মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের মন্তব্যে সরকারের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা যেভাবে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করছেন তাতে বাংলাদেশে
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা বিস্তৃতির আশঙ্কা আছে বলে
মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান। বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তা
ঝুঁকি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের শুনানিতে ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের
পরিচালক জেমস ক্ল্যাপার এ কথা বলেন। এ খবর দিয়েছে এপি এবং বিবিসি।
এতে বলা হয়, শুনানিতে জেমস ক্ল্যাপার ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে বিদেশি ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর ইসলামিক স্টেটের হামলা ও তার দায় স্বীকারের কথা তুলে ধরেন। একইভাবে তুলে ধরেন উদারমনা ১১ জন লেখক ও ব্লগারের ওপর আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ও আল-কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টের হামলা ও দায় স্বীকারের কথা। শেখ হাসিনা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে বিদেশি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে যে বক্তব্য দেয়া হয় তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই গোয়েন্দা প্রধান। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদশে একটি মুসলিম প্রধান দেশ। এখানে রয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সহিষ্ণুতার রীতি। কিন্তু কট্টরপন্থি সহিংসতা এখানে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশে ইসলামিক স্টেটের উপস্থিতির কথা অস্বীকার করেছে। এসব সহিংসতার জন্য তারা দায়ী করছে ইসলামপন্থি গ্রুপ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর থেকেই বাংলাদেশে বিরাজ করছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। ওই নির্বাচন বর্জন করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত নৃশংসতার জন্য জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এতেও রাজনীতিতে উত্তেজনা রয়েছে।
সরকারের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করছেন, তার ফলে দেশে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা বিস্তৃত হতে পারে বলে যে মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান জেমস ক্ল্যাপার করেছেন তা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘প্রথম কথা হলো এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। এবং আমরা মনে করি এ ধরনের উক্তি করাটা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে, ইন্টেলিজেন্স চিফই হোন আর যেই হোন, তিনি এ ধরনের কথা বলবেন, এটা মোটেও... এটা কেউ বলেন না। এবং এটা সৌজন্যমূলকও নয়, এক নম্বর। দুই নম্বর, বিষয়টি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং.. বানোয়াট বলবো এজন্য যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অপজিশনকে কোনোভাবেই আন্ডারমাইন করছেন না। যদি করতেন তাহলে বিএনপি এবং অন্যান্য অপজিশন যারা আছেন, তারা এখানে প্রকাশ্যে সভা-সমিতি করতে পারতেন না। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণও করতে পারতেন না। মাত্র কিছুদিন আগেই পৌরসভা নির্বাচন হলো। সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে। সেখানেও তারা ঘোষণা করেছেন অংশগ্রহণ করবেন। আন্ডারমাইনই যদি করবে অপজিশনকে তাহলে তারা নির্বাচনে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করছেন কিভাবে।’
বিবিসি: মি. ইমাম এটাও সত্যি যে, যখনই তারা এই বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে দেখা করে, তখন কিন্তু তারা নিজেরাই এই অভিযোগগুলো করেন যে আমাদেরকে সরকার আন্ডারমাইন করছে।
এইচটি ইমাম: এই জিনিসটাই আমাদের কাছে, আমার কাছে অবাক লাগছে এজন্য যে, তারা আমাদের সঙ্গে না কথা বলে বিদেশীরা অপরপক্ষ যা বললেন তাদের কথাটাই তুলে ধরলেন, এই পক্ষপাতিত্ব আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আশা করি না। কেননা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্নভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য এমনকি ইন্টেলিজেন্স ইত্যাদি আদান-প্রদানেও আমাদের যথেষ্ট সমঝোতা আছে এবং আদান-প্রদানও আছে। তথ্যের আদান আছে, তারা প্রায়ই আসছেন। মাত্র গতকালই তো আমেরিকান অ্যাম্বাসেডর এবং তার সঙ্গে তারা আরও কয়েকজন তার সিডিএ, পলিটিক্যাল অফিসার তারা আমার সঙ্গে দেখা করে গেছেন, বিভিন্ন ব্যাপারে আলাপ করেছেন। তারা কখনই আমাদের তো এ কথা বলেন নাই যে, আপনারা অপজিশনকে আন্ডারমাইন করছেন।
