দেশের সাড়ে ৪ কোটি মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত
দেশের
সাড়ে ৪ কোটি মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত; যা সিরোসিস ও লিভার ক্যানসারের
অন্যতম কারণ। দেশে আশঙ্কাজনক হারে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মূলত খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার ধরনের পরিবর্তনের কারণে দিন দিন ফ্যাটি
লিভার রোগের প্রকোপ বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সিরডাপ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স
সেন্টারে হেপাটোলজি সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা গবেষণায় পাওয়া তথ্য তুলে ধরে বলেন, বর্তমানে
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৩৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ লিভারে চর্বি রোগে আক্রান্ত।
দেশের সাড়ে ৪ কোটি মানুষ এ রোগে ভুগছে।
গ্রামের স্থূলকায় নারীরা সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন (৭৩ দশমিক ২১ শতাংশ)। ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের ৭১ শতাংশ এবং উচ্চ রক্তচাপ আক্রান্তদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ লিভারে চর্বি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। যাদের আয় কম তাদের তুলনায় উচ্চ আয়ের ব্যক্তিগণের আক্রান্ত হওয়ার হার প্রায় দেড় গুণ বেশি। স্থূলতায় আক্রান্ত হলে ১০ দশমিক ৭১ গুণ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের ঝুঁকি প্রায় ২ দশশিক ৭১ গুণ বেশি। বিবাহিতদের মধ্যে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা গেছে। গবেষক দলটি সারা দেশে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বা লিভারের চর্বি রোগের প্রাদুর্ভাব নির্ণয় করতে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকা এবং দেশের বৃহত্তম চার বিভাগের অন্তর্গত চারটি জেলা শহর ও চারটি উপজেলা শহরে এ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এ গবেষণা কর্ম ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে শুরু হয় এবং ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সর্ব মোট ২৭৮২ জন সুস্থ ও স্বাভাবিক কর্মক্ষম ব্যক্তি এই গবেষণা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ১৬৯৪ জন পুরুষ এবং ১০৮৮ জন নারী। অংশগ্রহণকারীদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৮৫ বছর। তাদের গড় বয়স ছিল ৩৪ বছর। সেমিনারে বক্তারা জানান, সিরোসিস ও লিভার ক্যানসারের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে লিভারে চর্বি জমার কারণে প্রদাহ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলে স্টিয়াটোহেপাটাইটিস। অতিরিক্ত চর্বি জমা হওয়ার কারণে লিভার বা যকৃতে যে প্রদাহ সৃষ্টি হয় তাকেই স্টিয়াটোহেপাটাইটিস বা লিভারে চর্বি জমাজনিত প্রদাহ বলে। এই রোগের আগের স্তরের নাম হচ্ছে ফ্যাটি লিভার বা লিভারে চর্বি রোগ।
এ রোগ ডায়াবেটিস এবং শরীরে ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। বক্তারা জানান, এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। জীবনযাত্রার ধরন পরিবর্তন করতে হবে। দৈনন্দিন এক্সারসাইজ করতে হবে, তাহলে ফ্যাটি লিভার রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। হেপাটোলজি সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক মবিন খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের চেয়াররম্যান অধ্যাপক নূরুদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
গ্রামের স্থূলকায় নারীরা সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন (৭৩ দশমিক ২১ শতাংশ)। ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের ৭১ শতাংশ এবং উচ্চ রক্তচাপ আক্রান্তদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ লিভারে চর্বি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। যাদের আয় কম তাদের তুলনায় উচ্চ আয়ের ব্যক্তিগণের আক্রান্ত হওয়ার হার প্রায় দেড় গুণ বেশি। স্থূলতায় আক্রান্ত হলে ১০ দশমিক ৭১ গুণ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের ঝুঁকি প্রায় ২ দশশিক ৭১ গুণ বেশি। বিবাহিতদের মধ্যে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা গেছে। গবেষক দলটি সারা দেশে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বা লিভারের চর্বি রোগের প্রাদুর্ভাব নির্ণয় করতে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকা এবং দেশের বৃহত্তম চার বিভাগের অন্তর্গত চারটি জেলা শহর ও চারটি উপজেলা শহরে এ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এ গবেষণা কর্ম ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে শুরু হয় এবং ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সর্ব মোট ২৭৮২ জন সুস্থ ও স্বাভাবিক কর্মক্ষম ব্যক্তি এই গবেষণা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ১৬৯৪ জন পুরুষ এবং ১০৮৮ জন নারী। অংশগ্রহণকারীদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৮৫ বছর। তাদের গড় বয়স ছিল ৩৪ বছর। সেমিনারে বক্তারা জানান, সিরোসিস ও লিভার ক্যানসারের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে লিভারে চর্বি জমার কারণে প্রদাহ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলে স্টিয়াটোহেপাটাইটিস। অতিরিক্ত চর্বি জমা হওয়ার কারণে লিভার বা যকৃতে যে প্রদাহ সৃষ্টি হয় তাকেই স্টিয়াটোহেপাটাইটিস বা লিভারে চর্বি জমাজনিত প্রদাহ বলে। এই রোগের আগের স্তরের নাম হচ্ছে ফ্যাটি লিভার বা লিভারে চর্বি রোগ।
এ রোগ ডায়াবেটিস এবং শরীরে ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। বক্তারা জানান, এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। জীবনযাত্রার ধরন পরিবর্তন করতে হবে। দৈনন্দিন এক্সারসাইজ করতে হবে, তাহলে ফ্যাটি লিভার রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। হেপাটোলজি সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক মবিন খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের চেয়াররম্যান অধ্যাপক নূরুদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
No comments