চারপাশে এত ধর্ষক!
দেশের
চার জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় চার শিশু ও কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের বশিকপুর, কক্সবাজারের পেকুয়া, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি ও
জামালপুরের বকশীগঞ্জে এ ঘটনা ঘটে। মানবজমিনের প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টে বিস্তারিত-
মানবজমিন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্মীপুরের বশিকপুরে তের বছর বয়সী এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভোরে দুলাল নামে এক ধর্ষককে গ্রেপ্তারের পর দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। পরে নির্যাতিত ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বুধবার রাতে নির্যাতিত কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় ২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ধর্ষক দুলাল বশিকপুর ইউপির বড় রশিদপুর গ্রামের দ্বীন ইসলামের পুত্র এবং মকবুল একই গ্রামের হাবিব উল্যার পুত্র।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকালে বাড়ির পাশের ক্ষেতের আড়ায় লাগানো গাছে পানি দিচ্ছিল মেয়েটি। এ সময় একই এলাকার বখাটে মকবুল ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক পাশের বাগানে নিয়ে সহযোগী দুলালসহ পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর বিষয়টি কাওকে বললে তাকেসহ পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ধর্ষকরা। কিন্তু মকবুল বসতঘরে গিয়েও তার বাবা ও ভাবীর সামনে কিশোরীকে মারধর করে তার কোলে দুলালকে বসিয়ে ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই কিশোরী পূর্বের ঘটনাটি তার অভিভাবকদের খুলে বলে।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. জাফর আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি দুলালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামি মকবুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মানবজমিন পেকুয়া-কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় ১২ বছরের এক শিশু কন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে ধর্ষক বখাটে যুবককে হাতেনাতে ওই শিশুর বাড়ি থেকে আটক করে সমাজপতিরা গভীর রাতে ছেড়ে দিয়েছে বলেও ধর্ষিতার পরিবার ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন। বর্তমানে ধর্ষণের শিকার শিশুটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটে, ৩১শে মার্চ দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের দুর্গম পশ্চিমকূল গ্রামে।
সরজমিন পরিদর্শন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই গ্রামের আবদুল নবীর বখাটে পুত্র জুনাইদ ৩১শে মার্চ গভীর রাতে একই গ্রামের হতদরিদ্র নুরুল আমিনের ঝুপড়ি ঘরে প্রবেশ করে তার ১২ বছরের শিশুকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এ সময় নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। পরে অত্যাচারের মাত্রা সহ্য করতে না পেরে ১২ বছরের শিশু চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা এগিয়ে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে। এ সময় স্থানীয়রা পশ্চিমকূল সমাজ কল্যাণ পরিষদের সেক্রেটারি ইউনুচকে খবর দেয়। কিছুক্ষণ পর ইউনুচসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা হাতেনাতে জুনাইদকে আটক একটি বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখে। অভিযোগ উঠেছে, ওই দিন ভোররাতে বখাটে যুবক জুনাইদ তালাবদ্ধ থাকা অবস্থায় পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সমাজপতিদের সহায়তায় বখাটে জুনাইদ পালিয়ে যায়।
পেকুয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান জানান, এখনো পর্যন্থ ভিকটিমের পরিবার থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মানবজমিন বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি জানান, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে এক নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বালিয়াকান্দি থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ হাসিনা বেগম অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নবম শ্রেণির এক ছাত্রী বুধবার রাত ১টার দিকে ঘরের বাইরে এলে উপজেলার বালিয়াকান্দি শেখপাড়া গ্রামের ফিরোজের ছেলে জিসান ওরফে সজীব (২০) ও তার সহযোগী বহরপুর ইউনিয়নের রায়পুর রমজান শেখের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২০), রহিম শেখের ছেলে রাশেদ শেখ (২০) মিলে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। রায়পুর গ্রামের মোমিন বিশ্বাসের পুকুর চালায় নিয়ে জিসান ওরফে সজীব তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ির অদূরে ওই ছাত্রীকে ফেলে রেখে যায়। সে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি প্রকাশ করলে ওই ছাত্রীর মা বৃহস্পতিবার বালিয়াকান্দি থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
মানবজমিন বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি জানান, জামালপুরের বকশীগঞ্জে নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম নিলক্ষিয়া গ্রামে তিন বছরের এক কন্যা শিশুকে পায়ুপথ দিয়ে বলাৎকার করেছে বাবু (১৬) নামে এক বখাটে। এ নিয়ে বুধবার দুপুরে বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে। বাবু পশ্চিম নিলক্ষিয়া গ্রামের ইছা আলীর পুত্র।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার দুপুরে সলই মণ্ডলপাড়া গ্রামের এক দিনমজুরের সাড়ে তিন বছরের শিশু কন্যা বাড়িতে একা ছিল। ঘটনার সময় তার মা বাইরে কাজে ব্যস্ত ছিল। শিশুটিকে চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির পাশে একটি শ্যালো মেশিন ঘরে নিয়ে যায় একই এলাকার ইস্রাফিল হোসেন ওরফে ইছার পুত্র বাবু মিয়া। মেশিন ঘরে নিয়ে শিশুটিকে জোরপূর্বক বলাৎকার করার সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বাবু মিয়া পালিয়ে যায়।