বিবিসি: জেমস ক্ল্যাপার মি. ইমাম ওই হিয়ারিংয়ে আবারও যেটা বলেছেন যে, সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশীদের ওপরে এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর প্রায় ১১টার মতো হামলা হয়েছে এবং সেখানে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপ তারা সেই হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। তার কথা শুনে মনে হয়েছে এটা তিনি এ সরকারের যে ব্যাখ্যা এগুলো বিএনপি-জামায়াতের কাজ, যুক্তরাষ্ট্র সেটা বিশ্বাস করেনি বা যুক্তরাষ্ট্রের এই গোয়েন্দা প্রধান সেটা বিশ্বাস করছেন না।
এইচ টি ইমাম: কথাটা হচ্ছে এই যে, আমরা তো প্রত্যেকটারই প্রায় সমাধান করে ফেলেছি। কারা করেছে, কিভাবে করেছে। অপরাধী কারা তারা অনেকে ধরাও পড়েছে। মামলাও হচ্ছে। এবং বিদেশী হত্যা মামলায় বিশেষ করে যেমন রংপুরের। রংপুরে যে জাপানি যাকে হত্যা করা হলো সেখানে তো পরিষ্কার ধরাই পড়েছে এবং নিজে স্বীকার করার পরে আরও অন্যান্য যারা সম্পৃক্ত ছিল তারা বিএনপিরই ছাত্রদলের প্রাক্তন নেতৃবৃন্দ। তারাই ওই যে মোটরসাইকেল নিয়ে গেছেন। সেই মোটরসাইকেলে করে কিভাবে তারা হত্যা করেছেন। সব কিছু বেরিয়ে এসছে। তারপরে এখানে বাংলাদেশে এই যে, শিয়া-সুন্নি এটা তো কখনই ছিল না। আমাদের দেশে কখনই হয়নি। এখানে যে গ্রেনেডটা ছোড়া হয়েছে সেই গ্রেনেডটা পাকিস্তানি। কাজেই আমরা তো ধরে নেবো বিদেশী সংস্থা এর সঙ্গে জড়িত। পরিষ্কার জড়িত।
বিবিসি: কিন্তু মি. ইমাম, এটাও তো সত্যি যে, এই যে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এগুলোর বাস্তবতা তো আপনারা স্বীকার করেন।
এইচটি ইমাম: আনসারুল্লাহ বাংলা টিম তারপর হিজবুত তাহ্রীর, তারপর জৈশ-ই-মোহাম্মদ যে সমস্তগুলো আছে এ সবগুলোর যদি আপনি গোড়ায় যান, তাহলে দেখবেন প্রত্যেকটারই উৎপত্তি হচ্ছে, মূল আম্ব্রেলাটা হচ্ছে, বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী। এবং জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে তালেবান এবং আল-কায়েদা। এরা সব সম্পৃক্ত। আমেরিকানদের সব সময় বলেছি, প্রমাণও দিয়েছি। আর একটা জিনিস আমি যেটা মনে করি। এতো উঁচু স্তরের একজন কর্মকর্তা তিনি অনুমান-নির্ভর কথা, তথ্য-নির্ভর নয় এ রকমভাবে বলবেন- এটা ঠিক নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আন্ডারমাইন করছেন অপজিশনকে এ কথাটাতো, এটাকি কোনো সরকারি কর্মকর্তার বলা উচিত?
এতে বলা হয়, শুনানিতে জেমস ক্ল্যাপার ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে বিদেশি ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর ইসলামিক স্টেটের হামলা ও তার দায় স্বীকারের কথা তুলে ধরেন। একইভাবে তুলে ধরেন উদারমনা ১১ জন লেখক ও ব্লগারের ওপর আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ও আল-কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টের হামলা ও দায় স্বীকারের কথা। শেখ হাসিনা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে বিদেশি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে যে বক্তব্য দেয়া হয় তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই গোয়েন্দা প্রধান। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদশে একটি মুসলিম প্রধান দেশ। এখানে রয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সহিষ্ণুতার রীতি। কিন্তু কট্টরপন্থি সহিংসতা এখানে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশে ইসলামিক স্টেটের উপস্থিতির কথা অস্বীকার করেছে। এসব সহিংসতার জন্য তারা দায়ী করছে ইসলামপন্থি গ্রুপ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর থেকেই বাংলাদেশে বিরাজ করছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। ওই নির্বাচন বর্জন করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত নৃশংসতার জন্য জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এতেও রাজনীতিতে উত্তেজনা রয়েছে।
