সম্পত্তির বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধে ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ভাই খুন
কক্সবাজারের মহেশখালীতে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলমের ছুরিকাঘাতে মেজ ভাই খোরশেদ আলম (৩০) খুন হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার পর সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত খোরশেদ আলম কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা গ্রামের মৃত হাজী কালা মিয়ার ছেলে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মহেশখালীর কুতুবজুম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তি মৃত হাজী কালা মিয়া প্রায় ৮০ কানি জমি রেখে এক বছর পূর্বে মারা যান। তার মৃত্যুর পর সম্পত্তির ভাগ নিয়ে চার ছেলে জাফর আলম লেজা, খোরশেদ আলম, জাহাঙ্গীর আলম ও শাহিন আলম বাবুলের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এদেরে মধ্যে শাহিন আলম মলয়েশিয়া ও নিহত খোরশেদ আলম দুবাই চলে গেলে আপর দু’ভাই জাহাঙ্গীর ও জাফর এবং তাদের ভগ্নিপতি আমির হোছন কোম্পানী সমস্ত সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছিল। গত কয়েক মাস পূর্বে খোরশেদ আলম বিদেশ থেকে ফিরে বড় ভাই জাফর ও ছোট ভাই জাহাঙ্গীরকে তার অংশের জমির বুঝিয়ে দিতে বলেন। এতে তারা খোরশেদের উপর ক্ষিপ্ত হন।
ঘটনার দিন (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঘটিভাঙ্গা স্টেশন বাজারস্থ পৈত্রিক দোকান ঘরের ভাড়া তোলাকে কেন্দ্র করে নিহত খোরশেদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ছোট ভাই জাহাঙ্গীর ও বড় ভাই জাফরের। এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর খোরশেদের পেটে ছুরিকাঘাত করলে তিনি মারাত্মক আহত হন। তাকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মো. হোসেনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ক্ষতস্থান সেলাই করে ওই চিকিৎসকের পরামর্শে খোরশেদকে বাড়িতে রেখে দেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ২১ এপ্রিল মহেশখালী হাসপাতাল, সেখান থেকে কক্সবাজার এবং ২৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকালে খোরশেদ আলম মারা যান। নিহত খোরশেদের জেঠাত ভাই মো. সেলিম উল্লাহ জানান, পৈত্রিক বিপুল পরিমাণ জমি কুক্ষিগত করার লোভে দীর্ঘদিন ধরে অপর ভাইয়েরা খোরশেদকে বঞ্চিত করে আসছিল এবং সর্বশেষ তাকে ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়েছে। মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। এরপরও পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাতে মর্গে পাঠিয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments