রৌমারীতে ব্রষ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন
রৌমারীতে সপ্তাহ ব্যাপি টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে ব্রষ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেখা দিয়েছে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন। উত্তরে সাহেবের আলগা হতে রাজিবপুর পর্যন্ত ব্রষ্মপুত্র নদ কূলীয় এলাকা জুড়ে দেখা দিয়েছে এমন ভাঙ্গন। এমন ভাঙ্গনে শত-শত একর ফসলী জমি,বসত ভিটা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেরী বাঁধ ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং আবাস স্থল হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার পরিবার। রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার ৩ লাখ মানুষের জীবনে একমাত্র অভিশাপ ব্রষ্মপুত্র নদ। আজ থেকে ১০বছর আগে ২টি উপজেলা শহর থেকে ব্রষ্মপুত্র নদের দুরত্ব ছিল ২০কিলোমিটার দুরে। ব্রষ্মপুত্র নদসহ ১৫টি নদ-নদী কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যমুনার সাথে মিলিত হয়েছে। যে নদ-নদীর ভাঙ্গনে সর্বশান্ত হয়েছে ৩টি উপজেলার মানুষ। এসব নদের ভয়াল থাবার কড়াল গ্রাস থেকে বসত বাড়ি ও ফসলী জমিজিরাত রক্ষার জন্য যুগযুগ ধরে আন্দোলন ও মানব বন্ধন করে আসছিল এ অঞ্চলের মানুষ।
কে শোনে এ অঞ্চলের মানুষের আত্তনার্ত। আজ আর এ অঞ্চলের মানুষ, বসত ভিটা জমিজিরাত বাঁচাতে চায়না। এখন বাচাতে চায় মাতৃভূমির মানচিত্র। যেভাবে দুর্বার গতিতে ভাঙ্গনের ফলে ধেয়ে আসছে ব্রষ্মপুত্র নদ, যার ভাঙ্গন রোধ না করলে, কয়েক বছরের মধ্যে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে রৌমারী রাজিবপুরের বসতী স্থাপনা। মিশে যাবে ভারতের আসাম সীমান্তের সাথে। বর্তমানে ব্রষ্মপুত্রের কিনার থেকে আসামের মানকার চরের দূরত্ব শুন্য থেকে ৭ কিলোমিটার। এবছর শুরুতেই ভাঙ্গনের মারাত্বক আকার ধারণ করেছে। গত ২দিন আগে যাদুরচরের দিঘলাপারা পাউবোর বেরী-বাঁধটি ভেঙ্গে নি¤œা অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বাঁধটি ভাঙ্গার কারনে ঝুকিতে পড়েছে উপজেলার একমাত্র ঢাকা গামী ডিসি সরকটি। বাঁধটি ভাঙ্গার খবর পেয়ে জেলা থেকে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম, সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে ভাঙ্গন কবলিত বাঁধটি পরিদর্শন করেন। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২৮-কুড়িগ্রাম ৪ আসনের সংসদ সদস্য রুহুল আমিন এমপি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্জ আজিজুর রহমান ও সরকার দলীয় নেতৃবৃন্দ। অত্র অঞ্চলের মানুষের প্রানের দাবী ব্রষ্মপুত্র নদের ভাঙ্গন থেকে রৌমারী ও রাজিবপুরকে রক্ষায় সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
No comments