হাতীবান্ধায় জামাইয়ের কাণ্ড!
ভালোবেসে বিয়ে। অতঃপর যৌতুকের দাবিতে রোববার অস্ত্র হাতে নিয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও শ্যালককে পেটালেন জামাই। আর দিনে-দুপুরে দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে ওই মারামারির ঘটনা ঘটেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানার প্রধান ফটক থেকে মাত্র কয়েক গজ অদূরে কাজির বাজার এলাকায়। এতে আহত অবস্থায় ৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহতরা হলেন দক্ষিণ গড্ডিমারী আবদুল হামিদ, তার স্ত্রী কমলা বেগম, ছেলে আসাদুজ্জামান অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে ছাবিনা ইয়াসমিন, পশ্চিম বেজগ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম, তার ছেলে রফিকুল ইসলাম ও মেয়ে নিলুফা বেগম। সোমবার বিকালে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে কথা হয় দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে। এ সময় তিনি জানান, বছরখানেক আগে ভালোবেসে কোর্টে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করেন পার্শ্ববর্তী পশ্চিম বেজগ্রামের রফিকুল ইসলামকে। তবে কিছুদিন পর মেয়ের পরিবার বিয়ের বিষয়টি মেনে নিলে হঠাৎই যৌতুকের দাবি তোলে রফিকুল। আর তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে নির্যাতনের খড়ক নেমে আসে ছাবিনার ওপর। এরই ধারবাহিকতায় শুক্রবার ছাবিনাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় রফিকুল ও তার পরিবারের লোকজন। পরে বিষয়টি শুনে ছাবিনার বড় ভাই আসাদুজ্জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে বাকবিতণ্ডা হয় রফিকুলের। এরই জের ধরে রোববার দিন-দুপুরে উপজেলার কাজির বাজার এলাকায় পরিবারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে আসাদুজ্জামানকে ধাওয়া করে বোনজামাই রফিকুল। এসময় রফিকুলের হাতে দা ও ছুরি দেখা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে। আর ওই দায়ের আঘাতে মাঠিতে লুটিয়ে পড়েন আসাদুজ্জামান। পরে খবর পেয়ে রফিকুলের শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্ত্রী ছাবিনা ঘটনাস্থলে এলে তাদেরও মারধর করা হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হন। তবে জামাই রফিকুলের ভাষ্য মতে, যৌতুকের জন্য নয়। আসাদুজ্জামন তার বাবাকে মারতে চেয়েছিল। তাই এ নিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি রফিকুলের।হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, আমি দু’দিন ধরে থানার বাইরে। বিষয়টি শুনেছি। এতে কেউ মামলা দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
No comments