যেতেও দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে দ্বিতল বাসগুলোর কোনো কোনোটি ঝুঁকি নিয়েই চলছে। এতদিন বিআরটিসি লক্কড়ঝক্কর বাস দিয়ে সেবা চালিয়ে গেলেও শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পরেও অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। আন্দোলনের সময় ফিটনেস না থাকা, কাগজপত্র সঙ্গে না থাকায় বিভিন্ন সড়কে বিআরটিসির বাসও আটক করেছিল শিক্ষার্থীরা। নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের পরে গত মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সড়ক থেকে সকল লক্কড়ঝক্কর বাস বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। কোনো কোনো কোম্পানির লক্কড়ঝক্কর বাস এরইমধ্যে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে বিআরটিসি কর্মকর্তারা বলছেন, শনিবার থেকে তাদের সেবা সপ্তাহ চলবে।
চলতি মাসের বাকি সময়ের মধ্যে সব বাসকে দৃষ্টিনন্দন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া লক্কড়ঝক্কর বাসও মেরামত করা হবে। গত কয়েকদিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক, ডিপো ঘুরে বিআরটিসির ফিটনেসবিহীন বাস চলতে দেখা গেছে। এরমধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস, স্টাফ বাস, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে দেয়া বিআরটিসি বাসগুলো। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি তাদের যেসব বাস সড়কে চলমান রয়েছে তা সবই চলাচলের উপযোগী। দুই একটি বাসের কোনো অংশ ভাঙাচোরা থাকলেও সেগুলো লক্কড়ঝক্কর বলে মানতে রাজি নন ডিপো কর্মকর্তা।
তারা বলেন, আমাদের যেসব বাসে সমস্যা সেগুলো সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর যেগুলোর যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে সেগুলো ঠিক করে চালাই। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বিআরটিসির বাস চলতে দেখা গেছে। তবে তার সংখ্যা ছিল একেবারেই কম। মোহাম্মদপুর-নতুনবাজার রুটে চলাচলকরা বিআরটিসি বাসের কয়েকটি ভাঙাচোরা অবস্থায় দেখা গেছে। গাড়ির চালক এবং তার সহকারী এটাকে কোনো সমস্যাই মনে করছে না। একই চিত্র দেখা গেছে মতিঝিল-আবদুল্লাহপুর রুটে চলাচল করা কয়েকটি বাস। এগুলোর বেশিরভাগের পিছনের এবং সামনের অংশের বিভিন্ন পাত ভেঙে ঝুলে রয়েছে। আবার অনেক বাসের পাশ থেকে অনেকাংশ নেই। বাইরে থেকেই যাত্রীদের হাত পা দেখা যায়। কোনো কোনোটির দরজা বন্ধ করা যায় না। যাত্রীদের অভিযোগ, ফ্যান, লাইট, আসনে সমস্যা থাকায় স্বস্তিতে চলাচল করা যায় না।
রাজধানীর কল্যাণপুর এবং মুহাম্মদপুর বাস ডিপোতে গিয়ে দেখা গেছে যেসব বাস চলমান রয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগ ভাঙাচোরা। কল্যাণপুর ডিপোতে থাকা বিআরটিসির বাসগুলো অধিকাংশই বিভিন্ন অফিস-আদালতের কর্মকর্তা এবং কলেজ-ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চলাচল করে। সাধারণ যাত্রী পরিবহনে তাদের বাসের সংখ্যা কম। তবে এই বাসগুলোর মধ্যেও লক্কড়ঝক্কর বাস রয়েছে।
এছাড়া কল্যাণপুর ডিপোতে অনেক বাস নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। নিয়মিত চলাচল করা বাসের মধ্যে হঠাৎ করে কোনোটির ইঞ্জিন বিকল হলে পতিত অবস্থায় থাকা বাস থেকেই ঠিক করে আবার সড়কে দেয়া হয়। গতকাল এ ডিপোর বাস সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল তাই কোনো কর্মকর্তাও ছিলেন না। এ ডিপোর একজন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের বাস দোতলা হওয়ায় সড়কে চলতে গিয়ে কখনও কখনও পাত চাপ খেয়ে যায় বা ফেটে যায়। এ কারণে মনে হয় লক্কড়ঝক্কর। তবে এগুলো সম্পূর্ণ ফিট রয়েছে।
মুহাম্মদপুর ডিপোতে দেখা যায় মুহাম্মদপুর-নতুনবাজার রুটের বাস চলাচল করতে। তাদের চলমান বাসের মধ্যে কিছু লক্কড়ঝক্কর বাস দেখা যায়। ডিপো কর্মচারীরা বলেন, ওগুলো ফিট রয়েছে কোনো সমস্যা নেই। বিআরটিসি জোয়ার সাহারা ডিপোর ম্যানেজার নূর-ই-আলম বলেন, সড়কে চলাচলকারী বিআরটিসির লক্কড়ঝক্কর বাস এখন অনেক কম। ইতিমধ্যে ৫০ ভাগ বাস ঠিক করা হয়েছে। বাকিগুলো আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে ঠিক করা হবে। ৮-১৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেবা সপ্তাহ চলবে। এরমধ্যে শতভাগ লক্কড়ঝক্কর বাস ঠিক করা হবে। সামনে আর কোন বাস লক্কড়ঝক্কড় থাকবে না।
No comments