সুন্দরবনের জন্য ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ১৯০ শিল্পপ্রতিষ্ঠান চিহ্নিত
পরিবেশ
অধিদপ্তরের চিহ্নিত করা এই শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সুন্দরবনের মাটি,
পানি ও বাতাস মারাত্মক দূষণকারী ‘লাল’ শ্রেণিভুক্ত ২৪টি; বাকি শিল্প
প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমবর্ধমান প্রভাবও মারাত্মক। ছয় মাস আগে উচ্চ আদালতের
নির্দেশে পরিবেশ অধিদপ্তর এ প্রতিবেদন তৈরি করে; যা বন ও পরিবেশ
মন্ত্রণালয়ের সচিব আদালতে দাখিল করার পর গতকাল তা উপস্থাপন করা হয়। এক রিট
আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৪শে আগস্ট ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্বঐতিহ্য
সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে নতুন শিল্প-কারখানা অনুমোদনে নিষেধাজ্ঞা
দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কতগুলো শিল্প-কারখানা
রয়েছে, তার তালিকা ছয় মাসের মধ্যে জমা দিতে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়কে
নির্দেশ দেন আদালত। সেই প্রতিবেদনটিই গতকাল বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও
বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাই কোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়।
প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। এ
সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির
হোসেন। মোতাহার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী বন ও পরিবেশ
মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আদালতে প্রতিবেদন দাখিল
করেছে; যা আমি আদালতে উপস্থাপন করেছি। আগামী ৯ই মে এটি রুল শুনানিতে উঠবে।
রিট আবেদনকারী জাকির হোসেন বলেন, ১৯০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাটি,
পানি ও বায়ু দূষণকারী লাল শ্রেণির ২৪টি শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে। এই ২৪টি
শিল্প প্রতিষ্ঠান কোনোভাবেই সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকতে পারবে
না। পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (এনভায়রনমেন্টাল ক্রিটিক্যাল এরিয়া-ইসিএ)
অর্ডিন্যান্স ১৯৯৯ অনুযায়ী প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার মধ্যে এ ধরনের
শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকার সুযোগ নেই।
No comments