পাকিস্তানে বৃহত্তর বিরোধী দলীয় জোট গঠন
পাকিস্তানে
নতুন পার্লামেন্ট শুরু হওয়ার আগেই বিরোধী দলগুলো গড়ে তুলছে বৃহত্তর বিরোধী
দলীয় জোট বা গ্রান্ড অপোজিশন এলায়েন্স। যৌথভাবে ২৫ শে জুলাই অনুষ্ঠিত
নির্বাচনের কথিত অভিযোগের বিরুদ্ধে তারা পার্লামেন্টের ভিতরে ও বাইরে
যৌথভাবে প্রতিবাদ জানাবে। সোমবার এ নিয়ে বড় চারটি দলের মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে।
দলগুলো হলো পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন), পাকিস্তান পিপলস
পার্টি (পিপিপি), মুত্তাহিদা মজলিশে আমল (এমএমএ) ও আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি
(এএনপি)। এ চারটি দলের সিনিয়র নেতারা পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের বিদায়ী
স্পিকার আয়াজ সাদিকের ইসলামাবাদের বাসায় সোমবার মিলিত হন। সেখানে তারা
একমত হন যে, বিরোধী পক্ষ বা সরকার পক্ষকে তারা মাঠ ফাঁকা ছেড়ে দেবেন না।
ইমরান খানের নেতৃত্বে পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) যে ভবিষ্যত সরকার
গঠন হবে তাকে কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত রিপোর্টে পিটিআই জাতীয় পরিষদে সবচেয়ে বড় দল হিসেবে নির্বাচিত হলেও এককভাবে সরকার গঠন করতে পারছে না। ২৭২ আসনের জাতীয় পরিষদে সরকার গঠন করতে হলে একটি দলকে কমপক্ষে ১৩৭টি আসন পেতে হয়। সেখানে ইমরান খানের পিটিআই পেয়েছে ১১৫টি আসন। ফলে সরকার গঠন করতে হলে তাদের প্রয়োজন আরো ২২টি আসন। এই আসনগুলো পূরণ করতে পিটিআই ছোট ছোট দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দুয়ারে ধরনা দিচ্ছে।
সোমবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন সূত্রগুলো ডন’কে বলেছেন, বৈঠকে বেশ কিছু সুপারিশ দিয়েছেন মাওলানা ফজলুর রেহমান। তিনি বলেছেন পার্লামেন্টারি দায়িত্বের প্রতিটি পদে তাদেরকে যৌথভাবে প্রার্থী দিতে হবে। পিটিআই যেন কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করতে না পারে সে জন্য তাদেরকে সব রকম প্রচেষ্টা নিতে হবে। উল্লেখ্য, নির্বাচনে তার দল এমএমএ পেয়েছে ১২টি আসন। তাদের সহ পিপিপি, পিএমএলএনের মোট আসন দাঁড়ায় ১১৭, যা পিটিআইয়ের চেয়ে দুটি বেশি। ফলে যদি তারা পিটিআইকে সরকার গঠনে আটকে দিতে পারেন তাহলে তাদের সামনে একটি সুযোগ চলে আসতে পারে। এর আগে আসন্ন জাতীয় পরিষদের বৈঠকে যোগ দেয়া বর্জনের দাবি জানিয়েছিলেন মাওলানা ফজলুর রেহমান। তিনি সোমবারও একই দাবি করেছেন। তবে এ নিয়ে তার দলেই নাকি বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। তাই তিনি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলেন। সোমবার আয়াজ সাদিকের বাসায় যে বৈঠক হয়েছে সেখানে চারটি দলই তাদের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছে। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যখন নবনির্বাচিত সদস্যরা শপথ নেবেন তারপর প্রথম অধিবেশন বসবে তখন জাতীয় পরিষদের ভিতরে ও বাইরে তারা কড়া প্রতিবাদ জানাবেন। তারা দাবি জানাবেন, নির্বাচনে ভোট কারচুপি তদন্তের জন্য একটি পার্লামেন্টারি কমিশন গঠন করতে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কিছু প্রতিষ্ঠানের হস্তক্ষেপের অভিযোগও তদন্ত করবে ওই কমিশন। রাজা রাব্বানির মতো ব্যক্তিদের নিয়ে এমন কমিশন হতে পারে বলে মত দিয়েছেন পিএমএলএনের সিনিয়র এক নেতা। এ বেঠকে কয়েক বছরের মধ্যে প্রথমবার পিএমএলএনের সভাপতি শাহবাজ শরীফের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাত হলো পিপিপির নেতাদের। এতে পিএমএলএনের আরো যেসব নেতা উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন আয়াজ সাদিক, রাজা জাফরুল হক, মুশাহিত হোসেন সাইদ, শাহিদ খাকান আব্বাসি, আমির মুকাম, শাহ মুহাম্মদ শাহ, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল কাদির বেলুচ। পিপিপির প্রতিনিধিদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ খুরশিদ শাহ, শেরি রেহমান, ইউসুফ রাজা গিলানি, সাইদ নাভিদ কমর, রাজা পারভেজ আশরাফ ও ফরহাতুল্লাহ বাবর। মাওলানা ফজলুর রহমানের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন আকরাম দুরানি। এএনপির প্রতিনিধিত্ব করেন গোলাম আহমেদ বিলোর ও মিয়া ইফতিখার হোসেন।
নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত রিপোর্টে পিটিআই জাতীয় পরিষদে সবচেয়ে বড় দল হিসেবে নির্বাচিত হলেও এককভাবে সরকার গঠন করতে পারছে না। ২৭২ আসনের জাতীয় পরিষদে সরকার গঠন করতে হলে একটি দলকে কমপক্ষে ১৩৭টি আসন পেতে হয়। সেখানে ইমরান খানের পিটিআই পেয়েছে ১১৫টি আসন। ফলে সরকার গঠন করতে হলে তাদের প্রয়োজন আরো ২২টি আসন। এই আসনগুলো পূরণ করতে পিটিআই ছোট ছোট দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দুয়ারে ধরনা দিচ্ছে।
সোমবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন সূত্রগুলো ডন’কে বলেছেন, বৈঠকে বেশ কিছু সুপারিশ দিয়েছেন মাওলানা ফজলুর রেহমান। তিনি বলেছেন পার্লামেন্টারি দায়িত্বের প্রতিটি পদে তাদেরকে যৌথভাবে প্রার্থী দিতে হবে। পিটিআই যেন কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করতে না পারে সে জন্য তাদেরকে সব রকম প্রচেষ্টা নিতে হবে। উল্লেখ্য, নির্বাচনে তার দল এমএমএ পেয়েছে ১২টি আসন। তাদের সহ পিপিপি, পিএমএলএনের মোট আসন দাঁড়ায় ১১৭, যা পিটিআইয়ের চেয়ে দুটি বেশি। ফলে যদি তারা পিটিআইকে সরকার গঠনে আটকে দিতে পারেন তাহলে তাদের সামনে একটি সুযোগ চলে আসতে পারে। এর আগে আসন্ন জাতীয় পরিষদের বৈঠকে যোগ দেয়া বর্জনের দাবি জানিয়েছিলেন মাওলানা ফজলুর রেহমান। তিনি সোমবারও একই দাবি করেছেন। তবে এ নিয়ে তার দলেই নাকি বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। তাই তিনি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলেন। সোমবার আয়াজ সাদিকের বাসায় যে বৈঠক হয়েছে সেখানে চারটি দলই তাদের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছে। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যখন নবনির্বাচিত সদস্যরা শপথ নেবেন তারপর প্রথম অধিবেশন বসবে তখন জাতীয় পরিষদের ভিতরে ও বাইরে তারা কড়া প্রতিবাদ জানাবেন। তারা দাবি জানাবেন, নির্বাচনে ভোট কারচুপি তদন্তের জন্য একটি পার্লামেন্টারি কমিশন গঠন করতে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কিছু প্রতিষ্ঠানের হস্তক্ষেপের অভিযোগও তদন্ত করবে ওই কমিশন। রাজা রাব্বানির মতো ব্যক্তিদের নিয়ে এমন কমিশন হতে পারে বলে মত দিয়েছেন পিএমএলএনের সিনিয়র এক নেতা। এ বেঠকে কয়েক বছরের মধ্যে প্রথমবার পিএমএলএনের সভাপতি শাহবাজ শরীফের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাত হলো পিপিপির নেতাদের। এতে পিএমএলএনের আরো যেসব নেতা উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন আয়াজ সাদিক, রাজা জাফরুল হক, মুশাহিত হোসেন সাইদ, শাহিদ খাকান আব্বাসি, আমির মুকাম, শাহ মুহাম্মদ শাহ, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল কাদির বেলুচ। পিপিপির প্রতিনিধিদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ খুরশিদ শাহ, শেরি রেহমান, ইউসুফ রাজা গিলানি, সাইদ নাভিদ কমর, রাজা পারভেজ আশরাফ ও ফরহাতুল্লাহ বাবর। মাওলানা ফজলুর রহমানের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন আকরাম দুরানি। এএনপির প্রতিনিধিত্ব করেন গোলাম আহমেদ বিলোর ও মিয়া ইফতিখার হোসেন।
No comments