আসলে লিভ টুগেদার
প্রেম
করে বিয়ে। সুখের সংসারে আসে তিন সন্তান। অতঃপর স্ত্রীকে রেখে অন্যের
স্ত্রীকে নিয়ে লিভ টুগেদার। প্রাইভেটকারে ঘুরে বেড়ানো আর আনন্দ-ফুর্তিই ছিল
তাদের নিত্যদিনকার রুটিন। বাইরে থেকে যাতে কেউ বুঝতে না পারে এজন্য
নিজেদের স্বামী-স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিত। ভালোই চলছিল সব কিছু। কথায় আছে
‘বেশি ভালো ভালো না’। জিদ উঠলেই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়তো ৮
বছরের শিশু গৃহপরিচারিকা মাহির উপর। এক সময় নির্যাতন সইতে না পেরে চিৎকার
করে কেঁদে উঠে মাহি। এবার যায় কোথায়? প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। খবর দেয়া হয়
থানায়। পুলিশ এসে উদ্ধার করে আহত মাহিকে। আটক করা হয় নির্যাতনকারী পরকীয়া
প্রেমিকযুগল আতাউল্লাহ খোকন ও উর্মীকে। গত ১৯শে জুলাই তাদের আটক করার পর
২১শে জুলাই ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ তাদের
ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ করে রেখে যায়। ওই বাড়িতে খোকনের আসবাবপত্রসহ একটি
প্রিমিও প্রাইভেটকার রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পূর্ব ইসদাইর আনন্দনগর
এলাকার শহীদুল্লার বাড়ির একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে সেখানে স্বামী-স্ত্রী
পরিচয়ে থাকতো তারা। উর্মি এদিকে ঊর্মির স্বামী সোহাগ এবাধিকবার স্ত্রীকে
ফিরিয়ে নিতে না পেরে আদালতে মামলা করেন।
অন্যদিকে ভরণপোষণের খরচ চেয়ে খোকনের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নেন তার স্ত্রী রেজোয়ানা চৌধুরী। এর মধ্যেই ঘটে যায় খোকন ও ঊর্মির বর্বর নির্যাতনের ঘটনা।
শিশু নির্যাতনের ঘটনার আট দিন পর গত ২৮শে জুলাই বিকালে খোকনের স্ত্রী রেজোয়ানা চৌধুরী ওই বাড়িতে লোকজন নিয়ে এসে ঘরের তালা ভেঙে আসবাবপত্র নেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় বাড়িওয়ালা ও স্থানীয় লোকজন তাদের বাধা দেন। এর পর রেজোয়ানার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে খোকন ও ঊর্মির অজানা নানা কাহিনী।
বাড়িওয়ালা শহীদুল্লাহ বলেন, পুলিশ ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ করে আমার জিম্মায় তাদের আসবাবপত্র রেখে গেছেন। পুলিশের নির্দেশ নিয়ে না আসা পর্যন্ত ওই ফ্ল্যাটের আসবাবপত্র কারো কাছে আমি দিতে পারি না। আমাকে খোকন বলেছে, সে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। ইসদাইরে তার বাবার জমিতে বাড়ি করবে, তাই কিছু দিনের জন্য আমার বাসায় তার স্ত্রী ঊর্মিকে নিয়ে ভাড়া থাকবে। আমি জানতাম না খোকনের স্ত্রী ও তিন সন্তান আছে। এখন জেনেছি।
রেজোয়ানা চৌধুরী বলেন, কুমিল্লার হোমনা থানার কাশিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিম মিয়ার ছেলে আতাউল্লাহ খোকন। সে কোনো কাজকর্ম করে না। ফতুল্লার ইসদাইরে খোকনের বাবা একটি বাড়ি করে মারা যান। তার অন্য কোনো ভাই বেঁচে নেই। বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে। ইসদাইরের বাড়ির ভাড়া উঠিয়ে খোকন হাত খরচ চালায় এবং একটি প্রাইভেটকার কিনে। আমাকে বিয়ে করার পর থেকে ঢাকার শাহজাদপুরে আমার বাবার বাড়িতে আমাদের সঙ্গে থাকত। আমাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। আমাদের পাশের বাড়িতেই ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া তার স্ত্রী ঊর্মিকে নিয়ে বসবাস করতেন। এতে ঊর্মির সঙ্গে খোকনের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রথমে তাদের পরকীয়ার বিষয়টি বুঝতে না পারলেও পালিয়ে যাওয়ার পর তা জানতে পারি।
