পুলিশকে পেটানোর হুমকি দিলীপের, পার্থ বললেন ওরা দাঙ্গা-হাঙ্গামা ছাড়া কিছু জানে না
ভারতের
পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমূল নেতাদের
মধ্যে বাগ্যুদ্ধ চরমে উঠেছে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ পুলিশকে মারধর
করার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন তৃণমূলের
মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন ওরা দাঙ্গা-হাঙ্গামা ছাড়া কিছু জানে না।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তায়নের ফলে বিরোধীরা ঠিকমত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারছেন না বলে বিজেপি’র অভিযোগ। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন তৃণমূলের দাবি, এ পর্যন্ত তৃণমূলের চেয়ে বিরোধীরা বেশি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে।
আজ (শুক্রবার) বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যখন গুন্ডারা আমাদের সঙ্গে পারছে না তখন পুলিশ এসে আমাদের মারছে। শুধু তাই নয়, সিপিআই(এম), কংগ্রেস কর্মীদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বিরোধীদের পার্টি অফিসে তল্লাশি করছে। নিজেরা সঙ্গে করে বোমা-বন্দুক নিয়ে গিয়ে বলছে এসব বিরোধীদের অফিসে পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশ আজ সম্পূর্ণ ক্যাডারের ভূমিকায় অভিনয় করছে। গতকাল পুলিশ মার খেয়েছে। আমার মনে হয়, আগামী ক'দিন পুলিশের কপালে দুঃখ আছে, যদি ওরা নিজেদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন না করে!’
এ প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ বিজেপি সভাপতি দিলিপ ঘোষকে কটাক্ষ করে বলেন, উনি রাজনৈতিক ভাষা জানেন না কেবলই জানেন দাঙ্গা-হাঙ্গামা । তারা মিথ্যা আস্ফালন ও প্ররোচনামূলক কথা বলছেন। আমরা এসব বিষয় নির্বাচন কমিশনকে জানাবো।’
এদিকে, আজ বাঁকুড়ার জেলা প্রশাসকের দফতরের সামনে বিজেপি নেতাদের গাড়ি থেকে টেনে বের করে মাটিতে ফেলে গণপিটুনি দেয় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।
অন্যদিকে, আজ মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে মিছিল করে মহকুমা প্রশাসকের দফতরে যাওয়ার সময় বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বোমা নিয়ে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।
নানা অনিয়ম ও সন্ত্রাসের অভিযোগে আজ জেলা প্রশাসকের দপ্তরে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলেন বিজেপি’র রাজ্য সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সংগঠন সম্পাদক শ্যামাপদ মণ্ডলসহ বিজেপির অন্য প্রতিনিধিরা। এসময় আচমকা হেলমেট ও মুখে কাপড় বাঁধা অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাদের ঘিরে ফেলে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দিয়ে প্রথমে গাড়িতে ভাঙচুর চালায় এবং তারপর গাড়ি থেকে বের করে প্রত্যেককে মাটিতে ফেলে পিটুনি দেয়। কোনোমতে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার সঙ্গীরা।
ওই ঘটনায় তৃনমূল আশ্রিত দুর্বৃত্তরা দায়ী বলে বিজেপি অভিযোগ করলেও বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরূপ খাঁ যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘ জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে মুখে ‘গেরুয়া কাপড়’ বেঁধে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। তারা শাসকদলের হয় কীভাবে? এটা বিজেপিরই গোষ্ঠী কোন্দলের ফল।’
পশ্চিমবঙ্গে আগামী মাসের ১, ৩ ও ৫ মে তিন দফায় ভোট গ্রহণ হবে। ফল ঘোষণা হবে ৮ মে। ৯ এপ্রিল পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেয়া চলবে। কিন্তু তার আগে সন্ত্রাসের অভিযোগে বিরোধী ও সরকার পক্ষের নেতাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তায়নের ফলে বিরোধীরা ঠিকমত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারছেন না বলে বিজেপি’র অভিযোগ। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন তৃণমূলের দাবি, এ পর্যন্ত তৃণমূলের চেয়ে বিরোধীরা বেশি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে।
আজ (শুক্রবার) বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যখন গুন্ডারা আমাদের সঙ্গে পারছে না তখন পুলিশ এসে আমাদের মারছে। শুধু তাই নয়, সিপিআই(এম), কংগ্রেস কর্মীদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বিরোধীদের পার্টি অফিসে তল্লাশি করছে। নিজেরা সঙ্গে করে বোমা-বন্দুক নিয়ে গিয়ে বলছে এসব বিরোধীদের অফিসে পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশ আজ সম্পূর্ণ ক্যাডারের ভূমিকায় অভিনয় করছে। গতকাল পুলিশ মার খেয়েছে। আমার মনে হয়, আগামী ক'দিন পুলিশের কপালে দুঃখ আছে, যদি ওরা নিজেদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন না করে!’
এ প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ বিজেপি সভাপতি দিলিপ ঘোষকে কটাক্ষ করে বলেন, উনি রাজনৈতিক ভাষা জানেন না কেবলই জানেন দাঙ্গা-হাঙ্গামা । তারা মিথ্যা আস্ফালন ও প্ররোচনামূলক কথা বলছেন। আমরা এসব বিষয় নির্বাচন কমিশনকে জানাবো।’
এদিকে, আজ বাঁকুড়ার জেলা প্রশাসকের দফতরের সামনে বিজেপি নেতাদের গাড়ি থেকে টেনে বের করে মাটিতে ফেলে গণপিটুনি দেয় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।
অন্যদিকে, আজ মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে মিছিল করে মহকুমা প্রশাসকের দফতরে যাওয়ার সময় বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বোমা নিয়ে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।
নানা অনিয়ম ও সন্ত্রাসের অভিযোগে আজ জেলা প্রশাসকের দপ্তরে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলেন বিজেপি’র রাজ্য সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সংগঠন সম্পাদক শ্যামাপদ মণ্ডলসহ বিজেপির অন্য প্রতিনিধিরা। এসময় আচমকা হেলমেট ও মুখে কাপড় বাঁধা অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাদের ঘিরে ফেলে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দিয়ে প্রথমে গাড়িতে ভাঙচুর চালায় এবং তারপর গাড়ি থেকে বের করে প্রত্যেককে মাটিতে ফেলে পিটুনি দেয়। কোনোমতে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার সঙ্গীরা।
ওই ঘটনায় তৃনমূল আশ্রিত দুর্বৃত্তরা দায়ী বলে বিজেপি অভিযোগ করলেও বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরূপ খাঁ যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘ জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে মুখে ‘গেরুয়া কাপড়’ বেঁধে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। তারা শাসকদলের হয় কীভাবে? এটা বিজেপিরই গোষ্ঠী কোন্দলের ফল।’
পশ্চিমবঙ্গে আগামী মাসের ১, ৩ ও ৫ মে তিন দফায় ভোট গ্রহণ হবে। ফল ঘোষণা হবে ৮ মে। ৯ এপ্রিল পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেয়া চলবে। কিন্তু তার আগে সন্ত্রাসের অভিযোগে বিরোধী ও সরকার পক্ষের নেতাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
No comments