আধার কার্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ধাক্কা খেল মোদি সরকার, খুশি মমতা
ভারতে
‘আধার’ কার্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে নরেন্দ্র মোদির
নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। ‘প্যান’ কার্ডে ‘আধার’ সংযোগ করা বাধ্যতামূলক
থাকলেও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা বা পরে ব্যাংকে আধার সংযোগের প্রয়োজন নেই
বলে বুধবার জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বিচারপতির
সমন্বিত বেঞ্চ।
এর পাশাপাশি শীর্ষ আদালত আধার আইনের ৫৭ নম্বর ধারা খারিজ করে দেয়ায় কোনো বেসরকারি সংস্থা আধারের তথ্য চাইতে পারবে না। এছাড়া স্কুলে ভর্তি হওয়া, ইউজিসি, নিট বা সিবিএসই’র মতো পরীক্ষাতেও আধার বাধ্যতামূলক নয় বলে শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছে।
এরআগে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, মোবাইলের সিমকার্ড নেয়া, পাসপোর্ট, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো ক্ষেত্রে আধার সংযোগ বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেছিল। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন পরিষেবা পাওয়ার জন্যও আধার কার্ড অবশ্যই প্রয়োজন বলে জানিয়েছিল। আজ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কার্যত সরকারি ওই নির্দেশ আর কার্যকর থাকছে না বলে আইনজীবীরা বলছেন। এরফলে কেন্দ্রীয় সরকার বড় ধাক্কা খেলো বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
আধার সংযোগ নিয়ে সরকারি নির্দেশের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সেসময় বিরোধিতা করেছিলেন। আধারের মাধ্যমে সরকার অহেতুক নাগরিকদের ওপর নজরদারি করতে চাচ্ছে এবং এরফলে সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনসহ ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠায় ২৭টি মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে।
সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মোবাইল ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার যোগ করার নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তৃণমূল এমপি মহুয়া মৈত্র। আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। এই রায়ে সাধারণ মানুষের জয় হয়েছে।’
তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও. ব্রায়েন ওই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকে মোবাইল ফোন, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আধার সংযোগের বিরোধিতা করেছিলেন।
আজ ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধীও সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ওই রায়কে 'ঐতিহাসিক' বলে অভিহিত করে একে স্বাগত জানিয়েছেন।
এর পাশাপাশি শীর্ষ আদালত আধার আইনের ৫৭ নম্বর ধারা খারিজ করে দেয়ায় কোনো বেসরকারি সংস্থা আধারের তথ্য চাইতে পারবে না। এছাড়া স্কুলে ভর্তি হওয়া, ইউজিসি, নিট বা সিবিএসই’র মতো পরীক্ষাতেও আধার বাধ্যতামূলক নয় বলে শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছে।
এরআগে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, মোবাইলের সিমকার্ড নেয়া, পাসপোর্ট, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো ক্ষেত্রে আধার সংযোগ বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেছিল। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন পরিষেবা পাওয়ার জন্যও আধার কার্ড অবশ্যই প্রয়োজন বলে জানিয়েছিল। আজ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কার্যত সরকারি ওই নির্দেশ আর কার্যকর থাকছে না বলে আইনজীবীরা বলছেন। এরফলে কেন্দ্রীয় সরকার বড় ধাক্কা খেলো বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
আধার সংযোগ নিয়ে সরকারি নির্দেশের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সেসময় বিরোধিতা করেছিলেন। আধারের মাধ্যমে সরকার অহেতুক নাগরিকদের ওপর নজরদারি করতে চাচ্ছে এবং এরফলে সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনসহ ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠায় ২৭টি মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে।
সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মোবাইল ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার যোগ করার নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তৃণমূল এমপি মহুয়া মৈত্র। আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। এই রায়ে সাধারণ মানুষের জয় হয়েছে।’
তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও. ব্রায়েন ওই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকে মোবাইল ফোন, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আধার সংযোগের বিরোধিতা করেছিলেন।
আজ ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধীও সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ওই রায়কে 'ঐতিহাসিক' বলে অভিহিত করে একে স্বাগত জানিয়েছেন।
No comments