রেজোয়ানা চৌধুরী আরো বলেন, আমি চেষ্টা করেছি খোকনকে ফিরিয়ে নিতে, কিন্তু সে কোনো কিছুতেই আমার কথা শুনেনি। ঊর্মিকেও চেষ্টা করেছে তার স্বামী সোহাগ ফিরিয়ে নিতে। ঊর্মি তার স্বামীর কথা শুনেনি। স্ত্রী ও স্বামী-সন্তানদের মনে কষ্ট দিয়ে কেউ সুখী হতে পারে না। খোকন ও ঊর্মি পারেনি। তারা যে বিয়ে করেছে, তার প্রমাণ হিসেবে কাবিননামাও দেখাতে পারেনি। তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। তাদের বিচার হতে হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এসআই ইলিয়াস জানান, ফতুল্লার পূর্ব ইসদাইর আনন্দনগর এলাকার শহীদুল্লাহর বাড়ির ভাড়াটিয়া আতাউল্লাহ খোকন ও ঊর্মি আক্তারের বাসায় তিন মাস ধরে আট বছর বয়সী শিশু মাহি গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ নেয়। এরপর থেকে শিশুটিকে প্রায় সময় বাসায় ভারী কাজ করতে না পারলেই মারধর করা হতো। গত ১৯শে জুলাই রাতে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ওই দম্পতির বাসায় গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে শিশুটিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জাকির হোসেন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তিনি আরো জানান, শিশুটির ওপর তারা অমানসিক নির্যাতন চালিয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়েছে। এর মধ্যে গরম খুন্তির আঘাতে শিশুটির ডান হাতের এক পাশের চামড়া উঠে গেছে। মারধরের ফলে শিশুটির দুই গালসহ দুটি চোখ ফুলে যায়। তাকে উন্নত চিকিৎসা দিয়ে নিরাপদ হেফাজতে রাখতে গাজীপুর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখার নির্দেশ দেন আদালত। এরপর শিশু মাহিকে সেখানে রাখা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের এসআই হানিফ বলেন, ২৩শে জুলাই অনাথ শিশু মাহিকে (৮) নির্যাতনকারী পাষণ্ড আতাউল্লাহ খোকনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। একই সময় ঊর্মি আক্তার নিজেকে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা দাবি করায় তার বিরুদ্ধে পুলিশের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
অন্যদিকে ভরণপোষণের খরচ চেয়ে খোকনের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নেন তার স্ত্রী রেজোয়ানা চৌধুরী। এর মধ্যেই ঘটে যায় খোকন ও ঊর্মির বর্বর নির্যাতনের ঘটনা।
শিশু নির্যাতনের ঘটনার আট দিন পর গত ২৮শে জুলাই বিকালে খোকনের স্ত্রী রেজোয়ানা চৌধুরী ওই বাড়িতে লোকজন নিয়ে এসে ঘরের তালা ভেঙে আসবাবপত্র নেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় বাড়িওয়ালা ও স্থানীয় লোকজন তাদের বাধা দেন। এর পর রেজোয়ানার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে খোকন ও ঊর্মির অজানা নানা কাহিনী।
বাড়িওয়ালা শহীদুল্লাহ বলেন, পুলিশ ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ করে আমার জিম্মায় তাদের আসবাবপত্র রেখে গেছেন। পুলিশের নির্দেশ নিয়ে না আসা পর্যন্ত ওই ফ্ল্যাটের আসবাবপত্র কারো কাছে আমি দিতে পারি না। আমাকে খোকন বলেছে, সে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। ইসদাইরে তার বাবার জমিতে বাড়ি করবে, তাই কিছু দিনের জন্য আমার বাসায় তার স্ত্রী ঊর্মিকে নিয়ে ভাড়া থাকবে। আমি জানতাম না খোকনের স্ত্রী ও তিন সন্তান আছে। এখন জেনেছি।
