২৬ কোটির বেশি শিশু স্কুলে যেতে পারে না
বিশ্বে ২৬ কোটি ৪০ লাখ শিশু-কিশোর শিক্ষার সুযোগ পায় না। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ বছর বয়সী ৬ কোটি ১০ লাখ শিশু প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৬ কোটি শিশু মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ পায় না। আর উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ পায় না ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১৪ কোটি ২০ লাখ শিশু।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর নতুন এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য। ২০১০ থেকে ২০১৫ সালে ১২৮টি দেশের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
২০৩০ অ্যাজেন্ডা ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট রিপোর্টের অংশ হিসেবে এই তথ্য সামনে আসে। ইউনেসকোর পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট এবং গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং (জিইএম) রিপোর্ট যৌথভাবে তা প্রকাশ করে।
ইউনেসকোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা বলেন, প্রতিবেদনে উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার বয়সী বিশ্বের ৯০ শতাংশ মানুষের তথ্য আনা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ৪০টি দেশে চারজনে একজনের কম কিশোর-কিশোরী উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করতে পেরেছে। ৬০টি দেশে দুজনে একজেনর কম তা পেরেছে। আর উচ্চমাধ্যমিকের পড়াশোনা কমপক্ষে ৯০ শতাংশ শিশু-কিশোর সম্পন্ন করতে পারে মাত্র ১৪টি দেশে।
ইরিনা বোকোভার মতে, শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার মূল দায়িত্ব সরকারের ওপর বর্তায়। কিন্তু তা বিশ্বের অর্ধেক দেশের ওপরে খাটে না। তাই শিশু-কিশোরদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিতকল্পে সব সরকার, এমনকি দাতাগোষ্ঠীকেও জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। তিনি শিক্ষাগত ‘ব্যর্থতা’ মোকাবিলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। ইউনেসকোর মহাপরিচালক বলেন, ‘বিশ্বে ২৬ কোটি ৪০ লাখ শিশু-কিশোর স্কুলে যায় না। এটি একটি ব্যর্থতা, যা আমাদের সবাইকে মিলেমিশে মোকাবিলা করতে হবে। কারণ শিক্ষার দায়দায়িত্ব সবার। এ ক্ষেত্রে টেকসই উন্নতি কেবল যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমেই সম্ভব।’
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর নতুন এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য। ২০১০ থেকে ২০১৫ সালে ১২৮টি দেশের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
২০৩০ অ্যাজেন্ডা ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট রিপোর্টের অংশ হিসেবে এই তথ্য সামনে আসে। ইউনেসকোর পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট এবং গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং (জিইএম) রিপোর্ট যৌথভাবে তা প্রকাশ করে।
ইউনেসকোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা বলেন, প্রতিবেদনে উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার বয়সী বিশ্বের ৯০ শতাংশ মানুষের তথ্য আনা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ৪০টি দেশে চারজনে একজনের কম কিশোর-কিশোরী উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করতে পেরেছে। ৬০টি দেশে দুজনে একজেনর কম তা পেরেছে। আর উচ্চমাধ্যমিকের পড়াশোনা কমপক্ষে ৯০ শতাংশ শিশু-কিশোর সম্পন্ন করতে পারে মাত্র ১৪টি দেশে।
ইরিনা বোকোভার মতে, শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার মূল দায়িত্ব সরকারের ওপর বর্তায়। কিন্তু তা বিশ্বের অর্ধেক দেশের ওপরে খাটে না। তাই শিশু-কিশোরদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিতকল্পে সব সরকার, এমনকি দাতাগোষ্ঠীকেও জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। তিনি শিক্ষাগত ‘ব্যর্থতা’ মোকাবিলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। ইউনেসকোর মহাপরিচালক বলেন, ‘বিশ্বে ২৬ কোটি ৪০ লাখ শিশু-কিশোর স্কুলে যায় না। এটি একটি ব্যর্থতা, যা আমাদের সবাইকে মিলেমিশে মোকাবিলা করতে হবে। কারণ শিক্ষার দায়দায়িত্ব সবার। এ ক্ষেত্রে টেকসই উন্নতি কেবল যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমেই সম্ভব।’
No comments