প্রত্যাবর্তন বিষয়ক ইনচার্জের সাক্ষাৎকার: রোহিঙ্গা যাচাই প্রক্রিয়ায় আরো সময় চায় মিয়ানমার
রোহিঙ্গা
উদ্বাস্তুদের যাচাই প্রক্রিয়ায় আরো সময় চায় মিয়ানমার। প্রত্যাবর্তন
প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়া নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ১১ থেকে ১২ই এপ্রিল
বাংলাদেশ সফরে আসছেন প্রত্যাবর্তন বিষয়ক কর্মসূচি মিয়ানমারের ইনচার্জ উইন
মিয়াত আইই। তিনি রেডিও ফ্রি এশিয়াকে এ নিয়ে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তাতে
বলেছেন, এরই মধ্যে যারা মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন তারা
যথাযথভাবে ফরম পূরণ করেন নি। যাদেরকে যাচাই করা হয়েছে তাদের একটি তালিকা
বাংলাদেশের হাতে দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো জবাব দেয় নি বাংলাদেশ। এসব কারণে
প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হতে পারে। উল্লেখ্য, উইন মিয়াত আইই হলেন
মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক মন্ত্রী। এ সপ্তাহে
প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়া নিয়ে আলোচনা করতে তিনি বাংলাদেশে
আসছেন। কথা বলবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
কর্মকর্তাদের সঙ্গে। তিনি এ নিয়ে রেডিও ফ্রি এশিয়ার থিরিকে একটি সাক্ষাৎকার
দিয়েছেন। এখানে তা তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: মিয়ানমারের প্রথম শীর্ষ স্থানীয় প্রতিনিধির বাংলাদেশ সফরের উদ্দেশ্য কি?
উত্তর: উদ্বাস্তুদের প্রত্যাবর্তন বিলম্বিত হওয়া নিয়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করাই উদ্দেশ্য।
প্রশ্ন: আপনারা কি বাংলাদেশ সরকার বা জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন?
উত্তর: আমি এখন পর্যন্ত যতদূর জানি তাতে বাংলাদেশ সরকার তার পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক আয়োজন করেছে। যদি তারা এটা আয়োজন করতে পারে তাহলে আমরা উদ্বাস্তু শিবির পরিদর্শনেও যেতে পারি।
প্রশ্ন: উদ্বাস্তু প্রত্যাবর্তন বিলম্বিত হওয়ার প্রধান কারণ কি?
উত্তর: বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী যদি সব কিছু ঘটে, যদি উদ্বাস্তুরা চুক্তি অনুযায়ী ফরম ফিলআপ করে, তাহলে প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়া উচিত নয়। কিন্তু আমরা যেমনটি আশা করেছিলাম তেমনটি হচ্ছে না। চুক্তি অনুযায়ী উদ্বাস্তুরা ফরম ফিলআপ করে নি। যদি তারা তা করতো তাহলে এখন যে গতিতে এ প্রক্রিয়া অগ্রসর হচ্ছে তার চেয়ে দ্রুতগতিতে অগ্রসর হতো। আমি বাংলাদেশে যেয়ে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো।
প্রশ্ন: শরণার্থী ইস্যুতে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ও জাতিসংঘ উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি)-এর মতো জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে কি কাজ করবে মিয়ানমার সরকার? এসব এজেন্সির সঙ্গে কি চুক্তি করেছে (মিয়ানমার) সরকার?
উত্তর: বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি হয়েছে তাতে আমরা এরই মধ্যে বলে দিয়েছি, যখন প্রয়োজন হবে তখনই জাতিসংঘের এজেন্সিগুলোর সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবো। ইউএনএইচসিআর এবং ইউএনডিপির সঙ্গে আমরা এরই মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা করেছি।
প্রশ্ন: যেসব শরণার্থী মিয়ানমারে তাদের বাড়িঘরে ফিরতে চান তাদের ৮০৩২ জনের একটি তালিকা ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের কাছে দিয়েছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব মিন্ট থু’র মতে, এর মধ্যে ৯০০ জনকে অনুমোদন দিয়েছে মিয়ানমার। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ৫০০ মুসলিম ও প্রায় ৪০০ হিন্দু। তারা রাখাইনের উত্তরাঞ্চল থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছেন। তাদেরকে ফিরে যাওয়ার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে বাকি যেসব শরণার্থী রয়েছেন তাদের বিষয়ে আপনারা কি করছেন?
উত্তর: আমি আগেই আপনাকে বলেছি, তারা যে ফরম ফিলআপ করেছে তা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী করা হয় নি। এ জন্যই এসব লোককে যাচাই করতে আমাদের আরো সময় প্রয়োজন। আমরা যাদেরকে যাচাই করতে পেরেছি তাদের তালিকা দিয়েছি বাংলাদেশকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদেরকে এর কোনো জবাব দেয় নি বাংলাদেশ।
প্রশ্ন: আপনি বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন, এ সফর থেকে কি প্রত্যাশা করছেন, বিশেষ করে শরণার্থী প্রত্যাবর্তন নিয়ে?