রেজোয়ানা চৌধুরী বলেন, কুমিল্লার হোমনা থানার কাশিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিম মিয়ার ছেলে আতাউল্লাহ খোকন। সে কোনো কাজকর্ম করে না। ফতুল্লার ইসদাইরে খোকনের বাবা একটি বাড়ি করে মারা যান। তার অন্য কোনো ভাই বেঁচে নেই। বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে। ইসদাইরের বাড়ির ভাড়া উঠিয়ে খোকন হাত খরচ চালায় এবং একটি প্রাইভেটকার কিনে। আমাকে বিয়ে করার পর থেকে ঢাকার শাহজাদপুরে আমার বাবার বাড়িতে আমাদের সঙ্গে থাকত। আমাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। আমাদের পাশের বাড়িতেই ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া তার স্ত্রী ঊর্মিকে নিয়ে বসবাস করতেন। এতে ঊর্মির সঙ্গে খোকনের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রথমে তাদের পরকীয়ার বিষয়টি বুঝতে না পারলেও পালিয়ে যাওয়ার পর তা জানতে পারি।
রেজোয়ানা চৌধুরী আরো বলেন, আমি চেষ্টা করেছি খোকনকে ফিরিয়ে নিতে, কিন্তু সে কোনো কিছুতেই আমার কথা শুনেনি। ঊর্মিকেও চেষ্টা করেছে তার স্বামী সোহাগ ফিরিয়ে নিতে। ঊর্মি তার স্বামীর কথা শুনেনি। স্ত্রী ও স্বামী-সন্তানদের মনে কষ্ট দিয়ে কেউ সুখী হতে পারে না। খোকন ও ঊর্মি পারেনি। তারা যে বিয়ে করেছে, তার প্রমাণ হিসেবে কাবিননামাও দেখাতে পারেনি। তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। তাদের বিচার হতে হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এসআই ইলিয়াস জানান, ফতুল্লার পূর্ব ইসদাইর আনন্দনগর এলাকার শহীদুল্লাহর বাড়ির ভাড়াটিয়া আতাউল্লাহ খোকন ও ঊর্মি আক্তারের বাসায় তিন মাস ধরে আট বছর বয়সী শিশু মাহি গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ নেয়। এরপর থেকে শিশুটিকে প্রায় সময় বাসায় ভারী কাজ করতে না পারলেই মারধর করা হতো। গত ১৯শে জুলাই রাতে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ওই দম্পতির বাসায় গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে শিশুটিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জাকির হোসেন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তিনি আরো জানান, শিশুটির ওপর তারা অমানসিক নির্যাতন চালিয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়েছে। এর মধ্যে গরম খুন্তির আঘাতে শিশুটির ডান হাতের এক পাশের চামড়া উঠে গেছে। মারধরের ফলে শিশুটির দুই গালসহ দুটি চোখ ফুলে যায়। তাকে উন্নত চিকিৎসা দিয়ে নিরাপদ হেফাজতে রাখতে গাজীপুর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখার নির্দেশ দেন আদালত। এরপর শিশু মাহিকে সেখানে রাখা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের এসআই হানিফ বলেন, ২৩শে জুলাই অনাথ শিশু মাহিকে (৮) নির্যাতনকারী পাষণ্ড আতাউল্লাহ খোকনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। একই সময় ঊর্মি আক্তার নিজেকে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা দাবি করায় তার বিরুদ্ধে পুলিশের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
No comments