বিতর্ক ফ্লিনের জন্য নতুন কিছু নয়
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব নিয়েছিলেন মাইকেল ফ্লিন। ‘নিয়েছিলেন’ বলতে হচ্ছে। কারণ, পদে থিতু হওয়ার আগেই নিয়মবহির্ভূতভাবে রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করার অভিযোগ ওঠার জেরে পদত্যাগ করেছেন তিনি। বিতর্কিত কাজের জেরে এভাবে পদ থেকে সরে যাওয়া সাবেক জেনারেল মাইকেল ফ্লিনের জন্য নতুন কিছু নয়। দুই বছর আগে পেন্টাগনের গোয়েন্দা সংস্থা ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (ডিআইএ) প্রধানের পদ থেকেও সরে যেতে হয়েছিল তাঁকে। ফ্লিনের দাবি, ‘ইসলামি সন্ত্রাসবাদের’ বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে ‘সত্যি’ কথা বলার জন্যই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তিনি মনে করেন,
ওই বৈশ্বিক যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র হেরে যাচ্ছে। তবে পেন্টাগনের ভেতরের খবর, ডিআইএকে একেবারে ঢেলে সাজানোর যে অজনপ্রিয় পরিকল্পনা ফ্লিন করেছিলেন, সেটির জন্যই তাঁকে সরে যেতে হয়েছিল। ডিআইএর দায়িত্ব থেকে বাদ পড়ার সময় অনেকেই মনে করেছিলেন ফ্লিনের দিন শেষ। কিন্তু মার্কিন সেনাবাহিনীর সাবেক এ কর্মকর্তা সে বিপর্যয়ের বছর দুয়েক না যেতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ট্রাম্পের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। যদিও জীবনের বেশির ভাগ সময় ডেমোক্রেটিক দলের সমর্থক ছিলেন তিনি। ট্রাম্পের মতোই রাশিয়াকে ঘনিষ্ঠ মিত্র মনে করেন ফ্লিন। আর প্রেসিডেন্টের মতো বিতর্কের মধ্যেই তাঁর বাস। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন ফ্লিন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘মুসলিমদের ভয় পাওয়া যুক্তিসংগত’। ওই বছরেরই জুলাইয়ে নিউইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ইসলামি বিশ্ব সম্পূর্ণভাবেই ব্যর্থ।’ তবে যুক্তরাষ্ট্রে অনেকে ফ্লিনের পক্ষও নিয়েছেন। কারণ, তিন দশকের বেশি সময় ধরে সেনাবাহিনীতে কাজ করা এ ব্যক্তি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সামলাতে বেশ দক্ষ বলেই বিবেচিত।
No comments