ছেলেধরা সন্দেহে প্রেমিকসহ ৩ জনকে গণপিটুনি
মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলার মোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যানের ‘ছেলে ধরারা আমাদের মেধাকে ধরে নিয়ে গেল’ এমন কথায় গ্রামবাসী ধাওয়া করে মেধার প্রেমিক ও প্রেমিকের এক বন্ধু ও মাইক্রো চালককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। আহতরা হল- শহরের কাথুলী বাসস্ট্যান্ডপাড়ার রেজাউল হকের ছেলে রাসেল আহামেদ, রাসেলের বন্ধু নতুনপাড়ার দুলু ইসলামের ছেলে আমিনুল ইসলাম ও দফরপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে মাইক্রোচালক দিপু হোসেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জেলা শহরের কাথুলী বাসস্টেশনপাড়ার ডেকোরেটর ব্যবসায়ী রাসেল আহমেদের সঙ্গে দু’বছর ধরে মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের হাফিজুর রহমানের মেয়ে মেহেরপুর সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজের এইচএসসির ২য় বর্ষের ছাত্রী উম্মে হাবিবা মেধার প্রেমের সম্পর্ক। এর আগে মেধা দু’বার বাড়ি থেকে প্রেমিকের বাড়ি চলে আসে। মেধার বয়স ১৮ না হওয়ার কারণে দু’বারই আইনের কথা বলে বাড়ি পাঠানো হয়। বর্তমানে ১৮ বছর অতিক্রম করায় এবার প্রেমিক রাসেল মাইক্রোবাসে করে মোনাখালী থেকে প্রমিকাকে নিয়ে আসার সময় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হন। মেধার চাচা মোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান স্বীকার করেন, লোকমুখে ছেলে ধরারা মেধাকে তুলে নিয়ে গেল খবর পেয়ে তিনি গ্রামের লোকজনকে ধরতে বলেছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাহামুদ বলেন, ছেলে ধরাসহ মাইক্রোবাস আটক হয়েছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে জনগণের হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে।
No comments