উত্তর: বাংলাদেশ ও মিয়ানমার প্রতিবেশী। ফলে শরণার্থীর এ সমস্যা উভয় দেশের জন্যই একটি সমস্যা। আমাদের দেশে যেসব মানুষ বসবাস করতো তারা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছে। তাদেরকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব রয়েছে আমাদের। তাই তাদেরকে ফেরত আনা নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বজায় রেখে এ বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে আমি সেখানে যাচ্ছি। আশা করছি মসৃণ সহযোগিতা নিয়ে কথা হবে। ফলে ভালো কিছু প্রত্যাশা করি।
প্রশ্ন: মিয়ানমারের প্রথম শীর্ষ স্থানীয় প্রতিনিধির বাংলাদেশ সফরের উদ্দেশ্য কি?
উত্তর: উদ্বাস্তুদের প্রত্যাবর্তন বিলম্বিত হওয়া নিয়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করাই উদ্দেশ্য।
প্রশ্ন: আপনারা কি বাংলাদেশ সরকার বা জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন?
উত্তর: আমি এখন পর্যন্ত যতদূর জানি তাতে বাংলাদেশ সরকার তার পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক আয়োজন করেছে। যদি তারা এটা আয়োজন করতে পারে তাহলে আমরা উদ্বাস্তু শিবির পরিদর্শনেও যেতে পারি।
প্রশ্ন: উদ্বাস্তু প্রত্যাবর্তন বিলম্বিত হওয়ার প্রধান কারণ কি?
উত্তর: বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী যদি সব কিছু ঘটে, যদি উদ্বাস্তুরা চুক্তি অনুযায়ী ফরম ফিলআপ করে, তাহলে প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়া উচিত নয়। কিন্তু আমরা যেমনটি আশা করেছিলাম তেমনটি হচ্ছে না। চুক্তি অনুযায়ী উদ্বাস্তুরা ফরম ফিলআপ করে নি। যদি তারা তা করতো তাহলে এখন যে গতিতে এ প্রক্রিয়া অগ্রসর হচ্ছে তার চেয়ে দ্রুতগতিতে অগ্রসর হতো। আমি বাংলাদেশে যেয়ে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো।
প্রশ্ন: শরণার্থী ইস্যুতে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ও জাতিসংঘ উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি)-এর মতো জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে কি কাজ করবে মিয়ানমার সরকার? এসব এজেন্সির সঙ্গে কি চুক্তি করেছে (মিয়ানমার) সরকার?
উত্তর: বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি হয়েছে তাতে আমরা এরই মধ্যে বলে দিয়েছি, যখন প্রয়োজন হবে তখনই জাতিসংঘের এজেন্সিগুলোর সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবো। ইউএনএইচসিআর এবং ইউএনডিপির সঙ্গে আমরা এরই মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা করেছি।
প্রশ্ন: যেসব শরণার্থী মিয়ানমারে তাদের বাড়িঘরে ফিরতে চান তাদের ৮০৩২ জনের একটি তালিকা ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের কাছে দিয়েছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব মিন্ট থু’র মতে, এর মধ্যে ৯০০ জনকে অনুমোদন দিয়েছে মিয়ানমার। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ৫০০ মুসলিম ও প্রায় ৪০০ হিন্দু। তারা রাখাইনের উত্তরাঞ্চল থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছেন। তাদেরকে ফিরে যাওয়ার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে বাকি যেসব শরণার্থী রয়েছেন তাদের বিষয়ে আপনারা কি করছেন?
উত্তর: আমি আগেই আপনাকে বলেছি, তারা যে ফরম ফিলআপ করেছে তা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী করা হয় নি। এ জন্যই এসব লোককে যাচাই করতে আমাদের আরো সময় প্রয়োজন। আমরা যাদেরকে যাচাই করতে পেরেছি তাদের তালিকা দিয়েছি বাংলাদেশকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদেরকে এর কোনো জবাব দেয় নি বাংলাদেশ।
প্রশ্ন: আপনি বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন, এ সফর থেকে কি প্রত্যাশা করছেন, বিশেষ করে শরণার্থী প্রত্যাবর্তন নিয়ে?
উত্তর: বাংলাদেশ ও মিয়ানমার প্রতিবেশী। ফলে শরণার্থীর এ সমস্যা উভয় দেশের জন্যই একটি সমস্যা। আমাদের দেশে যেসব মানুষ বসবাস করতো তারা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছে। তাদেরকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব রয়েছে আমাদের। তাই তাদেরকে ফেরত আনা নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বজায় রেখে এ বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে আমি সেখানে যাচ্ছি। আশা করছি মসৃণ সহযোগিতা নিয়ে কথা হবে। ফলে ভালো কিছু প্রত্যাশা করি।
No comments