কিম জং-উনের সৎভাই কিম জং-নামকে বিষ দিয়ে হত্যা?
উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং-উনের সৎভাই কিম জং-নাম মালয়েশিয়ায় খুন হয়েছেন বলে দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়ার বিভিন্ন সূত্র খবর দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি সূত্র দাবি করেছে, উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা বা গুপ্তচরেরাই গত সোমবার কিম জং-নামকে বিষপ্রয়োগ করে হত্যা করেছে। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কিম জং-নাম (৪৫) ‘হামলার’ শিকার হন বলে বিভিন্ন খবরে বলা হয়েছে। মালয়েশিয়ার পুলিশ বলছে, নিহত ব্যক্তির কাছে থাকা পাসপোর্টে তাঁর নাম লেখা আছে কিম-চল এবং তাঁর বয়স ৪৬। পুলিশ অবশ্য বলেছে, এর আগে ভ্রমণের জাল কাগজপত্র থাকার কারণে আটকও হয়েছিলেন কিম জং-নাম। একসময় উত্তর কোরিয়ার বর্তমান নেতা কিম জং-উনের সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী মনে করা হতো কিম জং-নামকে। তবে তিনি নিজে কমিউনিস্ট দেশটিতে বংশানুক্রমিকভাবে নেতা নির্বাচনের যে চল রয়েছে, প্রকাশ্যেই তার কঠোর সমালোচনা করতেন।
কিম জং-নামের হত্যার খবর নিশ্চিত করা হলে তা হবে কিম জং-উনের আমলে ২০১৩ সালে তাঁর চাচা জং সং-থায়েকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর থেকে দেশটিতে সবচেয়ে উঁচু পর্যায়ের কারও খুন হওয়ার ঘটনা। মালয়েশিয়ার পুলিশ কর্মকর্তা ফাদজিল আহমাত বলেছেন, কিমের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে গতকাল পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। এই কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার ম্যাকাও যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন কিম। সেখানে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার টিভি চ্যানেল চোসান দাবি করেছে, দুজন নারী কিমকে সুই দিয়ে বিষপ্রয়োগ করে ট্যাক্সিতে করে পালিয়ে যান। চ্যানেলটির প্রতিবেদনে ওই দুই নারীকে উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা বলে দাবি করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন সরকারি সূত্রও এ দাবিকে সমর্থন করেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সরকারি সূত্র বলেছে যে, তাঁরা মনে করেন, উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দারাই এ ‘হত্যাকাণ্ড’ ঘটিয়েছে। জীবনের বেশির ভাগ সময়ই কিম জং-নাম দেশের বাইরে ছিলেন। একজন সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, কিমের জীবন ঝুঁকিতে ছিল বলে মনে করত যুক্তরাষ্ট্র। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা এ ব্যাপারে মন্তব্য করেননি।
No comments