সরকারের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করছেন, তার ফলে দেশে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা বিস্তৃত হতে পারে বলে যে মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান জেমস ক্ল্যাপার করেছেন তা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘প্রথম কথা হলো এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। এবং আমরা মনে করি এ ধরনের উক্তি করাটা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে, ইন্টেলিজেন্স চিফই হোন আর যেই হোন, তিনি এ ধরনের কথা বলবেন, এটা মোটেও... এটা কেউ বলেন না। এবং এটা সৌজন্যমূলকও নয়, এক নম্বর। দুই নম্বর, বিষয়টি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং.. বানোয়াট বলবো এজন্য যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অপজিশনকে কোনোভাবেই আন্ডারমাইন করছেন না। যদি করতেন তাহলে বিএনপি এবং অন্যান্য অপজিশন যারা আছেন, তারা এখানে প্রকাশ্যে সভা-সমিতি করতে পারতেন না। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণও করতে পারতেন না। মাত্র কিছুদিন আগেই পৌরসভা নির্বাচন হলো। সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে। সেখানেও তারা ঘোষণা করেছেন অংশগ্রহণ করবেন। আন্ডারমাইনই যদি করবে অপজিশনকে তাহলে তারা নির্বাচনে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করছেন কিভাবে।’
বিবিসি: মি. ইমাম এটাও সত্যি যে, যখনই তারা এই বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে দেখা করে, তখন কিন্তু তারা নিজেরাই এই অভিযোগগুলো করেন যে আমাদেরকে সরকার আন্ডারমাইন করছে।
এইচটি ইমাম: এই জিনিসটাই আমাদের কাছে, আমার কাছে অবাক লাগছে এজন্য যে, তারা আমাদের সঙ্গে না কথা বলে বিদেশীরা অপরপক্ষ যা বললেন তাদের কথাটাই তুলে ধরলেন, এই পক্ষপাতিত্ব আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আশা করি না। কেননা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্নভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য এমনকি ইন্টেলিজেন্স ইত্যাদি আদান-প্রদানেও আমাদের যথেষ্ট সমঝোতা আছে এবং আদান-প্রদানও আছে। তথ্যের আদান আছে, তারা প্রায়ই আসছেন। মাত্র গতকালই তো আমেরিকান অ্যাম্বাসেডর এবং তার সঙ্গে তারা আরও কয়েকজন তার সিডিএ, পলিটিক্যাল অফিসার তারা আমার সঙ্গে দেখা করে গেছেন, বিভিন্ন ব্যাপারে আলাপ করেছেন। তারা কখনই আমাদের তো এ কথা বলেন নাই যে, আপনারা অপজিশনকে আন্ডারমাইন করছেন।
বিবিসি: জেমস ক্ল্যাপার মি. ইমাম ওই হিয়ারিংয়ে আবারও যেটা বলেছেন যে, সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশীদের ওপরে এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর প্রায় ১১টার মতো হামলা হয়েছে এবং সেখানে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপ তারা সেই হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। তার কথা শুনে মনে হয়েছে এটা তিনি এ সরকারের যে ব্যাখ্যা এগুলো বিএনপি-জামায়াতের কাজ, যুক্তরাষ্ট্র সেটা বিশ্বাস করেনি বা যুক্তরাষ্ট্রের এই গোয়েন্দা প্রধান সেটা বিশ্বাস করছেন না।
এইচ টি ইমাম: কথাটা হচ্ছে এই যে, আমরা তো প্রত্যেকটারই প্রায় সমাধান করে ফেলেছি। কারা করেছে, কিভাবে করেছে। অপরাধী কারা তারা অনেকে ধরাও পড়েছে। মামলাও হচ্ছে। এবং বিদেশী হত্যা মামলায় বিশেষ করে যেমন রংপুরের। রংপুরে যে জাপানি যাকে হত্যা করা হলো সেখানে তো পরিষ্কার ধরাই পড়েছে এবং নিজে স্বীকার করার পরে আরও অন্যান্য যারা সম্পৃক্ত ছিল তারা বিএনপিরই ছাত্রদলের প্রাক্তন নেতৃবৃন্দ। তারাই ওই যে মোটরসাইকেল নিয়ে গেছেন। সেই মোটরসাইকেলে করে কিভাবে তারা হত্যা করেছেন। সব কিছু বেরিয়ে এসছে। তারপরে এখানে বাংলাদেশে এই যে, শিয়া-সুন্নি এটা তো কখনই ছিল না। আমাদের দেশে কখনই হয়নি। এখানে যে গ্রেনেডটা ছোড়া হয়েছে সেই গ্রেনেডটা পাকিস্তানি। কাজেই আমরা তো ধরে নেবো বিদেশী সংস্থা এর সঙ্গে জড়িত। পরিষ্কার জড়িত।
বিবিসি: কিন্তু মি. ইমাম, এটাও তো সত্যি যে, এই যে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এগুলোর বাস্তবতা তো আপনারা স্বীকার করেন।
এইচটি ইমাম: আনসারুল্লাহ বাংলা টিম তারপর হিজবুত তাহ্রীর, তারপর জৈশ-ই-মোহাম্মদ যে সমস্তগুলো আছে এ সবগুলোর যদি আপনি গোড়ায় যান, তাহলে দেখবেন প্রত্যেকটারই উৎপত্তি হচ্ছে, মূল আম্ব্রেলাটা হচ্ছে, বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী। এবং জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে তালেবান এবং আল-কায়েদা। এরা সব সম্পৃক্ত। আমেরিকানদের সব সময় বলেছি, প্রমাণও দিয়েছি। আর একটা জিনিস আমি যেটা মনে করি। এতো উঁচু স্তরের একজন কর্মকর্তা তিনি অনুমান-নির্ভর কথা, তথ্য-নির্ভর নয় এ রকমভাবে বলবেন- এটা ঠিক নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আন্ডারমাইন করছেন অপজিশনকে এ কথাটাতো, এটাকি কোনো সরকারি কর্মকর্তার বলা উচিত?
No comments