মৃত সেজে হাতি থেকে প্রাণরক্ষা
হাতির
লাথিতে কোমর ভেঙেছে। প্রবল যন্ত্রণার মধ্যেও মড়ার ভান করেছিলেন তারা
সরকার। তার ভয় করছিল, নড়াচড়া করলে হাতি যদি বুঝতে পারে, তিনি পড়ে আছেন!
তা হলে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারতে পারে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের
দমনপুর রেঞ্জ সংলগ্ন উত্তর জিৎপুর গ্রামের ঘটনা। সময়, মঙ্গলবার ভোর ৪টা।
পরে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তারা দেবী বলছিলেন সেই
ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। জানালেন, ভোরে বিছানার পাশে দরমার বেড়া ভাঙার শব্দে
ঘুম ভেঙে যায় তার। বুঝতে পারেন, হাতি এসেছে। পাশে থাকা স্বামীকে ডাকতে
থাকেন তিনি। ততক্ষণে হাতিটি দরমার বেড়া ভেঙে তাকে খাট থেকে টেনে নামিয়ে আনে
বাইরের মাটিতে। ভয়ে দরজা খুলে স্বামী বাইরে পালান। শাশুড়ি পাশের ঘরে
লুকিয়ে ছিলেন।
তারাদেবী বলেন, “হাতিটি প্রথমে মাটিতে ফেলে কোমরে লাথি মারে।
পা দিয়ে আমাকে ঠেলতে থাকে। তার পর শুঁড় দিয়ে পেঁচানোর চেষ্টা করে। পরনে
সোয়েটার ছিল বলে ওর ধরতে অসুবিধা হচ্ছিল। সেই ফাঁকে গড়াতে গড়াতে উঠোনের
দিকে চলে যাই।’’ উঠে দাঁড়ানোর শক্তি নেই। সেই অবস্থায় উঠোনের এক কোণে
ঘাপটি মেরে পড়ে থাকতে থাকতে বুঝতে পারেন, হাতিটা সেখানেও উঠে এসেছে। তারা
দেবী বলেন, ‘‘মড়ার মতো পড়েছিলাম।’’ এই ভাবে কতক্ষণ ছিলেন খেয়াল নেই। হাতি
চলে গেছে বুঝে ডাকেন শাশুড়িকে। পরে জানা যায়, তারা দেবীর কোমরের হাড়
ভেঙেছে। বন দফতর সূত্রে জানানো হয়, তার চিকিৎসার সব খরচ দফতরই দেবে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকায় মাঝেমধ্যেই হাতি হামলা চালাচ্ছে। বন বিভাগকে
বহুবার বলা সত্ত্বেও বুনো হাতি আটকাতে সঠিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে না।
No comments