নজীব রাজাকের বিরুদ্ধে নির্বাচনে ‘নোংরা কৌশল’ অবলম্বনের অভিযোগ
আর
কয়েকদিন পরেই মালয়েশিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই নির্বাচনকে ঘিরে
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নজীব রাজাকের বিরুদ্ধে নোংরা কৌশল অবলম্বন ও
প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, নিজের দলের সুবিধার জন্য তার
সমালোচকদের টার্গেট করে কয়েকটি আইন পাস করিয়েছেন রাজাক। এ খবর দিয়েছে দ্য
গার্ডিয়ান।
খবরে বলা হয়, শুক্রবার (আজ) মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার কথা রয়েছে। এর পর বেশ দ্রুতই নির্বাচন অনুষ্ঠুত হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু তার আগে, গত সপ্তাহে অজস্র অভিযোগ অগ্রাহ্য করে তড়িঘড়ি করে পার্লামেন্ট থেকে দু’টি আইন পাস করিয়েছেন রাজাক। এর মধ্যে একটি হচ্ছে নির্বাচনী মানচিত্র পুনর্বিন্যস্ত বিষয়ক ও অপরটি হচ্ছে কথিত ভুয়া খবর বিষয়ক। বিশেষজ্ঞরা এই দুই আইনের প্রবর্তনকে নজীবের জন্য ‘মরিয়া পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। মালয়েশীয় রাজনীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, জন ক্যাবট ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ব্রিজেট ওয়েলশ বলেন, ‘নজীব নিজের হাত শক্ত করার জন্য তার নির্বাহী ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতার ব্যবহার করছেন। তিনি আরো জানান, অতিরিক্ত আইন, নির্বাচনে যাওয়ার আগে নিরাপত্তাহীনতা ও দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ।
নজীব ২০০৯ সাল থেকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ওয়ানএমডিবি দুর্নীতি কেলেঙ্কারি ও নিখোঁজ এমএইচ৩৭০ বিমানের বিষয়টি সামলানোতে ব্যর্থতার কারণে তার জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। এর পাশাপাশি জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়াও তার জনপ্রিয়তা কমায় ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া, এবার নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চলেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ (৯২)। এতে করে নির্বাচনে নজীবের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা আরো কমেছে। উল্লেখ্য, মাহাথির পূর্বে নজীবের পরামর্শদাতা ছিলেন।
মালয়েশিয়ায় বরাবরই ক্ষমতাসীন সরকার নির্বাচনের আগে নির্বাচনী মানচিত্র পরিবর্তন করে থাকে। এটা বেশ পুরনো কৌশল। তবে নজীবের সামপ্রতিক পরিবর্তনগুলো ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছেছে। পার্লামেন্টের মাধ্যমে সাংবিধানিক পরিবর্তন এসেছে ৪০ শতাংশের মতন। আর এই পরিবর্তন আনতে যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে তা অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগায়। দেশটির নির্বাচন কমিশন বর্তমানে নজীবের নিয়ন্ত্রণাধীন। কমিশনের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কমিশন সমপ্রতি, রাজনৈতিক ইউনিটগুলো বিভক্ত করে দিতে সহায়তা করেছে। এতে করে বিরোধীদল সমর্থন করে এমন দলগুলোকে ভেঙে দেয়া হয়েছে। ওয়েলশ জানান, পুরো বিশ্বে বর্তমানে এমন বিভক্তির (ম্যাল-এপর্শনমেন্ট) সবচেয়ে জঘন্য ঘটনা ঘটছে মালয়েশিয়ায়। সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যপদ সাধারণত নজীবের ক্ষমতাসীন বারিসা ন্যাশনাল জোটই জেতে। এখন এই জোটকে ভেঙে ছোট করে দেয়া হয়েছে। যার কারণে জোট গড়ে পাবে ৪৮ হাজার ভোট। এতে করে জনপ্রিয় ভোট পাওয়া সহজ হবে। অন্যদিকে বিরোধীদল পাবে গড়ে ৭৯ হাজার ভোট।
