কারে আমি বাবা বলি, কে আমার প্রিয়তমা by কাজল ঘোষ
ক’দিন
ধরে তীব্র হতাশা ভর করেছে। চারপাশ ঘুমোট। চেনা মুখগুলো কেমন যেন অচেনা।
জানা ঘটনাগুলোও অজানা। ভাবনার পারদ দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙে যাচ্ছে। সম্পর্কগুলো
বড্ড অবিশ্বাসী হয়ে উঠছে। তবে কি সব হিসাব চুকানোর সময় চলে এসেছে। চোখ বন্ধ
থাকলেও নাকি প্রলয় বন্ধ থাকে না। সমসাময়িক দুটি ঘটনা। একটি রংপুরের অন্যটি
হবিগঞ্জের।
খুব কাছাকাছি সময়ে দুটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা খবর আমাদের ব্যাথিত করে। চিন্তিত করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সবখানে ঝড় তোলে। বিশেষ করে সবুজ জমিনে লাল রক্তাক্ত জামায় বিউটির ছবিটি মার্চের দিনগুলোতে নতুন করে ভাবায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিউটি ধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে সকল মহল উদ্বেগ ব্যক্ত করেছে। আর রংপুরে পিপি রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের নিখোঁজ হওয়া যেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের খাঁচার ভেতর আতঙ্কের নিশানা উড়িয়ে দেয়। চরপাশ থেকে নানান উদ্বেগজনক খবর রটতে থাকে। এর সঙ্গে কারা যুক্ত থাকতে পারে এ নিয়ে চলছিল চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ। কিন্তু আমরা কি দেখলাম! শত্রুতো ঘরেই। ঘাতক সহধর্মীনি নিজেই। আমাদের সকল ব্যাখ্যাকে ভুল প্রমাণ করে যা প্রকাশিত হলো তা বিশ্বাস করার যায় না। রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের ছেলে দীপ্ত ভৌমিক যখন লিখেন, বাবা তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও। তোমার জন্য কিছুই করতে পারলাম না। অপরাধী কখনো আমার মা হতে পারে না। অপরাধী অপরাধী। সেই যেই হোক না কেন আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। চোখ জলে ভরে যায়। সন্তান হয়ে ঘাতক মায়ের বিচার চাইতে হচ্ছে। এ কোন দুনিয়া আমরা দেখছি। পরকীয়া পৃথিবীতে চলছে মানব জন্মের শুরু থেকেই। কিন্তু তাই বলে রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের মতো মানুষকে পরকীয়ার প্রতিহিংসার আগুনে এতটা নির্মমভাবে জীবন দিতে হবে তা মানা যায় না।
অন্যদিকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের বিউটির কি ছিল অপরাধ? ধর্ষক তার কুকর্ম স্বীকার করেছে পুলিশের কাছে। কিন্তু মেয়েকে জীবন দিতে হলো পাষন্ড, নরপশু, বর্বর পিতার হাতেই। প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করতে নিজের মেয়েকে খুন! কতটা বর্বর হতে পাাে ছায়েদ আলী। এই ছায়েদ আলীরা আমাদের সমাজের মূল্যবোধগুলোকে ভেঙে খানখান করে দিচ্ছে। ছায়েদ আলীর মতো পিশাচকে মনুষ্য বিবেচনা করতেও ঘৃণা হচ্ছে। সমাজের সকল বন্ধন, স্নেহ-মমতাকে সে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে। বলা হয়ে থাকে, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। না হলে আমরা হয়তো এই সত্য জানতে পারতাম না। যত নির্মমই হোক এই ঘটনা দুটির প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। অপরাধী গ্রেপ্তার দ্রুত হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, র্যাব-পুলিশ তাদের সক্ষমতা ফের প্রমাণ করলো। বড় ধন্যবাদ এই দুটি সংস্থাকে। এখন প্রয়োজন দুটি ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। যত দ্রুত বিচার সম্পন্ন হবে তত দ্রুত স্বস্থি আসবে মানুষের মধ্যে। অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক আর বিউটির অতৃপ্ত আত্মা শান্তি পাবে।
খুব কাছাকাছি সময়ে দুটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা খবর আমাদের ব্যাথিত করে। চিন্তিত করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সবখানে ঝড় তোলে। বিশেষ করে সবুজ জমিনে লাল রক্তাক্ত জামায় বিউটির ছবিটি মার্চের দিনগুলোতে নতুন করে ভাবায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিউটি ধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে সকল মহল উদ্বেগ ব্যক্ত করেছে। আর রংপুরে পিপি রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের নিখোঁজ হওয়া যেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের খাঁচার ভেতর আতঙ্কের নিশানা উড়িয়ে দেয়। চরপাশ থেকে নানান উদ্বেগজনক খবর রটতে থাকে। এর সঙ্গে কারা যুক্ত থাকতে পারে এ নিয়ে চলছিল চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ। কিন্তু আমরা কি দেখলাম! শত্রুতো ঘরেই। ঘাতক সহধর্মীনি নিজেই। আমাদের সকল ব্যাখ্যাকে ভুল প্রমাণ করে যা প্রকাশিত হলো তা বিশ্বাস করার যায় না। রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের ছেলে দীপ্ত ভৌমিক যখন লিখেন, বাবা তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও। তোমার জন্য কিছুই করতে পারলাম না। অপরাধী কখনো আমার মা হতে পারে না। অপরাধী অপরাধী। সেই যেই হোক না কেন আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। চোখ জলে ভরে যায়। সন্তান হয়ে ঘাতক মায়ের বিচার চাইতে হচ্ছে। এ কোন দুনিয়া আমরা দেখছি। পরকীয়া পৃথিবীতে চলছে মানব জন্মের শুরু থেকেই। কিন্তু তাই বলে রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের মতো মানুষকে পরকীয়ার প্রতিহিংসার আগুনে এতটা নির্মমভাবে জীবন দিতে হবে তা মানা যায় না।
অন্যদিকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের বিউটির কি ছিল অপরাধ? ধর্ষক তার কুকর্ম স্বীকার করেছে পুলিশের কাছে। কিন্তু মেয়েকে জীবন দিতে হলো পাষন্ড, নরপশু, বর্বর পিতার হাতেই। প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করতে নিজের মেয়েকে খুন! কতটা বর্বর হতে পাাে ছায়েদ আলী। এই ছায়েদ আলীরা আমাদের সমাজের মূল্যবোধগুলোকে ভেঙে খানখান করে দিচ্ছে। ছায়েদ আলীর মতো পিশাচকে মনুষ্য বিবেচনা করতেও ঘৃণা হচ্ছে। সমাজের সকল বন্ধন, স্নেহ-মমতাকে সে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে। বলা হয়ে থাকে, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। না হলে আমরা হয়তো এই সত্য জানতে পারতাম না। যত নির্মমই হোক এই ঘটনা দুটির প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। অপরাধী গ্রেপ্তার দ্রুত হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, র্যাব-পুলিশ তাদের সক্ষমতা ফের প্রমাণ করলো। বড় ধন্যবাদ এই দুটি সংস্থাকে। এখন প্রয়োজন দুটি ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। যত দ্রুত বিচার সম্পন্ন হবে তত দ্রুত স্বস্থি আসবে মানুষের মধ্যে। অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক আর বিউটির অতৃপ্ত আত্মা শান্তি পাবে।
No comments