লাশ দাফনের ১১ দিন পরও জীবিত সাথী, চাঞ্চল্য
লাশ
দাফনের ১১ দিন পর “মৃত” ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করেছে যশোর কোতয়ালী থানা
পুলিশ। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সাথী খাতুন নামের (২৮) ওই
গৃহবধুকে গতকাল রোববার সকালে যশোর সদর উপজেলার জলকর গ্রামের আজিজুর লস্করের
বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান যশোর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ
অপূর্ব হাসান। তিনি বলেন, ১১ দিন আগে যশোরের চৌগাছা উপজেলার নাইড়া গ্রামে
সাথী খাতুন বলে চিহ্নিত এক গৃহবধূর লাশ দাফন করেন তার স্বজনরা। ‘পলিথিনে
মোড়ানো লাশ’ কে জীবিত সাথী খাতুনের স্বজনরা তাদের মেয়ে হিসেবে গ্রহণ করে
তাকে নিজেদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন। তার ১১ দিন পর গতকাল আসল সাথী
খাতুনকে জীবিত উদ্ধারের খবরে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ বলছে, সাথী খাতুন যশোরের চৌগাছার নায়ড়া গ্রামের আমজেদ আলীর মেয়ে এবং একই উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার স্ত্রী। তাঁদের এহসান নামে ছয় বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। গত ১৪ই জুলাই স্বামীর বন্ধু, একই গ্রামের মান্নুর সঙ্গে তিনি পালিয়ে যান। এরপর তাঁরা যশোর সদর উপজেলার জলকর গ্রামে অবস্থান করছিলেন। কয়েক দিন আগে মান্নু মালয়েশিয়া চলে যান। কিন্তু সাথী আর নিজের বাড়িতে ফিরে যাননি।
এদিকে, গত ২৯শে আগস্ট রাতে যশোর সরকারি সিটি কলেজের পাশের একটি পুকুরের পাড় থেকে পলিথিনে মোড়ানো এক তরুণীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে কোতয়ালী থানা পুলিশ। পরে পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। খবর পেয়ে ১ দিন পর চৌগাছার নায়ড়া গ্রামের আমজেদ আলী লাশটি তাঁর মেয়ে সাথীর বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়। হত্যারহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করতে থাকে। এরই মধ্যে গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, সাথী মারা যাননি। তিনি প্রেমিক মান্নুর ধর্মপিতা যশোর সদর উপজেলার জলকার গ্রামের আজিজুর লস্করের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ অপূর্ব হাসান বলেন, আট বছর আগে চৌগাছা উপজেলার নায়ড়া গ্রামের সাথী খাতুনের সঙ্গে চাঁদপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার বিয়ে হয়। তাঁদের ছয় বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। এর মধ্যে স্বামীর বন্ধু মালয়েশিয়া প্রবাসী মান্নুর সঙ্গে সাথীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১৪ই জুলাই বিকেলে বাইরে কাজে যাওয়ার কথা বলে সাথী বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর সাথী ও মান্নু স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে যশোর সদর উপজেলার জলকর গ্রামের নিঃসন্তান দম্পতি আজিজুর লস্করের বাড়িতে আশ্রয় নেন। ১৫ দিন পরে মান্নু আবার মালয়েশিয়া চলে যান। কিন্তু সাথী আর নিজের বাড়িতে ফিরে যাননি কিংবা কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেননি। পরে সাথীর মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে জানা গেছে, তিনি যশোরে অবস্থান করছেন।
ওসি অপূর্ব হাসান আরও জানান, সাথীকে উদ্ধারের পর গতকাল বিকেলেই তাকে আদালতে তোলা হয়। সেখানে সাথী প্রকৃত ঘটনা খুলে বলেন এবং ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।
এদিকে গত ২৯শে আগষ্ট যশোর সরকারী সিটি কলেজের পুকুর থেকে পলিথিনে মোড়ানো গলাকাটা এক তরুণীর লাশকে সাথী হিসেবে চিহ্নিত করে তার স্বজনরা নিজ গ্রামে কবরস্থ করেন। গতকাল সাথীকে জীবিত উদ্ধারের পর কবরস্থ ওই তরুণীর পরিচয় নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে রহস্যের। পুলিশ বলছে, তারা এই রহস্য উদঘাটনে কাজ করছেন। এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাথী খাতুন পুলিশ হেফাজতে ছিলেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ বলছে, সাথী খাতুন যশোরের চৌগাছার নায়ড়া গ্রামের আমজেদ আলীর মেয়ে এবং একই উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার স্ত্রী। তাঁদের এহসান নামে ছয় বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। গত ১৪ই জুলাই স্বামীর বন্ধু, একই গ্রামের মান্নুর সঙ্গে তিনি পালিয়ে যান। এরপর তাঁরা যশোর সদর উপজেলার জলকর গ্রামে অবস্থান করছিলেন। কয়েক দিন আগে মান্নু মালয়েশিয়া চলে যান। কিন্তু সাথী আর নিজের বাড়িতে ফিরে যাননি।
এদিকে, গত ২৯শে আগস্ট রাতে যশোর সরকারি সিটি কলেজের পাশের একটি পুকুরের পাড় থেকে পলিথিনে মোড়ানো এক তরুণীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে কোতয়ালী থানা পুলিশ। পরে পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। খবর পেয়ে ১ দিন পর চৌগাছার নায়ড়া গ্রামের আমজেদ আলী লাশটি তাঁর মেয়ে সাথীর বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়। হত্যারহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করতে থাকে। এরই মধ্যে গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, সাথী মারা যাননি। তিনি প্রেমিক মান্নুর ধর্মপিতা যশোর সদর উপজেলার জলকার গ্রামের আজিজুর লস্করের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ অপূর্ব হাসান বলেন, আট বছর আগে চৌগাছা উপজেলার নায়ড়া গ্রামের সাথী খাতুনের সঙ্গে চাঁদপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার বিয়ে হয়। তাঁদের ছয় বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। এর মধ্যে স্বামীর বন্ধু মালয়েশিয়া প্রবাসী মান্নুর সঙ্গে সাথীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১৪ই জুলাই বিকেলে বাইরে কাজে যাওয়ার কথা বলে সাথী বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর সাথী ও মান্নু স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে যশোর সদর উপজেলার জলকর গ্রামের নিঃসন্তান দম্পতি আজিজুর লস্করের বাড়িতে আশ্রয় নেন। ১৫ দিন পরে মান্নু আবার মালয়েশিয়া চলে যান। কিন্তু সাথী আর নিজের বাড়িতে ফিরে যাননি কিংবা কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেননি। পরে সাথীর মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে জানা গেছে, তিনি যশোরে অবস্থান করছেন।
ওসি অপূর্ব হাসান আরও জানান, সাথীকে উদ্ধারের পর গতকাল বিকেলেই তাকে আদালতে তোলা হয়। সেখানে সাথী প্রকৃত ঘটনা খুলে বলেন এবং ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।
এদিকে গত ২৯শে আগষ্ট যশোর সরকারী সিটি কলেজের পুকুর থেকে পলিথিনে মোড়ানো গলাকাটা এক তরুণীর লাশকে সাথী হিসেবে চিহ্নিত করে তার স্বজনরা নিজ গ্রামে কবরস্থ করেন। গতকাল সাথীকে জীবিত উদ্ধারের পর কবরস্থ ওই তরুণীর পরিচয় নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে রহস্যের। পুলিশ বলছে, তারা এই রহস্য উদঘাটনে কাজ করছেন। এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাথী খাতুন পুলিশ হেফাজতে ছিলেন বলে জানা গেছে।
No comments