চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরবে ভারত
ক্রমশ
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়টি বাংলাদেশের সামনে তুলে
ধরবেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কেশব গোখলে। এ ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে
তিনি পারমাণবিক সহযোগিতা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়ও তুলে ধরবেন।
আজ রোববার ঢাকার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কেশব গোখলের। এ খবর দিয়েছে ভারতের অনলাইন
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এতে বলা হয়েছে, দু’দিনের এ সফরে ঢাকায় পৌঁছে তিনি
শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এতে স্থান পাবে ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
সাক্ষাতের বিষয়, দীর্ঘদিন অচল হয়ে থাকা তিস্তার পানি বন্টন চুক্তির অগ্রগতি
ও রোহিঙ্গা ইস্যু। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আরো লিখেছে, এ সময়ে বাংলাদেশের
বিভিন্ন থিংকট্যাংক, নাগরিক সমাজের নেতা ও মিডিয়ার সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে
কথা বলবেন গোখলে। সোমবার তিনি স্থানীয় একটি থিংকট্যাংক আয়োজিত
‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ রিলেশন্স: ডিপেনিং কো-অপারেশন অ্যান্ড দ্য ওয়ে ফরোয়ার্ড’
শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। তাতে থাকবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক
উপদেষ্টা ড. গওহর রিজবি। এ ছাড়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ
এবং পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হকের সঙ্গে তিনি সাক্ষাত করবেন। এ সময় উঠে
আসতে পারে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, স্বাক্ষরিত হতে পারে কিছু সমঝোতা স্বারক।
এরপর হতে পারে সংবাদ সম্মেলন। এ ছাড়া দু’দেশের পররাষ্ট্র সচিবরা আরো যেসব
বিষয়ে আরোচনা করতে পারেন তার মধ্যে রয়েছে মে মাসে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজনাথ সিংয়ের সফর, ১৬ থেকে ২০ শে এপ্রিল লন্ডনে অনুষ্ঠেয় কমনওয়েলথ সরকার
প্রধানদের সম্মেলনের সময় নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার প্রস্তাবিত সাক্ষাত।
এরপর রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি সাক্ষাত করবেন। ঢাকার
বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ সময়ে বাংলাদেশ তিস্তার
পানি বন্টন চুক্তি, আসামে মুসলিম নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র না দেয়া,
সেখানে বাংলাদেশী অভিবাসীদের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে ভারতীয় সেনাপ্রধানের
সাম্প্রতিক মন্তব্য ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের ইস্যু উঠে আসবে। উল্লেখ্য,
গত ১ লা মার্চ ভারত, রাশিয়া ও বাংলাদেশ বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা বিষয়ক
একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ওদিকে তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি
শিগগিরই সম্পন্ন হবে বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তা
সত্ত্বেও এই চুক্তি এখনও অসাড়। কারণ, এতে অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন
পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এ ছাড়া ঢাকা চাইছে, রোহিঙ্গা
শরণার্থীদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করুক ভারত।
No comments