ঘুষ বিনে সেবা নেই!
সরকারি সেবা খাতে ঘুষের লেনদেনের সংস্কৃতি নতুন নয়। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হলো, ঘুষের পরিমাণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ১৫ হাজার খানা বা পরিবারের ওপর জরিপ চালিয়ে যে প্রাক্কলিত হিসাব সম্প্রতি প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে তিন বছরে সেবা খাতে ঘুষের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। টিআইবির জরিপ বলছে, সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে পাসপোর্ট অফিসে, যদিও বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এই জরিপকে ‘গ্রহণযোগ্য’ নয় বলেছেন। কিন্তু সাধারণভাবে এটা সুবিদিত যে পাসপোর্ট তৈরির সময় মানুষকে অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়, যা এড়ানোর উপায় ঘুষ দেওয়া। এটা বহু বছর ধরেই চলে আসছে। পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়ায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হলে অবস্থার উন্নতি ঘটবে বলে যে প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ হয়নি। তিন বছরের ব্যবধানে ঘুষ লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া সেই নির্দেশ করে।
ভূমি অফিসের হয়রানি ও দুর্নীতির সমস্যাটি প্রাচীন। ঘুষ ছাড়া ভূমি অফিসে কোনো কাজ সমাধা করা যায় না—এমন অভিযোগ প্রচুর শোনা যায়। এখানে দুর্নীতি যেন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। টিআইবির সাম্প্রতিক জরিপটি থেকে দেখা যাচ্ছে, ঘুষের পরিমাণের দিক থেকে এই খাত অন্য সব খাতের ওপরে আছে। দুর্নীতিগ্রস্ত সেবা খাতগুলোর মধ্যে আরও আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, শিক্ষা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, বিচারিক সেবা ও স্বাস্থ্য। প্রকৃতপক্ষে সরকারি সেবা খাত সামগ্রিকভাবেই অতিমাত্রায় অনিয়ম-দুর্নীতির শিকার, যা সুশাসনের দীনদশা তুলে ধরে। সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনের আগে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চায়। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার পরে তারা এই বিষয়ে আর দৃষ্টি দেয় না। দুর্নীতি দমন কমিশন নামে একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান আছে, কিন্তু সরকারি সেবা খাতের দুর্নীতির দিকে তাদের দৃষ্টি আছে বলে মনে হয় না।
এভাবেই কি চলবে? সরকার কি দুর্নীতি দমনের অঙ্গীকার ভুলেই থাকবে?
ভূমি অফিসের হয়রানি ও দুর্নীতির সমস্যাটি প্রাচীন। ঘুষ ছাড়া ভূমি অফিসে কোনো কাজ সমাধা করা যায় না—এমন অভিযোগ প্রচুর শোনা যায়। এখানে দুর্নীতি যেন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। টিআইবির সাম্প্রতিক জরিপটি থেকে দেখা যাচ্ছে, ঘুষের পরিমাণের দিক থেকে এই খাত অন্য সব খাতের ওপরে আছে। দুর্নীতিগ্রস্ত সেবা খাতগুলোর মধ্যে আরও আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, শিক্ষা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, বিচারিক সেবা ও স্বাস্থ্য। প্রকৃতপক্ষে সরকারি সেবা খাত সামগ্রিকভাবেই অতিমাত্রায় অনিয়ম-দুর্নীতির শিকার, যা সুশাসনের দীনদশা তুলে ধরে। সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনের আগে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চায়। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার পরে তারা এই বিষয়ে আর দৃষ্টি দেয় না। দুর্নীতি দমন কমিশন নামে একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান আছে, কিন্তু সরকারি সেবা খাতের দুর্নীতির দিকে তাদের দৃষ্টি আছে বলে মনে হয় না।
এভাবেই কি চলবে? সরকার কি দুর্নীতি দমনের অঙ্গীকার ভুলেই থাকবে?
No comments