৪৫ বছর পরও সেইসব বাংলাদেশী দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক
৪৫
বছর বেশ দীর্ঘ সময়। বিশ্ব পাল্টে যাওয়ার জন্য অনেক বড় সময়: ব্যাঙ্গালোরের
গার্ডেন সিটি হয়েছে ব্যস্ততম আইটি সিটিতে। স্টার্টআপ সিটির নাম হয়েছে
ব্যাঙ্গালুরু। পশ্চাৎপদ এলাকাগুলো পরিণত হয়েছে অভিজাত আবাসিক এলাকা। ছোট
ছোট গ্রামগুলো পরিণত হয়েছে বড় শহরে। কিন্তু ৪৫ বছর আগে যে হাজার হাজার
বাংলাদেশী শরণার্থী কর্নাটকের রাইচুরে তাদের ঘর বেঁধেছিলেন তারা শুধু
পেয়েছেন নাগরিকত্ব। তবে সে নাগরিকত্ব দ্বিতীয় সারির নাগরিকের। তাদের
দুঃখগাঁথা নিয়ে এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। তারা
এখনও শরণার্থীর মতো বসবাস করেন। এখনও তাদের বসতির সরকারি নাম
রিহ্যাবিলিটেশন ক্যাম্প বা পুনর্বাসন শিবির। ১৯৭১ সালে ভারতে চলে আসা ৯৩২টি
বাংলাভাষী হিন্দু পরিবারকে পুনর্বাসনের পরিবর্তে রাইচুরের এই শিবির শুধু
পরিণত হয়েছে বস্তিতে। এখানে সরকারি একটি হাই স্কুলের দিকে নজর দিলেই এর
ব্যাখ্যা মেলে। এখানকার প্রধান শিক্ষক স্বপন বৈদ্য ও তার ছাত্রছাত্রীরা সব
শরণার্থীদের সন্তান। তারা তাদের দেশের জন্য ও সংস্কৃতির জন্য নষ্টালজিয়ায়
ভোগে। সুশান্ত গুলজার যখন বাংলাদেশ ছেড়ে যান তখন তার বয়স মাত্র ১০ বছর।
তিনি বলেন, মোটর সাইকেলে চড়া লোকজন আমাদের ওপর আক্রমণ করছিল। আমাদের
চারপাশের লোকজন শুধু দৌড়াচ্ছিল। কিন্তু আমার সঙ্গে আমার পিতা দৌড়ে পারেন
নি। তার সঙ্গে ছিল আমার ছোটভাই। ওইদিন মনে হয়েছিল আমরা মারা যাবো। দুঃখজনক
বিষয় হলো আমরা এখনও শুধুই বেঁচে আছি। আমাদের জীবন যেমন হওয়ার তেমন হয় নি।
ওই সময়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দুদের ওপর চালিত অপরাধের বর্ণনা দিয়ে
সুধন্য মন্ডল (৭৭) বলেন, আমাদের সামনে কোন বিকল্প ছিল না।
No comments