দেশের প্রথম সৌরচালিত খাদ্যগুদাম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বগুড়ার সান্তাহারে ২৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বহুতল খাদ্যগুদাম (সাইলো) উদ্বোধন করেছেন। গতকাল রোববার সকালে তিনি এ খাদ্যগুদাম উদ্বোধন করেন। পরে বিকেলে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পুনর্নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহযোগিতায় প্রায় ২৩২ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে খাদ্য অধিদপ্তর সান্তাহারে আধুনিক শীতাতপনিয়ন্ত্রিত খাদ্যগুদামটি নির্মাণ করেছে। এটি সৌরশক্তির সাহায্যে পরিচালিত হবে এবং এখানে সারা বছর খাদ্যশস্য মজুত থাকবে। খাদ্যশস্য সারা বছর একটি নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। তাই এখানে খাদ্যগুণ অটুট থাকবে।
উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী গুদামটি ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি বলেন, তাঁর সরকার খাদ্য মজুত বাড়ানোর জন্য অক্লান্ত¯পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ২০২১ সাল নাগাদ দেশ শতভাগ খাদ্য মজুতের সক্ষমতা অর্জন করবে বলেও প্রধানমন্ত্রী এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, স্থানীয় সাংসদ এবং রাজনৈতিক নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় খাদ্যগুদাম প্রাঙ্গণে একটি আমগাছের চারাও রোপণ করেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী গতকাল বগুড়ায় বিভিন্ন উন্নয়নকাজের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী এদিন বগুড়ায় ২৬৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১০টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পগুলো হলো নন্দীগ্রাম উপজেলা কমপ্লেক্সের সম্প্রসারিত ভবন ও হলরুম, শাহজাহানপুরে থানা ভবন ও সমন্বিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম ভবন, শিবগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, সোনাতলায় সিচারপাড়া-৩ গুচ্ছগ্রাম, সারিয়াকান্দিতে ১২টি আশ্রয়ণ প্রকল্প, আদমদীঘিতে সোলার প্যানেলযুক্ত পাতকুয়ার মাধ্যমে সেচ কার্যক্রম, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস ভবন এবং বগুড়া সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নে ১০ শয্যার মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী ৫২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য সাতটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। প্রকল্পগুলো হলো সারিয়াকান্দি মহাসড়কে খৈলসাকুড়ি সেতু, বগুড়া-সারিয়াকান্দি মহাসড়কে জয়ভোগা সেতু, বগুড়া-সারিয়াকান্দি মহাসড়কে হাটফুলবাড়ী সেতু, সোনাতলায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক, সারিয়াকান্দিতে ১০ কিলোমিটার সড়ক, বগুড়া প্রেসক্লাব ভবন এবং সোনাতলা উপজেলা পরিষদের সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন ও হলরুম।
জনসভায় ভাষণ
বিকেলে সান্তাহার স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এলাকাবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৯ সালের মধ্যে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, আপনারা যদি এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চান, তাহলে সেই নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করে দেবেন, যাতে করে আমরা পুনরায় আপনাদের সেবা করার সুযোগ পাই।’ শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘নৌকা’ ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের মানুষ কিছু পায়। ‘ধানের শীষ’ ক্ষমতায় এলে ধানে চিটা ধরে যায় এবং দেশে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। দেশে লুটপাট, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সৃষ্টি হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা আছে, প্রত্যেক উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত রাস্তাঘাট করতে ইতিমধ্যে এলজিইডি থেকে আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়ে একনেকে পাস করে দিয়েছি। আমরা সমগ্র বাংলাদেশ ম্যাপ করে পরিকল্পনামাফিক উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছি।’ প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রশ্নে তাঁর সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির উল্লেখ করে শিক্ষক, অভিভাবক, মসজিদের ইমামসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করে সরকারের সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনের উদ্যোগে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনসার আলী মৃধার সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তৃতা করেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, সাংসদ আবদুল মান্নান, সাংসদ হাবিবুর রহমান, সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকার প্রমুখ।
জনসভায় ভাষণ
বিকেলে সান্তাহার স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এলাকাবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৯ সালের মধ্যে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, আপনারা যদি এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চান, তাহলে সেই নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করে দেবেন, যাতে করে আমরা পুনরায় আপনাদের সেবা করার সুযোগ পাই।’ শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘নৌকা’ ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের মানুষ কিছু পায়। ‘ধানের শীষ’ ক্ষমতায় এলে ধানে চিটা ধরে যায় এবং দেশে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। দেশে লুটপাট, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সৃষ্টি হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা আছে, প্রত্যেক উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত রাস্তাঘাট করতে ইতিমধ্যে এলজিইডি থেকে আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়ে একনেকে পাস করে দিয়েছি। আমরা সমগ্র বাংলাদেশ ম্যাপ করে পরিকল্পনামাফিক উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছি।’ প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রশ্নে তাঁর সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির উল্লেখ করে শিক্ষক, অভিভাবক, মসজিদের ইমামসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করে সরকারের সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনের উদ্যোগে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনসার আলী মৃধার সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তৃতা করেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, সাংসদ আবদুল মান্নান, সাংসদ হাবিবুর রহমান, সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকার প্রমুখ।
No comments