রেল ইঞ্জিন সংকট
রেল
ইঞ্জিনের অভাব চরমে ওঠায় দেশের অন্যতম এ পরিবহন মাধ্যমের যাত্রীদের প্রায়ই
বিপাকে পড়তে হচ্ছে। জানা গেছে, রেলওয়ের ২৮০টি ইঞ্জিনের (লোকোমোটিভ) মধ্যে
অন্তত ১৯৫টি প্রায় ৭০ বছর আগেই আয়ুষ্কাল অতিক্রম করেছে। ফলে চলন্ত অবস্থায়
প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ছে ইঞ্জিনগুলো। এছাড়া ইঞ্জিন পুরন ো হওয়ায় নির্ধারিত
গতির চেয়ে অধিকাংশ ট্রেন চলছে কম গতিতে। এর ফলে ক্রমাগত সিডিউল বিপর্যয়
ঘটায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বলার অপেক্ষা রাখে না,
মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন চালানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে যে কোনো
মুহূর্তে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। রেলওয়ের উন্নয়নে সরকার ৪৫টি
উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর একটি হল ৭০টি মিটারগেজ রেলইঞ্জিন
ক্রয়।আশ্চর্যজনক হল, ইঞ্জিন ক্রয় প্রকল্পটি ২০০৯ সালে গৃহীত হলেও আজ
পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ সময়কালে পুরনো ইঞ্জিনগুলোর অবস্থা আরও করুণ
হয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এ অবস্থায় যে কোনো সময় অনেক ট্রেন সার্ভিস
একেবারেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।
দেশে প্রচলিত যোগাযোগ ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ছিল রেলওয়ে
খাত। এ সম্ভাবনাকে বিনষ্ট করতে প্রায় শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা হয়েছে।
এর ফলে রেলওয়ের অস্তিত্বই এখন হুমকির সম্মুখীন। জনবল সংকটের কারণে অনেক রেলস্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। প্রয়োজনীয় সংস্কার না করায় সারা দেশের রেলপথ হয়ে পড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। বিশ্বের নানা জায়গায় যখন ঘণ্টায় ৩০০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলছে, তখন আমরা ১০০ তো দূরের কথা, গতিবেগ ৬০ কিলোমিটারের উপরে তুলতে পারছি না। দেখা যাচ্ছে, প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক ইঞ্জিনও রেলওয়ের ভাণ্ডারে নেই। যেগুলো আছে, সেগুলোর অধিকাংশের অবস্থা এত সঙ্গিন যে, চলতে চলতে কখন তার চলৎশক্তি থেমে যাবে তা কেউ জানে না। জোড়াতালি দিয়ে ট্রেন চলাচলের ধারাবাহিকতা ঠিক রাখা সম্ভব নয়। প্রশ্ন হল, এভাবে আর কতদিন? স্বাধীনতার ৪৫ বছর পেরিয়ে গেছে। এখন অবস্থার পরিবর্তন জরুরি। রেলের ইঞ্জিন সমস্যার সমাধান করে প্রায় অচল রেলকে সচল করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না, এর সঙ্গে জনস্বার্থের প্রশ্ন জড়িত।
এর ফলে রেলওয়ের অস্তিত্বই এখন হুমকির সম্মুখীন। জনবল সংকটের কারণে অনেক রেলস্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। প্রয়োজনীয় সংস্কার না করায় সারা দেশের রেলপথ হয়ে পড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। বিশ্বের নানা জায়গায় যখন ঘণ্টায় ৩০০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলছে, তখন আমরা ১০০ তো দূরের কথা, গতিবেগ ৬০ কিলোমিটারের উপরে তুলতে পারছি না। দেখা যাচ্ছে, প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক ইঞ্জিনও রেলওয়ের ভাণ্ডারে নেই। যেগুলো আছে, সেগুলোর অধিকাংশের অবস্থা এত সঙ্গিন যে, চলতে চলতে কখন তার চলৎশক্তি থেমে যাবে তা কেউ জানে না। জোড়াতালি দিয়ে ট্রেন চলাচলের ধারাবাহিকতা ঠিক রাখা সম্ভব নয়। প্রশ্ন হল, এভাবে আর কতদিন? স্বাধীনতার ৪৫ বছর পেরিয়ে গেছে। এখন অবস্থার পরিবর্তন জরুরি। রেলের ইঞ্জিন সমস্যার সমাধান করে প্রায় অচল রেলকে সচল করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না, এর সঙ্গে জনস্বার্থের প্রশ্ন জড়িত।
No comments