‘বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সুযোগ নেই’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি সমঝোতার পথ নিজেরাই বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের সঙ্গে এখন সমঝোতা বা সংলাপের কোনো সুযোগ নেই।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগের ১১ দফা প্রস্তাবনা, জনগণেরই প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটি সেমিনারের আয়োজন করে।
গতকাল বুধবার বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি সমঝোতার পথ খোলা রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেন। এই বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সমঝোতার দরজা তো আপনারা সেই দিনই বন্ধ করে দিয়েছেন, যেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসায় তাঁর ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে গিয়েছিলেন। সেদিন তিনি দরজা বন্ধ করে ঘরের ভেতর ছিলেন।’ তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসুক, এটা আওয়ামী লীগ চায়। কিন্তু তার জন্য কোনো সংলাপ, সমঝোতার প্রয়োজন নেই।
বিএনপি কী বলতে চায়, তা স্পষ্ট নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনে সংলাপে অংশ নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন যে তাঁরা আশাবাদী। কিন্তু কয়েক দিন যেতে না যেতেই তাঁরা বলছেন যে এটা সাজানো সংলাপ। আসলে তাঁরা কী চান, তাঁরা নিজেরা জানেন না।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন চাই, অন্য কিছু চাই না। নির্বাচন কমিশনের কোনো দলের পক্ষ নেওয়ার দরকার নেই, আমরা চাই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করুক। কোনো দলের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হোক, তা আমরা চাই না। কিন্তু বিএনপি এমন একটা নির্বাচন কমিশন চায়, যেন বিএনপি যেনতেনভাবে ক্ষমতায় আসতে পারে।’ তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি পরেরবারের নির্বাচনের জন্য, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রাজনীতি করে।
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা যে একটি সাজানো নাটক, তা এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে। তাঁরা চেয়েছিলেন যেন একটি সংবাদ হয়। সাংবাদিকদের ওপর হামলা করলে সংবাদটা বড় পরিসরে হয়। পরিকল্পিতভাবে দুটি গাড়ি উল্টো পথে রাখা হয়েছিল এবং সেই গাড়িগুলোই জ্বালানো হয়। এটা ছিল মূলত ফেনীর সাজানো ঘটনা এবং সংঘাতের উসকানি।’
কোনো সংবাদপত্রের নাম উল্লেখ না করে ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, দু-একটি পত্রিকা ঠিক করেছে, তারা জোর করে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবে। সে জন্য তারা উঠেপড়ে লেগেছে, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করছে। তিনি সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে সূচনা বক্তব্য দেন প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্যসচিব হাছান মাহমুদ।
সূচনা বক্তব্যে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের সেনাবাহিনী আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কেউ কেউ এক করে ফেলছেন। এটা ঠিক না। কারণ, সেনাবাহিনী প্রতিরক্ষার কাজ করে আর পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করে। সুতরাং এসব গুলিয়ে ফেললে হবে না। দেশের সেনাবাহিনীকে দিয়ে পুলিশ-আনসারের কাজ করানো হবে—তাদের জন্য তা অসম্মানজনক। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য। বিএনপি এমন নির্বাচন কমিশন চায়, যা তাদের বিজয় নিশ্চিত করবে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মমতাজউদ্দিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দলের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওছার, উপকমিটির সদস্য কাশেম হুমায়ুনসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিকসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগের ১১ দফা প্রস্তাবনা, জনগণেরই প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটি সেমিনারের আয়োজন করে।
গতকাল বুধবার বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি সমঝোতার পথ খোলা রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেন। এই বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সমঝোতার দরজা তো আপনারা সেই দিনই বন্ধ করে দিয়েছেন, যেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসায় তাঁর ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে গিয়েছিলেন। সেদিন তিনি দরজা বন্ধ করে ঘরের ভেতর ছিলেন।’ তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসুক, এটা আওয়ামী লীগ চায়। কিন্তু তার জন্য কোনো সংলাপ, সমঝোতার প্রয়োজন নেই।
বিএনপি কী বলতে চায়, তা স্পষ্ট নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনে সংলাপে অংশ নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন যে তাঁরা আশাবাদী। কিন্তু কয়েক দিন যেতে না যেতেই তাঁরা বলছেন যে এটা সাজানো সংলাপ। আসলে তাঁরা কী চান, তাঁরা নিজেরা জানেন না।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন চাই, অন্য কিছু চাই না। নির্বাচন কমিশনের কোনো দলের পক্ষ নেওয়ার দরকার নেই, আমরা চাই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করুক। কোনো দলের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হোক, তা আমরা চাই না। কিন্তু বিএনপি এমন একটা নির্বাচন কমিশন চায়, যেন বিএনপি যেনতেনভাবে ক্ষমতায় আসতে পারে।’ তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি পরেরবারের নির্বাচনের জন্য, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রাজনীতি করে।
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা যে একটি সাজানো নাটক, তা এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে। তাঁরা চেয়েছিলেন যেন একটি সংবাদ হয়। সাংবাদিকদের ওপর হামলা করলে সংবাদটা বড় পরিসরে হয়। পরিকল্পিতভাবে দুটি গাড়ি উল্টো পথে রাখা হয়েছিল এবং সেই গাড়িগুলোই জ্বালানো হয়। এটা ছিল মূলত ফেনীর সাজানো ঘটনা এবং সংঘাতের উসকানি।’
কোনো সংবাদপত্রের নাম উল্লেখ না করে ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, দু-একটি পত্রিকা ঠিক করেছে, তারা জোর করে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবে। সে জন্য তারা উঠেপড়ে লেগেছে, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করছে। তিনি সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে সূচনা বক্তব্য দেন প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্যসচিব হাছান মাহমুদ।
সূচনা বক্তব্যে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের সেনাবাহিনী আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কেউ কেউ এক করে ফেলছেন। এটা ঠিক না। কারণ, সেনাবাহিনী প্রতিরক্ষার কাজ করে আর পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করে। সুতরাং এসব গুলিয়ে ফেললে হবে না। দেশের সেনাবাহিনীকে দিয়ে পুলিশ-আনসারের কাজ করানো হবে—তাদের জন্য তা অসম্মানজনক। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য। বিএনপি এমন নির্বাচন কমিশন চায়, যা তাদের বিজয় নিশ্চিত করবে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মমতাজউদ্দিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দলের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওছার, উপকমিটির সদস্য কাশেম হুমায়ুনসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিকসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
No comments