পরে ধর্ষক পরিবার প্রায় ২৪ ঘণ্টা তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। গতকাল সকালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে শিশুটির মা ইউপি চেয়ারম্যানকে ঘটনা জানালে তিনি থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
মানবজমিন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্মীপুরের বশিকপুরে তের বছর বয়সী এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভোরে দুলাল নামে এক ধর্ষককে গ্রেপ্তারের পর দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। পরে নির্যাতিত ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বুধবার রাতে নির্যাতিত কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় ২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ধর্ষক দুলাল বশিকপুর ইউপির বড় রশিদপুর গ্রামের দ্বীন ইসলামের পুত্র এবং মকবুল একই গ্রামের হাবিব উল্যার পুত্র।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকালে বাড়ির পাশের ক্ষেতের আড়ায় লাগানো গাছে পানি দিচ্ছিল মেয়েটি। এ সময় একই এলাকার বখাটে মকবুল ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক পাশের বাগানে নিয়ে সহযোগী দুলালসহ পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর বিষয়টি কাওকে বললে তাকেসহ পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ধর্ষকরা। কিন্তু মকবুল বসতঘরে গিয়েও তার বাবা ও ভাবীর সামনে কিশোরীকে মারধর করে তার কোলে দুলালকে বসিয়ে ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই কিশোরী পূর্বের ঘটনাটি তার অভিভাবকদের খুলে বলে।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. জাফর আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি দুলালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামি মকবুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মানবজমিন পেকুয়া-কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় ১২ বছরের এক শিশু কন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে ধর্ষক বখাটে যুবককে হাতেনাতে ওই শিশুর বাড়ি থেকে আটক করে সমাজপতিরা গভীর রাতে ছেড়ে দিয়েছে বলেও ধর্ষিতার পরিবার ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন। বর্তমানে ধর্ষণের শিকার শিশুটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটে, ৩১শে মার্চ দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের দুর্গম পশ্চিমকূল গ্রামে।
সরজমিন পরিদর্শন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই গ্রামের আবদুল নবীর বখাটে পুত্র জুনাইদ ৩১শে মার্চ গভীর রাতে একই গ্রামের হতদরিদ্র নুরুল আমিনের ঝুপড়ি ঘরে প্রবেশ করে তার ১২ বছরের শিশুকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এ সময় নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। পরে অত্যাচারের মাত্রা সহ্য করতে না পেরে ১২ বছরের শিশু চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা এগিয়ে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে। এ সময় স্থানীয়রা পশ্চিমকূল সমাজ কল্যাণ পরিষদের সেক্রেটারি ইউনুচকে খবর দেয়। কিছুক্ষণ পর ইউনুচসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা হাতেনাতে জুনাইদকে আটক একটি বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখে। অভিযোগ উঠেছে, ওই দিন ভোররাতে বখাটে যুবক জুনাইদ তালাবদ্ধ থাকা অবস্থায় পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সমাজপতিদের সহায়তায় বখাটে জুনাইদ পালিয়ে যায়।
পেকুয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান জানান, এখনো পর্যন্থ ভিকটিমের পরিবার থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মানবজমিন বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি জানান, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে এক নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বালিয়াকান্দি থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ হাসিনা বেগম অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নবম শ্রেণির এক ছাত্রী বুধবার রাত ১টার দিকে ঘরের বাইরে এলে উপজেলার বালিয়াকান্দি শেখপাড়া গ্রামের ফিরোজের ছেলে জিসান ওরফে সজীব (২০) ও তার সহযোগী বহরপুর ইউনিয়নের রায়পুর রমজান শেখের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২০), রহিম শেখের ছেলে রাশেদ শেখ (২০) মিলে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। রায়পুর গ্রামের মোমিন বিশ্বাসের পুকুর চালায় নিয়ে জিসান ওরফে সজীব তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ির অদূরে ওই ছাত্রীকে ফেলে রেখে যায়। সে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি প্রকাশ করলে ওই ছাত্রীর মা বৃহস্পতিবার বালিয়াকান্দি থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
মানবজমিন বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি জানান, জামালপুরের বকশীগঞ্জে নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম নিলক্ষিয়া গ্রামে তিন বছরের এক কন্যা শিশুকে পায়ুপথ দিয়ে বলাৎকার করেছে বাবু (১৬) নামে এক বখাটে। এ নিয়ে বুধবার দুপুরে বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে। বাবু পশ্চিম নিলক্ষিয়া গ্রামের ইছা আলীর পুত্র।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার দুপুরে সলই মণ্ডলপাড়া গ্রামের এক দিনমজুরের সাড়ে তিন বছরের শিশু কন্যা বাড়িতে একা ছিল। ঘটনার সময় তার মা বাইরে কাজে ব্যস্ত ছিল। শিশুটিকে চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির পাশে একটি শ্যালো মেশিন ঘরে নিয়ে যায় একই এলাকার ইস্রাফিল হোসেন ওরফে ইছার পুত্র বাবু মিয়া। মেশিন ঘরে নিয়ে শিশুটিকে জোরপূর্বক বলাৎকার করার সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বাবু মিয়া পালিয়ে যায়।
পরে ধর্ষক পরিবার প্রায় ২৪ ঘণ্টা তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। গতকাল সকালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে শিশুটির মা ইউপি চেয়ারম্যানকে ঘটনা জানালে তিনি থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
No comments