আইনগত সহায়তা ব্যতিরেকে ‘আইনের দৃষ্টিতে সমতা’ অর্জন সম্ভব নয়: প্রধান বিচারপতি
বাংলাদেশের
আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে আইনগত সহায়তা ব্যতিরেকে ‘আইনের দৃষ্টিতে সমতা’
অর্জন কখনোই সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ
হোসেন। একই সঙ্গে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদান, প্রচার ও জনমনে সচেতনতা
বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিগ্যাল এইড বিষয়ক আইন পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার
আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের মূলভবনের কনফারেন্স রুমে
‘লিগ্যাল এইড ও আইন সাংবাদিকতা’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনকালে প্রধান
অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধান বিচারপতি। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান
সংস্থা সুপ্রিম কোর্ট কমিটি ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) যৌথভাবে এ
কর্মশালার আয়োজন করে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ন্যায়বিচার প্রাপ্তি এবং আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকার একটি সার্বজনীন মৌলিক মানবাধিকার। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার সংরক্ষণে সরকারি আইনগত সহায়তা প্রদানের ভূমিকা অপরিসীম।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে আইনগত সহায়তা ব্যাতিরেকে ‘আইনের দৃষ্টিতে সমতা’ অর্জন কখনোই সম্ভব নয়।’ সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম ইতিমধ্যে সর্বমহলে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে এবং এর সুফল ক্রমান্বয়ে দেশের সর্বত্র বিস্মৃত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ‘মানুষের তথ্য জানার এবং গণমাধ্যমের তথ্য জানানোর গভীর দায়বদ্ধতার প্রশ্নে সামাজিক অঙ্গীকার নিয়ে সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ত অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করছে। আইন, আদালত, আইনশৃঙ্খলা মানবাধিকার ও আইনি সেবা সংক্রান্ত তথ্য আইন সাংবাদিকতার মাধ্যমে উঠে আসে। তাই সরকারি অর্থায়নে লিগ্যাল এইড সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে তাদের ভূমিকা অপরিসীম।’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমাদের সবার নিজ নিজ অবস্থান হতে সহযোগিতা এবং দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার মাধ্যমে মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত হতে পারে।’
এজন্য অসহায় দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিক সমাজসহ সবাইকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি। লিগ্যাল এইড সংক্রান্ত আইন, বিধি ও সার্কুলার যথাযথভাবে অনুসরণ করার তাগিদ দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘লিগ্যাল এইড বিষয়ক আইনকে প্রতিটি ল স্কুলে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। যেন শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারে।’ একই সঙ্গে সরকারি খরচে পরিচালিত মামলাগুলো অত্যন্ত যত্ন ও দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শুধু জেল আপিল শুনানির জন্য পৃথক ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। ফলে এখন জেল আপিল মামলার শুনানি অন্তে দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়ায় মামলার নিষ্পত্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে দরিদ্র ও অসহায় মানুষ পরিত্রাণ পাবে।
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য সচিব ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল টাইটাস হিল্লোল রেমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার সুপ্রিম কোর্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহীম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. জাকির হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকট জয়নুল আবেদীন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম প্রমুখ।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ন্যায়বিচার প্রাপ্তি এবং আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকার একটি সার্বজনীন মৌলিক মানবাধিকার। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার সংরক্ষণে সরকারি আইনগত সহায়তা প্রদানের ভূমিকা অপরিসীম।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে আইনগত সহায়তা ব্যাতিরেকে ‘আইনের দৃষ্টিতে সমতা’ অর্জন কখনোই সম্ভব নয়।’ সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম ইতিমধ্যে সর্বমহলে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে এবং এর সুফল ক্রমান্বয়ে দেশের সর্বত্র বিস্মৃত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ‘মানুষের তথ্য জানার এবং গণমাধ্যমের তথ্য জানানোর গভীর দায়বদ্ধতার প্রশ্নে সামাজিক অঙ্গীকার নিয়ে সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ত অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করছে। আইন, আদালত, আইনশৃঙ্খলা মানবাধিকার ও আইনি সেবা সংক্রান্ত তথ্য আইন সাংবাদিকতার মাধ্যমে উঠে আসে। তাই সরকারি অর্থায়নে লিগ্যাল এইড সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে তাদের ভূমিকা অপরিসীম।’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমাদের সবার নিজ নিজ অবস্থান হতে সহযোগিতা এবং দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার মাধ্যমে মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত হতে পারে।’
এজন্য অসহায় দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিক সমাজসহ সবাইকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি। লিগ্যাল এইড সংক্রান্ত আইন, বিধি ও সার্কুলার যথাযথভাবে অনুসরণ করার তাগিদ দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘লিগ্যাল এইড বিষয়ক আইনকে প্রতিটি ল স্কুলে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। যেন শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারে।’ একই সঙ্গে সরকারি খরচে পরিচালিত মামলাগুলো অত্যন্ত যত্ন ও দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শুধু জেল আপিল শুনানির জন্য পৃথক ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। ফলে এখন জেল আপিল মামলার শুনানি অন্তে দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়ায় মামলার নিষ্পত্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে দরিদ্র ও অসহায় মানুষ পরিত্রাণ পাবে।
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য সচিব ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল টাইটাস হিল্লোল রেমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার সুপ্রিম কোর্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহীম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. জাকির হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকট জয়নুল আবেদীন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম প্রমুখ।
No comments