অন্যদিকে, নজীবের ভুয়া খবর বিষয়ক আইন পাস হয় মঙ্গলবার। এই আইন অনুসারে, ভুয়া খবর ছড়ানোর দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছয় বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে। তবে অনেকের ধারণা, এই আইন ব্যবহার করে নজীবের সমালোচকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। কেননা, কোনটা ভুয়া খবর তা ঠিক করবে সরকার নিজে।
খবরে বলা হয়, শুক্রবার (আজ) মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার কথা রয়েছে। এর পর বেশ দ্রুতই নির্বাচন অনুষ্ঠুত হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু তার আগে, গত সপ্তাহে অজস্র অভিযোগ অগ্রাহ্য করে তড়িঘড়ি করে পার্লামেন্ট থেকে দু’টি আইন পাস করিয়েছেন রাজাক। এর মধ্যে একটি হচ্ছে নির্বাচনী মানচিত্র পুনর্বিন্যস্ত বিষয়ক ও অপরটি হচ্ছে কথিত ভুয়া খবর বিষয়ক। বিশেষজ্ঞরা এই দুই আইনের প্রবর্তনকে নজীবের জন্য ‘মরিয়া পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। মালয়েশীয় রাজনীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, জন ক্যাবট ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ব্রিজেট ওয়েলশ বলেন, ‘নজীব নিজের হাত শক্ত করার জন্য তার নির্বাহী ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতার ব্যবহার করছেন। তিনি আরো জানান, অতিরিক্ত আইন, নির্বাচনে যাওয়ার আগে নিরাপত্তাহীনতা ও দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ।
নজীব ২০০৯ সাল থেকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ওয়ানএমডিবি দুর্নীতি কেলেঙ্কারি ও নিখোঁজ এমএইচ৩৭০ বিমানের বিষয়টি সামলানোতে ব্যর্থতার কারণে তার জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। এর পাশাপাশি জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়াও তার জনপ্রিয়তা কমায় ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া, এবার নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চলেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ (৯২)। এতে করে নির্বাচনে নজীবের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা আরো কমেছে। উল্লেখ্য, মাহাথির পূর্বে নজীবের পরামর্শদাতা ছিলেন।
মালয়েশিয়ায় বরাবরই ক্ষমতাসীন সরকার নির্বাচনের আগে নির্বাচনী মানচিত্র পরিবর্তন করে থাকে। এটা বেশ পুরনো কৌশল। তবে নজীবের সামপ্রতিক পরিবর্তনগুলো ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছেছে। পার্লামেন্টের মাধ্যমে সাংবিধানিক পরিবর্তন এসেছে ৪০ শতাংশের মতন। আর এই পরিবর্তন আনতে যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে তা অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগায়। দেশটির নির্বাচন কমিশন বর্তমানে নজীবের নিয়ন্ত্রণাধীন। কমিশনের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কমিশন সমপ্রতি, রাজনৈতিক ইউনিটগুলো বিভক্ত করে দিতে সহায়তা করেছে। এতে করে বিরোধীদল সমর্থন করে এমন দলগুলোকে ভেঙে দেয়া হয়েছে। ওয়েলশ জানান, পুরো বিশ্বে বর্তমানে এমন বিভক্তির (ম্যাল-এপর্শনমেন্ট) সবচেয়ে জঘন্য ঘটনা ঘটছে মালয়েশিয়ায়। সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যপদ সাধারণত নজীবের ক্ষমতাসীন বারিসা ন্যাশনাল জোটই জেতে। এখন এই জোটকে ভেঙে ছোট করে দেয়া হয়েছে। যার কারণে জোট গড়ে পাবে ৪৮ হাজার ভোট। এতে করে জনপ্রিয় ভোট পাওয়া সহজ হবে। অন্যদিকে বিরোধীদল পাবে গড়ে ৭৯ হাজার ভোট।
অন্যদিকে, নজীবের ভুয়া খবর বিষয়ক আইন পাস হয় মঙ্গলবার। এই আইন অনুসারে, ভুয়া খবর ছড়ানোর দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছয় বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে। তবে অনেকের ধারণা, এই আইন ব্যবহার করে নজীবের সমালোচকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। কেননা, কোনটা ভুয়া খবর তা ঠিক করবে সরকার নিজে।
No comments