স্বামীকে শিক্ষা দিতেই স্ত্রীকে গণধর্ষণ
চুরি
করাই ছিল একসময় রতনের পেশা। এ গ্রাম থেকে ও গ্রামে সবাই তাকে চোর বলেই
জানতো। হঠাৎ বদলে যান রতন। বছর দুয়েক আগে হঠাৎ ছেড়ে দিয়েছেন এ পেশা। এখন
শ্রমিক হিসেবে চাকরি করেন একটি টেক্সটাইল মিলে। সেখানেই পরিচয় হয়
জামালপুরের মেলান্দহ এলাকার এক নারী শ্রমিকের সঙ্গে। দীর্ঘ দু’বছর ভালোবাসা
শেষে দু’মাস আগে ওই নারী শ্রমিককে (২২) বিয়ে করেন উপজেলার উঁচাখিলা
ইউনিয়নের মরিচারচর এলাকার রতন মিয়া (২৬)। কিন্তু তার এ বদলে যাওয়া পছন্দ
হয়নি রতনের সাবেক সতীর্থদের। সতীর্থরা মিলে ফন্দি আঁটেন শিক্ষা দিতে হবে
রতন ও তার স্ত্রীকে। শুক্রবার রাত ১ টা থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত ময়মনসিংহের
ঈশ্বরগঞ্জের উঁচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর এলাকায় গণধর্ষণের শিকার হন
গৃহবধূ। পরে শনিবার দুপুরে থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা করেন ওই গৃহবধূ। এ
ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিযুক্ত আবুল বাদশা (৩২) ও রতন মিয়া (৩১) নামের দুই
অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে ঈশ্বরগঞ্জ পুলিশ।
জানা যায়, স্বামীকে উচিত শিক্ষা দিতে গিয়েই স্ত্রীকে (২২) পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করে স্বামীর সাবেক বন্ধুরা। অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে ৭ পিশাচ রাতভর ব্র?হ্মপুত্রের চরে ধর্ষণ করে তাকে। এমন নির্মমতা আর বর্বরতা সইতে না পেরে একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ। ভোরে বাড়ির পাশের খোলা মাঠ থেকে ওই অবস্থাতেই তাকে উদ্ধার করে তার স্বজনরা। বর্তমানে ওই নির্যাতিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নির্যাতিতার স্বামী রতন জানান, গত চারদিন ধরে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বেড়ানোর পর শুক্রবার বিকেলে তিনি নিজ বাড়িতে আসেন। তিনি একসময় এলাকার একটি অপরাধী চক্রের সাথে জড়িত ছিলেন। কিন্তু দুই বছর ধরে তিনি অপরাধ জগৎ থেকে বেরিয়ে আসেন। এ কারণে দলের অন্য সদস্যরা তার প্রতি ক্ষুদ্ধ ছিল। তাই তিনি ভয়ে এলাকায় কম আসতেন। একটি টেক্সটাইল মিলে চাকরি করেন তিনি। শুক্রবার গভীর রাতে দরজার কড়া নাড়ার শব্দ শুনে তিনি দরজা খুলে দেন। এ সময় বেশ কয়েকজন লোক তাঁর ঘরে ঢুকে পড়ে। তাঁর হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে স্ত্রীকে মুখে ও হাতে বেঁধে কোলে করে নিয়ে চলে যায়। পরে তিনি নিজের হাত-পায়ের বাঁধন অনেক কষ্টে খুলে এলাকার লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীকে খুঁজতে বের হন। এক সময় নির্জন একটি চরে স্ত্রীকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। সেখান থেকে স্ত্রীকে তুলে এনে সোজা থানায় চলে আসেন।
নির্যাতিতা নববধূ জানিয়েছেন, তার মুখ বেঁধে বেশ কয়েকজন বাড়ি থেকে পাশের ব্রহ্মপুত্র নদের বালু চরে নিয়ে যায়। সেখানেই তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গোলাম মাওলা জানান, দুর্বৃত্তরা মেয়েটিকে রাতভর ধর্ষণ করেছে। শনিবার সকালে থানায় এসে গৃহবধূ বাদী হয়ে এজাহার জমা দিয়েছেন। এজাহারটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশ দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জানা যায়, স্বামীকে উচিত শিক্ষা দিতে গিয়েই স্ত্রীকে (২২) পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করে স্বামীর সাবেক বন্ধুরা। অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে ৭ পিশাচ রাতভর ব্র?হ্মপুত্রের চরে ধর্ষণ করে তাকে। এমন নির্মমতা আর বর্বরতা সইতে না পেরে একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ। ভোরে বাড়ির পাশের খোলা মাঠ থেকে ওই অবস্থাতেই তাকে উদ্ধার করে তার স্বজনরা। বর্তমানে ওই নির্যাতিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নির্যাতিতার স্বামী রতন জানান, গত চারদিন ধরে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বেড়ানোর পর শুক্রবার বিকেলে তিনি নিজ বাড়িতে আসেন। তিনি একসময় এলাকার একটি অপরাধী চক্রের সাথে জড়িত ছিলেন। কিন্তু দুই বছর ধরে তিনি অপরাধ জগৎ থেকে বেরিয়ে আসেন। এ কারণে দলের অন্য সদস্যরা তার প্রতি ক্ষুদ্ধ ছিল। তাই তিনি ভয়ে এলাকায় কম আসতেন। একটি টেক্সটাইল মিলে চাকরি করেন তিনি। শুক্রবার গভীর রাতে দরজার কড়া নাড়ার শব্দ শুনে তিনি দরজা খুলে দেন। এ সময় বেশ কয়েকজন লোক তাঁর ঘরে ঢুকে পড়ে। তাঁর হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে স্ত্রীকে মুখে ও হাতে বেঁধে কোলে করে নিয়ে চলে যায়। পরে তিনি নিজের হাত-পায়ের বাঁধন অনেক কষ্টে খুলে এলাকার লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীকে খুঁজতে বের হন। এক সময় নির্জন একটি চরে স্ত্রীকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। সেখান থেকে স্ত্রীকে তুলে এনে সোজা থানায় চলে আসেন।
নির্যাতিতা নববধূ জানিয়েছেন, তার মুখ বেঁধে বেশ কয়েকজন বাড়ি থেকে পাশের ব্রহ্মপুত্র নদের বালু চরে নিয়ে যায়। সেখানেই তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গোলাম মাওলা জানান, দুর্বৃত্তরা মেয়েটিকে রাতভর ধর্ষণ করেছে। শনিবার সকালে থানায় এসে গৃহবধূ বাদী হয়ে এজাহার জমা দিয়েছেন। এজাহারটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশ দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
No comments