সুন্দরবনকে যেকোনো মূল্যে বাঁচাতে হবে
‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালোবাসুন’ স্লোগানে গতকাল মঙ্গলবার খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় পালিত হয়েছে ‘সুন্দরবন দিবস’। এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, সুন্দরবন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষকে মায়ের মতো আগলে রেখেছে। এটি প্রাকৃতিক সুরক্ষাকবচ। তাই যেকোনো মূল্যে সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে। প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও সংবাদদাতার পাঠানো খবর:
সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য, পরিবেশের গুরুত্ব ও ভূমিকা সম্পর্কে সব মহলে ব্যাপক সচেতনতা ও আগ্রহ সৃষ্টি করা, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন সংরক্ষণে বন বিভাগ ও বেসরকারি উদ্যোগকে সহায়তা করার উদ্দেশ্য সামনে রেখে ২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি খুলনায় সুন্দরবন দিবস পালিত হয়। পরের বছর থেকে উপকূলীয় অন্য জেলাগুলোতেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল খুলনা নগরের জাতিসংঘ শিশুপার্কে আলোচনা সভা হয়। সেখানে ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় সুন্দরবন দিবস’ ঘোষণার দাবি জানানো হয়। খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে এ সভায় বক্তব্য দেন খুলনা-২ আসনের সাংসদ মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ, সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাঈদ আলী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক দিলীপ দত্ত প্রমুখ। সাংসদ বলেন, সুন্দরবন এ অঞ্চলের মাটি ও মানুষকে মায়ের মতো আগলে রেখেছে। এই বনকে রক্ষা করতে হবে। অনুষ্ঠানে ‘জীববৈচিত্র্যে ভরা সুন্দরবন, করব মোরা সংরক্ষণ’ বিষয়ে বক্তৃতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় আয়োজন করা হয়। এর আগে জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসানের নেতৃত্বে রয়েল মোড় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। সেটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জাতিসংঘ শিশুপার্কে এসে শেষ হয়। এদিকে গতকাল সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাব থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।
সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য, পরিবেশের গুরুত্ব ও ভূমিকা সম্পর্কে সব মহলে ব্যাপক সচেতনতা ও আগ্রহ সৃষ্টি করা, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন সংরক্ষণে বন বিভাগ ও বেসরকারি উদ্যোগকে সহায়তা করার উদ্দেশ্য সামনে রেখে ২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি খুলনায় সুন্দরবন দিবস পালিত হয়। পরের বছর থেকে উপকূলীয় অন্য জেলাগুলোতেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল খুলনা নগরের জাতিসংঘ শিশুপার্কে আলোচনা সভা হয়। সেখানে ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় সুন্দরবন দিবস’ ঘোষণার দাবি জানানো হয়। খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে এ সভায় বক্তব্য দেন খুলনা-২ আসনের সাংসদ মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ, সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাঈদ আলী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক দিলীপ দত্ত প্রমুখ। সাংসদ বলেন, সুন্দরবন এ অঞ্চলের মাটি ও মানুষকে মায়ের মতো আগলে রেখেছে। এই বনকে রক্ষা করতে হবে। অনুষ্ঠানে ‘জীববৈচিত্র্যে ভরা সুন্দরবন, করব মোরা সংরক্ষণ’ বিষয়ে বক্তৃতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় আয়োজন করা হয়। এর আগে জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসানের নেতৃত্বে রয়েল মোড় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। সেটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জাতিসংঘ শিশুপার্কে এসে শেষ হয়। এদিকে গতকাল সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাব থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।
পরে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাট-৪ আসনের সাংসদ মোজাম্মেল হোসেন। প্রেসক্লাবের সভাপতি আহাদ উদ্দিন হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শাহাদাৎ হোসেন, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের সদর রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. শমসের আলী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ‘সুন্দরবন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রাকৃতিক সুরক্ষাকবচ। যেকোনো মূল্যে আমাদের প্রাকৃতিক এই সুরক্ষা দেয়ালকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে সুন্দরবনের ক্ষতি হয়, এমন যেকোনো কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসতে হবে।’ গতকাল সকাল ১০টায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে সমাবেশ করা হয়। বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা বেল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মণ্ডল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কুপ অফিসার শ্যামা প্রসাদ রায়, বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মৃণাল কান্তি বিশ্বাস, বাঘ সংরক্ষক প্রকল্পের কর্মসূচি কর্মকর্তা জুবায়েত হাসান প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সুন্দরবন না বাঁচলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়বে। এ জন্য যেকোনো মূল্যে সুন্দরবন রক্ষা করতে হবে। সমাবেশের আগে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
No comments